Header Ads

অসম জাতীয় নাগরিক পঞ্জীঃ এনআরসি নিয়ে রাজ্য সরকার নিজেই জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন -রঞ্জন গগৈ

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ  সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্র সরকার এবং সমস্ত সংবাদপত্রের শিরোনাম দখল করে রয়েছে এনআরসি। অসম এমন একটি রাজ্য যেখানে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির অস্তিত্ব রয়েছে । নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়া লোকদের বিদেশি সাজানো হচ্ছে এই অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। তিনি বলেন যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) নবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে অসম সরকার বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে । নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়া ৪0 লক্ষ লোকদের বিদেশী সাজানো হচ্ছে । মুখ্য বিচারপতির অভিযোগ করেন যে রাজ্য সরকার নিজেই জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গোগোই বলেন যে এনআরসির খসড়া থেকে বাদ পড়া ৪০ লক্ষ মানুষকে বিদেশি বলা হয়েছে, আর ট্রাইবুনাল ৫২ হাজার লোককে বিদেশি ঘোষণা করার পর মাত্র ১৬৫ জন কে বিতাড়িত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন -অসমে অনুপ্রবেশকারী সমস্যা অনেক বছর ধরে চলে আসছে । রাজ্য সরকারের কাছে তার প্রশ্ন যে এতদিন ধরে তাহলে বিদেশিদের কেন ফেরত  পাঠানো হলো না? রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্প সংক্রান্ত মামলার শুনানি গ্রহণ করে আদালত বলেছে যে মুখ্য বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এখন থেকে অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প গুলো দেখাশুনা করবে । মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য যে আবেদনকারীদের দাবি নিষ্পত্তি না করেই ৪০ লক্ষ মানুষকে সরকার বিদেশি বলে চিহ্নিত করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ডিটেনশন ক্যাম্প গুলি লোকদের জীবন যাপনের জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে এর সাথে অনেক দিন পর্যন্ত বন্দীত্বের বিষয়টিও আবার পর্যালোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্য বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বিদেশী হলেও কাউকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা যাবে না। বিশিষ্ট  মানবাধিকার কর্মী হর্ষ মান্দারের এক রিট আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে বিচারপতি এল এন রাও ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত এক ডিভিশন বেঞ্চ এনআরসি নবায়ন নিয়ে অসম সরকারের ভূমিকাকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। মান্দারের পক্ষে আদালতের প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভুষন আদালতকে বলেন যে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের বিরুদ্ধে চলা বিষয়টি আদালত খতিয়ে দেখবে। ওদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে বলেন যে এটা  মোদি সরকারের নির্বাচনে চমক। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে   বাংলাদেশের ধর্মীয় নির্যাতনের ঘটনা বাস্তবিকই বিরল । শুধু তাই নয় যখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.