Header Ads

জাগিরোড, পাঁচগ্ৰাম পেপার মিলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

রেজিস্ট্ৰিভুক্ত বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা ২০, ৩৬,১১৮ জন, দীপর বিলের মাছ না খাওয়ার পরামৰ্শ পরিমলের 

অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি
হিন্দুস্থান পেপার কপোরেশনের অধীন পাঁচগ্ৰাম পেপার মিল ২০১৫র ২০ অক্টোবর, এবং ২০১৭র ১৩ মাৰ্চ থেকে জাগিরোড পেপার মিল বন্ধ হয়ে আছে। তারা বেতন ভাতাও পাচ্ছে না। ১-০৩-২০১৭ থেকে ১২-০২-২০১৯ পৰ্যন্ত নগাঁও জাগিরোড পেপার মিলের ১৬ জন কৰ্মচারি এবং ০১-০১-২০১৭ থেকে ৩১-১২-২০১৮ পৰ্যন্ত পাঁচগ্ৰাম পেপার মিলের ১৩ জন কৰ্মচারির দুৰ্ভাগ্যক্ৰমে মৃত্যু হয়েছে। আজ বিধানসভায় কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ-র এক প্ৰেশ্নর জবাবে শিল্প বাণিজ্যমন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি এ কথা জানান। তিনি এই মৃত্যুকে দুৰ্ভাগ্যজনক আখ্যা দিলেও কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ অভিযোগ করেন, অধিকাংশ কৰ্মচারি আত্ম হত্যা করেছেন। বেতন, চিকিৎসার অভাবে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন মন্ত্ৰী তা মানতে রাজী হন নি। তিনি জানান, বৰ্তমানে পাঁচগ্ৰাম পেপার মিলে ১০,৩৫১ মেট্ৰিক টন কয়লা মজুত আছে, ১৯,৬১ মেট্ৰিক টন চূণ মজুত এবং বাঁশ আছে ৩৯২৬৯ মেট্ৰিক টন। এবং জাগিরোড পেপার মিলে বাঁশ আছে ৪৬২৫ মেট্ৰিক টন, সল্ট কেক আছে ১১৮ মেট্ৰিক টন, এসএসপি আছে ৯৮৭ মেট্ৰিক টন এবং চূণ আছে ৪০০ মেট্ৰিক টন। মিল দুটিকে পুনরজ্জীবিত করার সম্পৰ্কে মন্ত্ৰী জানান, ইনসলোভেন্সি এ্যাণ্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড, ২০১৬ অধীনে এনসিএলটির নিৰ্দেশনা অনুসারে কৰ্পোরেট ইনসলোভেন্সি রেজুলেশন প্ৰসেস চলছে। এই পক্ৰিয়া সম্পূৰ্ণ না হওয়া পৰ্যন্ত কিছু বলা যাবে না। অবশ্য এইচ পি সি পুনরজ্জীবিত করার জন্য প্ৰায় ১৯৯৫.০০ কোটি টাকার এক প্ৰকল্প কেন্দ্ৰীয় সরকারের হাতে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্ৰী জানান কাছাড় পেপার মিলে দেবাশীষ সিনহা, সোমশুভ্ৰ দাস, তইবুর রহমান লস্কর, আজির উদ্দিন বড়ভূইয়া, সুদীপ চক্ৰবৰ্তী, এন এস সিং, রহমত আলি, গৌরি দুষাদ, সৰ্বানি চক্ৰবৰ্তী, বিরেন্দ্ৰ চন্দ্ৰ নাথ, নুরুদ্দিন মজুমদার, সুজিত কুমার দে এবং হিমাংশু ঘোষ বিভিন্ন রোগেআক্ৰান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আজ বিধানসভায় দেবব্ৰত শইকিয়ার এক প্ৰশ্নের জবাবে শিল্প বাণিজ্যমন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি  জানান, রাজ্যে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পৰ্যন্ত রেজিস্ট্ৰিভুক্ত বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা হচ্ছে ২০, ৩৬,১১৮ জন। অসম সরকারের গ্ৰামোন্নয়ন প্ৰতিষ্ঠান (এস আই পি আর ডি)র সহযোগিতায় উগ্ৰপন্থা ছেড়ে মূল স্ৰোতে ফিরে আসা ১৮০০জন বেকার যুবক-যুবতীকে আত্ম সংস্থাপনের জন্য পশু পালন, শিল্প উদ্যোগ প্ৰভৃতি ক্ষেত্ৰে প্ৰশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের অধীন জৈব বৈচিত্ৰ্য সংরক্ষণ ৫৯৪১ ব্যক্তিকে প্ৰশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৬ সাল থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পৰ্যন্ত ১৪২০৬জন যুবক-যুবতীকে ঋণ দানের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে। শিল্প বাণিজ্য বিভাগে স্বামী বিবেকানন্দ আসাম ইউথ এম্পাওয়ারমেণ্ট যোজনার অধীন ৩৩টি জেলায় ১,৩০,৬৭৮জন ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ১,০৭,২৭৫জনকে বাছাই করা হয়েছে। তার মধ্যে ৯৭,৯৯৬জনের আবেদন পত্ৰ ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। কনকলতা মহিলা সবলিকরণ যোজনায় ১ লক্ষ মহিলা আত্ম সহায়ক গোষ্ঠীকে আৰ্থিক সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
মৎসমন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দীপর বিলের মাছ না খাওয়ার পরামৰ্শ দিয়েছেন। এদিন বিধানসভায় অগপর রমেন্দ্ৰ নারায়ন কলিতা দীপর বিলের মৎসজীবিদের সুরক্ষার দাবি জানালে মন্ত্ৰী জানান, দীপর বিলকে নানা ভাবে ব্যবহার করার ফলে জল দুষিত হয়ে গেছে, ওই বিলের মাছ খেলে মৃত্যুর সম্ভাবনাও আছে। অগপর পবিন্দ্ৰ ডেকা এবং সত্যব্ৰত কলিতা মৎস বিভাগের বিরুদ্ধে দুৰ্নীতির নানা অভিযোগ করেন। সত্যব্ৰত কলিতা অভিযোগ করেন, মৎস সঞ্চালকালয়ের মৎস উন্নয়ন সহকারি তথ্য অফিসার বিল বণ্টনের নামে উৎকোচ গ্ৰহণ করে। জবাবে মন্ত্ৰী জানান, বিষয়টি সরকারের গোচরে এসেছে, সরকারের তদন্তকারী অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করে প্ৰজেক্ট মনিটরিং ইউনিটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জাকির হোসেন শিকদারের এক প্ৰশ্নের জবাবে পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন বিভাগের মন্ত্ৰী নব কুমার দলে জানান, বরপেটা জেলার পাকা-বেতবারি ডেভেলপমেণ্ট ব্লক, মানকাচড় জেলার দক্ষিণ শালমার ডেভেলপমেণ্ট ব্লক এবং নলবাড়ি জেলার টিহু ডেভেলপমেণ্ট ব্লক ভাড়া ঘরে চলছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.