Header Ads

চা নগরী হিসেবে খ্যাত ডিব্রুগরের জগন্নাথ মন্দির দর্শকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে

 
ডিব্ৰুগড় থেকে দেবযানী পাটিকর
উজান অসমের চা নগরী হিসেবে খ্যাত ডিব্রুগরের জগন্নাথ মন্দির ধর্মীয় ক্ষেত্র হিসেবে দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বিতীয় সংস্করণ এই মন্দিরটি। মন্দিরটি সম্পুৰ্ণ পাথরের তৈই। অপূর্ব এর বস্তু শিল্প। পাঁচ বিঘা জমির ওপর তৈরি এই মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে অর্থাৎ সিংহ দ্বারে দু’টি বিশাল সিংহ রয়েছে। ২০১৪ সালে এই মন্দিরটি উদঘাটন করেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জেবি পট্টনায়ক।  ডিব্রুগরের মোহানবাড়ি বিমান বন্দর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে খনিকর চা বাগানে অবস্থিত এই মন্দির উড়িষ্যার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে হুবহু তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরটির চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। মন্দিরের শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ স্বাভাবিক ভাবেই দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। মন্দিরের দেয়ালে রয়েছে বহু দেব দেবীর মূর্তি। রয়েছে ভগবান কৃষ্ণের জন্ম থেকে শুরু করে শ্রী কৃষ্ণের দ্বারা অর্জুনকে উপদেশ দেওয়া সমস্ত কিছুই মূর্তির দ্বারা দেখানো হয়েছে। এই চা বাগানের বেশিরভাগ শ্রামিকরা ওড়িয়া। তারা সকলেই ভগবান জগন্নাথের ভক্ত।এঁদের কথা মাথায় রেখেই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরটি তৈরির পেছনে সেই সময়ের রাজ্যপাল জেবি পট্টনায়কের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান মন্দিরে রয়েছে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং শুভদ্রা। জগন্নাথ মন্দির হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এই মন্দিরে রয়েছে রামসীতা লক্ষণ, শিব, হনুমান, গনেশ ও নবগ্রহ। রয়েছে স্নান ঘর। রয়েছে গণেশের বাহন ইঁদুর ও শিবের বাহন বলদ। লোকের বিশ্বাস, এই বাহনদের কানে নিজের মনোকামনা বললে তা পূর্ণ হয়। তবে রথের সময় এখানে খুব ভীড় হয়। আশেপাশের এলাকা থেকে লোকেরা এই মন্দিরে ভিড় জমান।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.