Header Ads

গুয়াহাটিতে শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠানগুলির আশেপাশে ৬২.৫ শতাংশ তামাক জাতীয় সামগ্ৰী বিক্ৰি হচ্ছে!

প্ৰতীকী ছবি
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটিতে যেসব শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠানগুলি রয়েছে তার কাছেপিঠে ৫৫. ৮৭ শতাংশ খুচরো ব্যবসায়ী গুটকা, তামাকজাত সামগ্ৰী বিক্ৰি করছে। এছাড়াও সিগারেট সমেত অন্যান্য ধুম্ৰপান জাতীয় সামগ্ৰী বিক্ৰি হচ্ছে ৬২.৫ শতাংশ। সম্প্ৰতি একটি নিরীক্ষায় আইন অমান্যকারী এই তথ্য প্ৰকাশ্যে এসেছে। নিরীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে মহানগরের ৫৯.৫৪ শতাংশ বিক্ৰেতা বিভিন্ন শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের আশেপাশে বিভিন্ন ব্ৰ্যান্ডের তামাক জাতীয় সামগ্ৰীর বিজ্ঞাপন প্ৰদৰ্শন করেছে। সিগারেট এবং অন্যান্য তামাক জাতীয় সামগ্ৰী ২০০৩ আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নিচে কাউকে তামাক জাতীয় সামগ্ৰী বিক্ৰিতে অনুমতি নেই। তবে মহানগরে এক্ষেত্ৰে দেখা যাচ্ছে প্ৰশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠানগুলির আশেপাশে ১০০ গজের মধ্যে চকলেট এবং চিপ্‌স এর সঙ্গে দেদার বিকোচ্ছে গুটখা, পান, তামাক জাতীয় সামগ্ৰী। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এই নিরীক্ষা, চলে ১৪ ফেব্ৰুয়ারি পৰ্যন্ত। মহানগরের ২২ টি ওয়াৰ্ডের ৪২টি শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠানের আসপাশে পানের দোকান, রাস্তার ধারে পানের ডালা নিয়ে বসা বিক্ৰেতাদের মধ্যে নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে ৮৭.৭২ শতাংশ বিক্ৰেতাই খদ্দের টানতে খোলাখুলিভাবে গুটখা, তামাক, চিপ্‌স সাজিয়ে রাখছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূৰ্ণ বিষয়টি হচ্ছে যে ৯১.৭৪ শতাংশ দোকানেই সাঁটানো নেই তামাক অথবা ধুম্ৰপান নিয়ে কোনো সাবধান বাৰ্তা। ৬৪ শতাংশ বিক্ৰেতাই চকলেট এবং চিপ্‌স-এর সঙ্গে গুটখা, সিগারেট এবং তামাক জাতীয় সামগ্ৰী বিক্ৰি করছে। ফলে ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েরা চকলেট কিংবা চিপ্‌স কিনতে গিয়ে গুটখা অথবা অন্য তামাক জাতীয় সামগ্ৰীর নেশার কবলে পড়ছে। এক্ষেত্ৰে কেন্দ্ৰীয় স্বাস্থ্য মন্ত্ৰক, হাউজিং ও শহুরে দারিদ্ৰ হ্ৰাস মন্ত্ৰক অসম সরকারকে তামাক জাতীয় সামগ্ৰীর সঙ্গে চকলেট, চিপ্‌স বিক্ৰিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.