Header Ads

উত্তর পূৰ্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভার আন্তৰ্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন


নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ আন্তৰ্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্ৰধান ড০ অমলেন্দু চক্ৰবৰ্তী উত্তর পূৰ্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভার পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে মাতৃভাষার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন- ‘চৰ্যাপদের সময় থেকে এখন পৰ্যন্ত বাংলা ভাষার অনেক পরিবৰ্তন হয়েছে। বৰ্তমানে পৃথিবীর যেকোনও জায়গায় বাংলা ভাষায় কথা বলার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমেরিকাতেও বাংলা ভাষা সরকারীভাবে গৃহীত হয়েছে। বাংলা ভাষা হচ্ছে সবচেয়ে মিস্টি ভাষা। একজন বাংলাভাষী হিসেবে আমি গৰ্বিত।’ মাতৃভাষা দিবসের এদিনের অনুষ্ঠানে বোড়ো সাহিত্য সভার সভাপতি তরেন বোড়ো এবং সম্পাদক কামেশ্বর বোড়ো দুজনেই বাংলাতেই বক্তব্য রাখেন। তরেন বোড়ো বললেন- ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় বাংলাভাষীদের তাদের মাতৃভাষার প্ৰতি সংকীৰ্ণ মনোভাব আছে। তার কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্ৰে দেখা যায় বাংলাভাষী দুজনের মধ্যে দেখা হলে তারা নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলেন না অন্য ভাষায় কথা বলেন। বরাক এবং ত্ৰিপুরাতে মানুষগুলো নিজেদের মাতৃভাষার প্ৰতি যথেস্ট উদার মনোভাব রাখেন। তার জন্য তিনি তাদের যথেস্ট প্ৰসংশা করেন। তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্ৰহণের সুযোগ সরকারকে অবশ্যই করে দিতে হবে। বলেন- গান বাজনা থেকে কোনও সংস্কৃতির জন্ম হয় না , বরং ভাষা থেকে জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়। আক্ষেপ করে বলেন- বোড়ো পপুলেশন ২৫ লক্ষ রয়েছে। কিন্তু শুধু মাত্ৰ ১৫ লক্ষ মানুষ বোড়ো ভাষায় কথা বলে। মাতৃভাষার এই দুৰ্দশা থেকে যাতে কাটিয়ে ওঠা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, এদিন অনুষ্ঠানে মনিপুরী সাহিত্য সভার উপ সভাপতি রামলাল সিনহা ‘ঋতম’ নামে একটি মুখপত্ৰ উন্মোচন করেন। এ ছাড়াও অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্ৰিপুরা, নাগাল্যান্ড থেকে আসা বক্তারা মাতৃভাষা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রাখেন। এদিন অনুষ্ঠানে কবি সম্মেলন হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কবিরা অনুষ্ঠানে নিজেদের রচিত কবিতা পাঠ করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা কন্ঠশিল্পী বিপাশা দে, শিলু চক্ৰবৰ্তী ঘোষ প্ৰমুখ গীতিআলেখ্য পরিবেশন করেন।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.