Header Ads

রাজ্যবাসী যদি বদরুদ্দিন আজমলকে মুখ্যমন্ত্ৰী পদে বসাতে চায় তবে তাদের বলার কিছুই নেইঃ রঞ্জিত দাস

অগপ-র সঙ্গে মিত্ৰতা ভঙ্গের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বিজেপি সভাপতির, ১৭ ফেব্ৰুয়ারি অমিত শাহ আসছেন


গুয়াহাটিঃ বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাস আজ আনুষ্ঠানিকভাবে অগপর সঙ্গে মিত্ৰতা ভঙ্গের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। গতকাল বিজেপির রাজ্যিক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সরকারের স্থিতির বিরুদ্ধে গিয়ে শরিক দল অগপ আন্দোলনে নেমেছিল। অগপ-র তিন মন্ত্ৰী অতুল বরা, ফণী ভূষণ চৌধুরী এবং কেশব মহন্ত পদত্যাগ করার পরেও তাদের পদত্যাগ পত্ৰগুলি রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় নি। কেন্দ্ৰীয় বিজেপি নেতৃত্ব শক্তিশালী আঞ্চলিক দল হিসাবে অগপকে পাশে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত বিজেপি অগপকে সরিয়ে দিয়ে মিত্ৰতা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিল। সভাপতি বলেন, বিপিএফ শরিক দল হিসাবেই তাদের সঙ্গেই থাকবে। অসম সরকার অসমের জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষায় প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ। তারপরেও অসমের মানুষ যদি বদরুদ্দিন আজমলকে মুখ্যমন্ত্ৰী পদে বসাতে চায় তবে তাদের বলার কিছুই নেই। সভাপতি রঞ্জিত দাস জানান, আগামী ১৭ ফেব্ৰুয়ারি লখিমপুরে বিজেপির যুব মোৰ্চার এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে প্ৰায় ১ লক্ষ মানুষ উপস্থিত থাকবে। সেখানে বিজেপির রাষ্ট্ৰীয় সভাপতি অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, নাডার আহবায়ক তথা মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা প্ৰমুখ উপস্থিত থাকবেন। রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটির স্বাভাবিক মৃত্যুর পর বিল বিরোধী আন্দোলনকারীরা রাজ্যে জুড়ে উৎসব আনন্দে মেতেছে। আজ বড়ঝাড় বিমান বন্দরে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কৰ্ণাড সাংমাকে নায়কের সম্মান দিয়ে কয়েক শো মানুষ তাকে স্বাগত জানান। কংগ্ৰেসের সাংসদ ভূবনেশ্বর কলিতা, রিপুন বরা, দেবব্ৰত শইকিয়াদেরও একই ভাবে স্বাগত জানানো হয় বিমান বন্দরে। কৰ্ণাড সাংমা বলেন, তাদের এই জয় উত্তর পূৰ্বাঞ্চলেরে প্ৰতিটি রাজনৈতিক দলের জয়। আসু, নেসো অপরদিকে কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতি, জাতীয়তাবাদী যুব শক্তি পরিষদ প্ৰভৃতি ৭০টি জাতীয় সংগঠন-এর পক্ষ থেকে আজ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জল ভট্টাচাৰ্য বলেন, অধিক উৎফুল্লিত হওয়ার প্ৰয়োজন নেই, কেন্দ্ৰীয় সরকার বিভিন্ন সময় নিৰ্দেশনা এবং বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা বাতিল করতে হবে। লংটাৰ্ম ভিসা বাতিল করতেই হবে, অখিল গগৈ বলেছেন, আবার বিল উত্থাপনের চেষ্টা করা হলে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীকে অসমে প্ৰবেশে বাধা দেওয়া হবে। তিনি বিশিষ্ট বুুদ্ধিজীবি ড০ হীরেন গোঁহাই-র প্ৰতি কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করেন। সেই সঙ্গে ভূপেন হাজরিকার পুত্ৰ তেজ হাজরিকাকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ভূপেন হাজরিকার মরণোত্তর ভারতরত্ন প্ৰত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.