Header Ads

চারদিকে হিংসা, অস্থিরতার পরিবেশ, তবুও আজ শুধুই ভালোবাসার দিন


দেবযানী পাটিকর
গুয়াহাটিঃ ভালোবাসা এক অলৌকিক স্বর্গীয় অনুভূতি। প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সাথে পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ভালোবাসাকে ভালোলাগার প্রিয় মানুষের সাথে শেয়ার করার দিন। এদিন শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাই নয়, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব, মা -সন্তান ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ মানুষরা একে অন্যকে তাদের ভালোবাসা শেয়ার করে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে দিনটি খুব আনন্দ উল্লাসের সাথে পালন করা হয়। এই একটি দিনই সন্ত্রাস, রক্তাক্ত হিংসায় জর্জরিত রাজনীতির মারপ্যাঁচে আবদ্ধ লোভ-লালসায় ভরা দুনিয়াতে আসে প্রেম ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে পশ্চিমী দেশগুলোর পাশাপাশি প্রাচ্য দেশগুলিতেও এখন এই সংস্কৃতির উচ্ছ্বাস লেগেছে। সময় বদলেছে, বদলেছে প্রেমের ধরন কিন্তু আজও লাল গোলাপ দিয়ে শুরু হয় প্রেম নিবেদন। ভালোবাসার প্রতীক লাল গোলাপ। গুয়াহাটি মহানগরীর সমস্ত বাজার, দোকান শপিং মল উপরে পড়েছে লাল গোলাপে । রঙিন হয়েছে গুয়াহাটি মহানগর। মহানগরের বাজার সেজে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রীতে। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই ভ্যালেন্টাইনস দিন কে ঘিরে সাজ সাজ রব। হইচই উন্মাদনা, সৌখিন উপহার, গ্রিটিংস কার্ড, চকলেট, সেন্ট, হীরের গয়না, এর সঙ্গে এসএমএস, ই-মেইল, বা অন লাইন চ্যাটিং চলতেই থাকে। নামি- দামি রেস্তোরাঁতে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুতেই আজ ভালবাসার দিনে একট বেশি বেশিই হবে। যেহেতু একজন মানুষের ভালবাসার পরিধি তার আশেপাশে বহু প্রিয় জনকে ঘিরে বিস্তৃত থাকে তাই আজ ভালোবাসার দিন সার্বজনীন। হিংসা হানাহানির যুগে, কংক্রিটের জগতে ভালোবাসার জন্য ধার্য করা মাত্র একটি দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রেমিক-প্রেমিকারা তাই সমস্ত বাধাকে উপেক্ষা করে বছরের এই দিনে মেতে ওঠে। ফুল ফুটুক, আর না ফুটুক আজ বসন্ত। এ সময় প্রাকৃতিও রূপ পরিবর্তন করে। পলাশ, শিমুল ফুলের রঙে লাল হয়ে উঠে প্রকৃতি। রং বেরঙের নানা রঙে সেজে উঠে চারদিকের পরিবেশ।  আমরা মানুষ হিসেবে সব ভালোবাসাকে ভালবাসি বলেই ভালবাসার মধ্যে বেঁচে আছি। আমাদের আসেপাশে অনেক মানুষ আছে যাঁদের জীবনে ভালবাসার প্রয়োজন রয়েছে। আজ সেই মানুষগুলির কথা ভাবা খুব প্ৰয়োজন। আমরা মানুষকে ভালোবাসবো জীবনের প্রতি ক্ষণে, প্রতিপল, তাহলেই হয়তো ১৪ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিন হিসেবে পবিত্র, উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
 ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রি তথা চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দি অবস্থায় তিনি এক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন। এতে তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। সেদিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি তার স্মরণে এই দিনটি ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.