Header Ads

গ্ৰামন্নোয়নে ৬২০ কোটি টাকা থেকে ১৫০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি, বৈপ্লবিক পরিবৰ্তন এসেছেঃ চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি

অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি
বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজ্যের গ্ৰামন্নোয়ন এবং পঞ্চায়েত বিভাগে বৈপ্লবিক পরিবৰ্তন এসেছে। পরিবৰ্তনকামী সরকার গ্ৰাম অসমের তৃণমূল পৰ্যায়ে উন্নয়নমূলক কাজে লিপ্ত হয়েছে। বিগত সরকারের মত আকণ্ঠ দুৰ্নীতিতে নিমজ্জিত হয় নি। আজ বিধানসভায় গ্ৰামন্নোয়ন এবং পঞ্চায়েত বিভাগের ওপর ছাঁটাই প্ৰস্তাবের বিতৰ্কের জবাবে সংসদীয় পরিক্ৰমা মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি বিগত কংগ্ৰেস সরকারের সঙ্গে বৰ্তমান সরকারের গুণগত পরিবৰ্তনের কথা তুলে ধরে এই কথা বলেন। তিনি বলেন ২০১৬ সালে গ্ৰামন্নোয়ন এবং পঞ্চায়েত বিভাগে বাজেট ছিল মাত্ৰ ৬২০ কোটি, ২০১৬-১৭ সালে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে এনরেগা প্ৰকল্পে ব্যয় হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। আগে মাত্ৰ ২ শংতাশ মানুষ জব কাৰ্ড পেয়েছিল, এখন ২৭ লক্ষ ২৭ হাজার মানুষ জব কাৰ্ড পেয়েছে। ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়েছে। আগে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হত আবাস যোজনার জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার, এবং অন্যান্য নিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কংগ্ৰেস রাজত্বে টিনের ঘর থাকা, আৰ্থিকভাবে স্বচ্ছল মানুষদেরও ঘর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ভূমিহীন মানুষদের ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে ঘর বানানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে। এবছর ২ লক্ষ ৫৯ হাজারকে ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্ৰা ধাৰ্য করা হয়েছে। পঞ্চায়েত কৰ্মচারিদের পারিশ্ৰমিক দেওয়ার সম্পৰ্কে মন্ত্ৰী জানান, নিজস্ব উৎস থেকে বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে। কংগ্ৰেসের আব্দুল খালেক, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, রূপজ্যোতি কুৰ্মী প্ৰমুখ অভিযোগ করেন, ভিজিলেন্স কমিটির বৈঠক ডাকা হয় না, পঞ্চায়েত সদস্যদের পদগুলি খালী পড়ে আছে। ৪৫ মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। আব্দুল খালেক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষার মত সফল প্ৰকল্পগুলি গ্ৰহণ করার আৰ্জি জানান। তাদের অভিযোগ পঞ্চায়েত সচিবের বহু পদ খালী হয়ে পড়ে আছে । মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি তাদের পরিপূরক প্ৰেশ্নর জবাব দিয়ে বিগত কংগ্ৰেসের সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, কংগ্ৰেস রাজত্বে ২৭ লক্ষ ২৭ হাজার ঘর দেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে দুৰ্নীতির অভিযোগে ৪ লক্ষ-র চেয়ে বেশি ঘর বাতিল করে দেওয়া হয়। ৭৫ হাজার অসম্পূৰ্ণ হয়ে পড়ে আছে। বিজেপির পদ্ম হাজরিকা অভিযোগ করেন, দুটি বাসের মালিক স্বচ্ছল অবস্থা মানুষদেরও আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার নজির আছে। খালেক প্ৰশ্ন তুলেন, দুৰ্নীতির অভিযোগে থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হোক। এই দুই বিভাগের বিতৰ্কে মামুন ইমদাদুল হক, আব্দুল খালেক, রবিরাম নাৰ্জারি, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ প্ৰমুখ অংশ গ্ৰহণ করেছিলেন। সুজাম উদ্দিন অভিযোগ করেন হাইলাকান্দি জেলার রাস্তা-ঘাটের দূরবস্থা চূড়ান্ত পৰ্যায়ে পৌঁছিয়েছে। ১৪তম অৰ্থ কমিশনের অৰ্থ আজও পাওয়া যায়নি। কিশোর নাথ বলেন, প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্যই অসম উন্নতি হয়েছে। কংগ্ৰেস জমানার দুৰ্নীতির জন্য বৰ্তমান সরকারকে ভূক্তে হচ্ছে। তিনি পঞ্চায়েত ও গ্ৰামন্নোয়ন যোজনায় ব্যাপক দূৰ্নীতির অভিযোগ করে বলেন, রামধন তন্তুবাই নামে এক বিপিএল পরিবার, তার নামে বিভিন্ন সামগ্ৰী সরবরাহকারী হিসাবে কোটি কোটি টাকার সিণ্ডিকেট চালানো হচেছ, অথচ সেই ব্যক্তি জানেই না। একজন জে ই তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আব্দুল হোসেন লস্কর নামে এই জে ই-কে দূৰ্নীতির অপরাধে বড়খোলা থেকে নলাবাড়িতে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কোনও কাজ হয়নি। কংগ্ৰেস সদস্য নন্দিতা দাস অভিযোগ করেন, এক একটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অধীন ১০-১৫ হাজার পরিবার বাস করে, সীমা নিৰ্ধারণ (ডেলিমিটিয়েশন) করে ৬ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু তা করা হচ্ছে না, তার জন্য তহবিলের টাকার পরিমান কমে যাচ্ছে। ১৪ তম বেতন কমিশনের অৰ্থ আজও ব্যবহার করা যায় নি। বিভিন্ন সময় ডেপুটি কমিশনারদের কাজ থেকে পরস্পর বিরোধী নিৰ্দেশ আসার ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচেছ। আদৰ্শ  সংসদ গ্ৰাম যোজনার জন্য বিশেষ অৰ্থ ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিংহ-র বকো অঞ্চলে তার আদৰ্শ গ্ৰাম যোজনাকে অবহেলা করা হচ্ছে। গুণজ্যোতি দাস বলেন, যে হারে অৰ্থ বরাদ্দ হচ্ছে, তা সদব্যবহার হলে গ্ৰাম অসমের পুরো চিত্ৰটায় পাল্টিয়ে যেত। মতিউর রহমান মণ্ডল, ডেপুটি কমিশনার এবং সাৰ্কেল দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগ করেন, কোনও সাধারণ মানুষ যেতে ভয় পায়।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.