Header Ads

গুজরাট সীমান্তে পাকিস্তানের ড্ৰোণ ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনাবাহিনী

ছবি, সৌঃ এনডিটিভি
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, নয়াদিল্লিঃ  গত ১৪ ফেব্ৰুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পাল্টা জবাব দিল ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী। ১২ দিন পর ১২টি মিরাজ ২০০০ নিয়ে প্ৰত্যাঘাত চালায় বায়ুসেনা বাহিনী। সোমববার ভোর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী। ২১ মিনিট ধরে চলে ১০০০ কেজি বোমা ফেলা। পাকিস্তান থেকে ড্ৰোণ পাঠিয়েছিল গুজরাটের কচ্ছ সীমান্তে। মঙ্গলবার সেটাকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাবাহিনী। বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফ্‌রাবাদে জইশ-ই-মহম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের কন্ট্রোল রুম আলফা-৩। ধ্বংস করা হয় হিজবুল ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিও। বেঁছে বেঁছে জঙ্গি প্ৰশিক্ষণ শিবির চিহ্নিত করে পত্যাঘাত চালানো হয়। সুত্ৰের খবর, পুলওয়ামা হামলার পর আরও হামলার পরিকল্পনা করেছিল জইশ। এদিনের বায়ুসেনার অভিযানে লেজার পড ব্যবহার করা হয়। সেনাবাহিনীর এই অভিযানে খতম হয়েছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মূল মাথা মাসুদ আজহারের দুই ভাই ইব্রাহিম আজহার, মৌলানা তালহা সইফ ও শ্যালক ইউসুফ আজাহার। বলা যায়, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এটাই এযাবৎকালের সবথেকে বড় অভিযান ভারতের৷ সূত্ৰের খবর, এদিনের স্ট্রাইকের টার্গেটে ছিল জইশের অন্যতম নেতা মুফতি আজহার খান, যে কাশ্মীরের অপারেশনাল হেড হিসেবে কাজ করত। ছিল জইশের মাথা মাসুদ আজহারের বড় ভাই ইব্রাহিম আজহার। এই ইব্রাহিম আজহারই কান্দাহারের বিমান হাইজ্যাকের পিছনে ছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও তালিকায় ছিল মৌলানা অমর, যার দায়িত্বে ছিল কাশ্মীর ও আফগানিস্তান। আর ছিল প্রিপারেশন উইংয়ের হেড মাসুদ হাজহারের আরেক ভাই মৌলানা তালহা সইফ। ভারতীয় বায়ুসেনার অতৰ্কিত এই হামলায় বলা যায় রীতিমতো হিমসিম খেয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, হামলার আগে পাকিস্তানকে ডসিয়ার দিয়েছিল ভারত। পাৰ্শ্ববৰ্তী রাজ্যকে ৪২ জঙ্গির তালিকা দিয়েছিল ভারত। বায়ুসেনার এই হামলার পর মঙ্গলবার বেলা ১১ টা নাগাদ পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন পাক প্ৰধানমন্ত্ৰী ইমরান খান। বৈঠকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় হামলাকে চূড়ান্ত আগ্রাসন বলে মন্তব্য করা হয়। পরে ইমরান খান বলেন, ‘সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় উপযুক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান।’ বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনী ও দেশের সাধারণ মানুষকে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতের এই হামলার ঘটনা অৰ্থাৎ ‘পাল্টা জবাবের নীতি’কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.