করিমগঞ্জে স্বাধীনতা আন্দোলনে স্মৃতি বিজড়িত মালেগড় টিলাকে পৰ্যটনক্ষেত্ৰ গড়তে ৫০ লক্ষ টাকা
অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি,
১৮৫৭সালে ভারতের প্ৰথম স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় করিমগঞ্জ জেলার মালেগড় টিলায় অবস্থিত চট্টগ্ৰামের ৩৪ নম্বর নেটিভ ইনফেণ্ট্ৰি'র ৩ টা কোম্পানীর ২০০ সেনা ব্ৰিটিশের জেলা আধিকারীর কাৰ্যালয় ধ্বংস করে, কোষাগার ভেঙে লুট করে লাতু হয়ে মণিপুরের দিকে অগ্ৰসর হয়। জানা গেছে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সিলেট লাইট ইনফেণ্ট্ৰি কমানডেণ্ট মেজর বিং নেতৃত্বাধীন ১৬০ সেনা লাতুরের দিকে অগ্ৰসর হয় এবং মালেগড়ে মুখোমুখী সংৰ্ঘষে লিপ্ত হয়। সেই যুদ্ধে ৩৪ নম্বর নেটিভ ইনফেণ্ট্ৰির ২৬ জন এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর মেজর বিং সহ ৫ সেনা জীবন আহুতি দেন। সেখানে ২৬ জন সেনাকে সমাধিস্থ করা হয়। আজ বিধানসভায় উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্ৰেস সদস্য কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ-র এক প্ৰশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করিমগঞ্জের মালেগড় টিলার ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরা হয়। সংসদীয় পরিক্ৰমা মন্ত্ৰী চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারি এই ঐতিহাসিক তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, করিমগঞ্জ জেলার প্ৰশাসন এবং পৰ্যটন বিভাগের সহযোগে টিলার উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের কোনও ধরণের খনন চালানোর কৰ্মসূচী নেই। ২০১৯-২০ অৰ্থ বছরে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা মালেগড়ের পৰ্যটক আকৰ্ষক বৃদ্ধির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। পৰ্যটন বিভাগের মন্ত্ৰী নব কুমার দলে জানিয়েছেন, করিমগঞ্জের মালেগড় টিলাকে এখনও ‘অসমের প্ৰাচীন কীৰ্তিচিহ্ন এবং তথ্য অধিনিয়ম ১৯৫৯' এবং ‘অসমের প্ৰাচীন কীৰ্তিচিহ্ন এবং তথ্য বিধির ১৯৬৪' বিভাগের অধীনে বৰ্তমানও অন্তৰ্ভুক্ত করা হয় নি। তবে পরে বিহিত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।
বুধবার বিধানসভায় প্ৰশ্নোত্তর পৰ্বে কংগ্ৰেস পরিষদীয় দলের নেতা দেবব্ৰত শইকিয়ার এক প্ৰশ্নের জবাবে শ্ৰমকল্যাণ বিভাগের মন্ত্ৰী পল্লব লোচন দাস জানান, চা বাগানের সকল শ্ৰমিককে ৩৫০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হয় প্ৰস্তাবটি এখনও একজন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে বিবেচনাধীন হয়ে আছে। ক্ষুদ্ৰ চা বাগানগুলিতে কৰ্মরত শ্ৰমিকদের কল্যাণে অসম স্মল টি গাৰ্ডেন প্ল্যানটেশন ওয়াৰ্কাস স্কীম নামে এক প্ৰকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সুজাম উদ্দিন লস্কর-র এক প্ৰশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য জানান, হাইলাকান্দি জেলায় সংস্কৃতি টোলের সংখ্যা একটি, তার নাম স্বরূপানন্দ মিশন সংস্কৃতি বিদ্যাপীঠ। অনন্ত কুমার মালোর এক প্ৰশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্ৰী জানিয়েছেন, অসমে ৩,৪০৭টি প্ৰাদেশিকৃত উচ্চ এবং ৬২৫টি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এই সব বিদ্যালয়গুলিতে ১৯,২৩০ টি পদ খালি পরে আছে। সুজাম উদ্দিন লস্করের অপর এক প্ৰশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্ৰী জানান, হাইলাকান্দির কাটলিছড়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশন স্থাপনের জন্য ৭৯৭.৯০ লক্ষ টাকার টেণ্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এ পৰ্যন্ত ৫০৯.৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্ৰশাসনীয় ভবন এবং কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। বৰ্তমানে কাজ চলছে। কিশোর নাথের এক প্ৰশ্নের জবাবে জলসম্পদ বিভাগের ভারপ্ৰাপ্ত মন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য জানান, বন্যা ও ধ্বস প্ৰতিরোধে বড়খোলা নিৰ্বাচন কেন্দ্ৰের অধীন নন্দীগ্ৰাম অঞ্চল, মাণিকপুর অঞ্চল, দুধপাতিল, রায়পুর এবং অন্নপূৰ্ণ ফেরিঘাট অঞ্চলে মথুরামুখ থেকে মাসিমপুর পৰ্যন্ত এবং ছত্ৰসনগাঁও বাঁধ নিৰ্মাণের প্ৰস্তাব নেওয়া হয়েছে। নুরুল হুদার এক প্ৰশ্নের জবাবে সাংস্কৃতিক বিভাগের দায়িত্বপ্ৰাপ্ত মন্ত্ৰী নব কুমার দলে জানান, রাজ্যে বৰ্তমানে ২৬ টি জেলা গ্ৰন্থাগার ১৫ টি মহকুমা গ্ৰন্থাগার এবং ১৯৯টি গ্ৰামীন গ্ৰন্থাগার আছে। ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর এক প্ৰশ্নের জবাবে জলসম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্ৰাপ্ত মন্ত্ৰী জানান, ডিব্ৰুগড়, তিনসুকিয়া, শিবসাগর, যোরহাট, ধেমাজি, ধুবড়ি, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, মাজুলি, দরং, নলবাড়ি, কামরূপ, মরিগাঁও, নগাঁও, শোণিতপুর, বিশ্বনাথ, উত্তর লখিমপুর প্ৰভৃতি জেলার ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের ফলে বন্যা ও ধ্বসের কবলে পরে। আমিনুল ইসলামের এক প্ৰশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য জানান, উচ্চ প্ৰাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ২৪,৮৬২জন, নিম্ন প্ৰাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ৬৫,১৮১জন, মাধ্যমিক (গ্ৰ্যাজুয়েট) টেট পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ৩১১৭জন, পিজিটি টেট পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ২৬০৫জন, স্পেসাল টেট (হিন্দী/সংস্কৃতি) পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ৮৪৩জন, স্পেশাল টেট (বিটিসি/এনসিএইচএসি) পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ৩৫৮জন, স্পেশাল টেট (আদৰ্শ বিদ্যালয়) পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ৩০৭জন এবং মাদ্ৰাসা টেট পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হয়েছে, ২০২০১জন, বৰ্তমান পৰ্যন্ত প্ৰাথমিক পৰ্যায়ে উত্তীৰ্ণ প্ৰাৰ্থী ৯০,০১৩জন তার মধ্যে উচ্চ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে ১২,৯৮৬, নিম্ন প্ৰাথমিক পৰ্যায়ে ৫৯,৯১৯ জনকে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে মাদ্ৰাসা টেট উত্তীৰ্ণ ২০২০১ জনের মধ্যে কাউকে নিযুক্তি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে মাধ্যমিক টেট উত্তীৰ্ণ ৭২৩০র মধ্যে ৩৩০৩কে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। খালি হয়ে আছে নিম্ন প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ ১২১০০টি। উচ্চ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়গুলির প্ৰধান শিক্ষকের পদ খালি আছে ৮৬১, বিজ্ঞান শিক্ষকের ৭৩৫ টি পদ খালি, হিন্দী শিক্ষকের ১৮৯৩ টি পদ খালি, আরবী শিক্ষকের ২৯৬ টি পদ খালি, ভাষা শিক্ষকের ৪৩৫ টি পদ খালি, মণিপুরি শিক্ষকের ৭৩৫ টি পদ খালি, সহকারি শিক্ষকের ৩৭৮৭ টি পদ খালি আছে। এ ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্ৰধান শিক্ষকের ৯৫৬ টি পদ, সহকারি প্ৰধান শিক্ষকের ২৩৫ টি, সহকারি শিক্ষকের ১৫৯২৩ টি পদ খালি হয়ে আছে। এই খালি পদগুলি পূরণের প্ৰক্ৰিয়া চলছে। রাজ্যে প্ৰি-সিনিয়র, সিনিয়র মাদ্ৰাসা এবং আরবী কলেজগুলির খালি হয়ে থাকা পদগুলির সংখ্যা হচ্ছে ৪৮০টি। মাদ্ৰাসা টেট উত্তীৰ্ণ ২০২০১ জন টেট প্ৰার্থীকে নিয়োগ না করার অন্যতম কারণ হাইকোৰ্টে ২৫টিরও বেশি জনস্বাৰ্থ জড়িত মামলা চলছে।বৰ্তমানে প্ৰাথমিক বিদ্যালয়গুলিত কোনও কম্পিউটার শিক্ষক নেই। মাধ্যমিক শিক্ষার অন্তৰ্গত বিদ্যালয়গুলিতে ১২৬০জন কম্পিউটার শিক্ষক আছে। তাদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে পারিতোষিক দেওয়া হয়। পারিতোষিক বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের হাতে নেই।
১৯৫০ সাল থেকে ৪.২ লক্ষ হেক্টর জমি নদীগুলিতে তলিয়ে গেছেঃ সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য
অসমে প্ৰতিবছর বন্যা আর ব্যাপক ধ্বসের ফলে কোটি কোটি টাকার জীবন ও সম্পত্তি ধ্বংস হয়। শুধু ব্ৰহ্মপুত্ৰ নয়, তার শাখা উপনদী এবং বরাক উপত্যকার বরাক নদী সহ এবং অন্যান্য উপনদীগুলিতে ব্যাপক হারে ধ্বস নামে। ১৯৫০ সাল থেকে আজ পৰ্যন্ত ৪.২ লক্ষ হেক্টর জমি নদীগুলিতে তলিয়ে গেছে। আজ বিধানসভায় জলসম্পদ বিভাগ নিয়ে বিতৰ্কে সব দলের সদস্যরা রাজ্যে ভয়ংঙ্কর বন্যা ও ধ্বস নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বিধানসভার সৰ্বদলীয় প্ৰতিনিধি দল দিল্লীতে গিয়ে অসমের ভয়াবহ বন্যা-ধ্বস সম্পৰ্কে ওয়াকিবহাল করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্ৰহণের দাবি জানান। এআইইউডিএফ সদস্য হাফিজ বশির আহমেদ-র এক প্ৰস্তাব জলসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব প্ৰাপ্তমন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য মেনে নিয়ে বলেন, সৰ্বসন্মত প্ৰস্তাব এলে তা বিবেচনা করা হবে। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামীও নীতিগত সমৰ্থন করে বলেন, এর আগেও সৰ্বদলীয় প্ৰতিনিধি দলকে দিল্লীতে পাঠানো হয়েছিল। আজ বিধানসভায় জলসম্পদ বিভাগের ওপর বিতৰ্কের জবাবে ভারপ্ৰাপ্ত মন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য বলেন, জলসম্পদ বিভাগকে শুধু সমস্যা হিসাবে গণ্য না করে সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। অসমের প্ৰতিবছর বন্যার ফলে মোট জমির ৭.৪ শতাংশ নদীগুলিতে তলিয়ে যায়। জাতীয় প্ৰতিবেদন অনুযায়ী অসমে ৩১,৫০০ বৰ্গ কিলোমিটার বন্যাপ্ৰবন এলাকা। রাজ্যে ৪ হাজারের বেশি কিলোমিটারের বাঁধ আছে। অনেক বাঁধের সময়সীমা উত্তীৰ্ণ হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার স্বল্পকালীন এবং দীৰ্ঘকালীন বিভিন্ন প্ৰকল্প গ্ৰহণ করে থাকে। কিন্তু অৰ্থের অভাবে দীৰ্ঘকালীন প্ৰকল্পগুলি যথাযথ রূপায়ন করা যায় না। মন্ত্ৰী বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, বন্যা প্ৰতিরোধে অৰ্থের সংস্থান করা যাচ্ছে না। কিন্তু সাংবিধানিক পরম্পরা এবং পরিষদীয় রীতি-নীতি মেনে ছাঁটাই প্ৰস্তাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তিনিও চান অৰ্থের বরাদ্দ বৃদ্ধি পাক। বিরোধীদের উত্থাপিত চীনের ‘হোয়াংহো' নদীর কথা উল্লেখ করে বলেন, এই নদীকে একদিন দুঃখের নদী বলা হত। এখন হোয়াংহো চীনের সুখের নদী। এই নদী চীনের সমৃদ্ধি ও বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্ৰহণ করেছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰর মত বৃহৎ নদকেও উপযুক্ত পরিকাঠামোর মাধ্যমে সুখের নদীতে পরিণত করা যেতে পারে। এর জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের উপর অধ্যয়ন করছে, এর জন্য নীতি আয়োগ ১০০ কোটি টাকা বাজেট প্ৰস্তুত করেছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল ব্ৰহ্মপুত্ৰ উন্নয়ন সম্পৰ্কে এক বিস্তৃত প্ৰতিবেদন প্ৰধানমন্ত্ৰীর নরেন্দ্ৰ মোদীর কাছে দাখিল করেছেন। ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদে ড্ৰেজিং করে নদীর দুই পাশে এক্সপ্ৰেস হাইওয়ে নিৰ্মাণের প্ৰস্তাব কেন্দ্ৰীয় সরকারের হাতে প্ৰদান করা হয়েছে। মন্ত্ৰী জানান বন্যা নিয়ন্ত্ৰণের জন্য ১০০ টি প্ৰকল্পের মধ্যে ৫২ টি প্ৰকল্প এখনও বাকি আছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার আগে ৯০ঃ১০ অনুপাতিক হারে অসমকে অনুদান দিতো, এখন তা সংশোধন করে ৮০ঃ২০ অনুপাতে অনুদান পাচ্ছে। তাই রাজ্যিক শেয়ারের টাকার বহর বেড়ে গেছে। কেন্দ্ৰকে ১৭৮ কোটি টাকা দিতে হবে। পুরো প্ৰকল্প রূপায়নে ৩২০ কোটি টাকার প্ৰয়োজন। বাজেটে ধাৰ্য করা হয়েছে মাত্ৰ ৯০ কোটি টাকা। এশিয়ান ডেভেলপমেণ্ট ব্যাঙ্ক থেকে দ্বিতীয় পৰ্যায়ে ৫৮১ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার প্ৰস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্ৰীয় সরকারকে, এর টাকায় মাজুলী, কজিরঙা এবং ডিব্ৰুুগড়ে ধ্বস প্ৰতিরোধে ব্যবহার করা হবে। রাজ্য সরকার ধ্বস প্ৰতিরোধে ‘এ্যরোশন ম্যানেজমে°ট ফাণ্ড'এর ব্যবস্থা করেছে। এই তহবিলের জন্য ১০০ কোটি টাকার দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। যে সব ধ্বসপ্ৰবণ অঞ্চলগুলিতে কাৰ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা হয়েছে। বন্যার ফলে কোনও ব্যক্তির যাতে মৃত্যু না হয়, কারও যেন চোখের জল না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য অসম সরকার নিরলসভাবে কাজ করেই যােচ্ছ বলে অঙ্গিকার করেন, দায়িত্ব প্ৰাপ্ত জলসম্পদ মন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য।
কোন মন্তব্য নেই