Header Ads

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে উত্তরপূর্ব রাজ্যের রাজনৈতিক দলের বৈঠক সম্পন্ন


দেবযানী পাটিকরঃ গুয়াহাটি,
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের ১১ টা রাজনৈতিক দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়ে যায়। আজ গুয়াহাটির হোটেল তাজ ভিভান্তাতে দিন জোড়া কার্যসূচিতে এই গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১ টি আঞ্চলিক দলের সাথে বিজেপির ৬ মিত্র দলও অংশগ্রহণ করে। এই সভাতে অসম গণ পরিষদ (এজিপি) সহ ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ), পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ), ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউডিপি), হিলস স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচএসপিডিপি), ইণ্ডিজেনাস পিপলস ফ্রণ্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি), নাগা পিপলস ফ্রণ্ট (এনপিএফ), এনডিপিপি, কেএনএইচএএম এবং জেডি (ইউ), রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে বিজেপিৰ শরিকদল অগপর সদ্য মন্ত্রিত্বপদ ত্যাগ করা অতুল বরা, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা, মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং ,ও ত্রিপুরার মন্ত্রী এম জামাতিয়া উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে অসম গণ পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি একত্রিতভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করার সংকল্প গ্রহণ করে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালকে সাক্ষাৎ করে এখানকার লোকেদের আবেগের কথা জানাবেন। কারণ এই বিল পাশ হলে এখানকার লোকেদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তারা আশংক্ষা প্ৰকাশ করেন।সংসদের ভিতরে বাইরে বিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করার কথা উল্লেখ করা হয় এই সভাতে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা আশা প্রকাশ করে বলেন, যে কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্ৰই এই বিলের বিরোধিতা সম্পর্কে উপলব্ধি করে এই বিলটিকে নাকচ করবে। তিনি আরও বলেন, যে এই বিলের বিরোধিতা করার জন্য সবই একত্রিত হওয়া কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়, শুধু বিলের বিরোধিতা করার জন্যই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কোনও ভাবেই যাতে বিলটি পাশ না হয়, এই সভা আয়োজনের উদ্দেশ্যেই হচ্ছে শুধু বিলের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা। অপরদিকে রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ে এক সংবাদ মেল সম্বোধন করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস বলেন, যে এই বছরটা বিজেপির জন্য কৃতকার্যতার বছর, অসম চুক্তির ৬ নং দফা কার্যকরী করার জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপ গ্রহণ, ছয় জনগোষ্ঠীকে জনজাতি তপশিলভুক্ত করার পদক্ষেপ, সুধাকণ্ঠকে ভারতরত্ন প্রদান, স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের বিজিপির মিত্রজোটের জয়লাভ। এই বিষয়গুলিকে বিজেপির কৃতকার্যতা বলে মন্তব্য করেন তিনি। সভাপিত রঞ্জিত দাস আরও বলেন, যে বিলটিকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, রাজ্যে প্রায় ফরাসি বিপ্লবের মতো অবস্থা হয়েছে। এটা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, এর মাঝ দিয়েই পেরুতে হবে। অপরদিকে নলবাড়ির ঘঘ্রাপাড়াতে আসুকর্মীর উপর আক্রমণের বিরোধিতার জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে আসুকর্মীর প্রতিবাদে উত্তল হয় রাজপথ। গুহাটিতেও আসুকর্মীরা উত্তাল প্রতিবাদ সাব্যস্ত করায় পুলিশ অনেক প্রতিবাদকারিকে আটক করে, পরে তাদেরেক ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু এটাই নয় বিভিন্ন শ্লোগানে প্রতিবাদকারীরা রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে উত্তপ্ত প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে, ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। আজকের এই প্রতিবাদের ফলে গুয়াহাটি মহনগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.