Header Ads

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্বে প্রতিবাদে বিভিন্ন দল সংগঠন

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ সংসদে গৃহীত হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর এ ঘোষণার পর এখন ক্ষোভে জ্বলছে গোটা রাজ্য। আসু, কৃষকমুক্তি সংগ্ৰাম সমিতি, এজেওয়াইসিপি সমেত প্রায় ৭০টি আঞ্চলিক সংগঠন এবার নামল প্রতিবাদে। বিল গৃহীত হলে বিষম পরিস্থিতি হবে বলে হুঙ্কার বিভিন্ন দল সংগঠনের। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে  আন্দোলনে ৭ জানুয়ারিতে রাজ্য জুড়ে পালন করা হবে ‘কালা দিবস'। ওদিকে ৮ তারিখে ১১ ঘণ্টা অসম বনধের ডাক দিয়েছে আসু সহ ৩০টি জনগোষ্ঠীয় সংগঠন। বনধ হবে সকাল ৫টা থেকে বিকেল ৪ টে পৰ্যন্ত। সম্পূর্ণ ১০ বছর পর বনধ ঘোষণা করল আসু । এই বনধে সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়বে। ওদিকে ‘কালা দিবস’ পালন করে জাতি ধ্বংসী বিলের প্রতিলিপি দাহ করে পালন করা প্রতিবাদ করবে প্রতিবাদকারীরা।শিলচরের জনসভাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য করেছিলেন- সংশোধনী বিলটি গৃহীত হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেছিলেন- সরকার বিলটিকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং বিলটি গৃহীত হওয়ার জন্য বিজেপি সরকার বদ্ধপরিকর। এই বিল সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সম্পর্কে বলেন-  ‘কখনই অসমিয়া ভাষা সংস্কৃতিকে বিপন্ন হতে দেওয়া হবে না। অসমবাসীকে শঙ্কিত হতে হবে না। অসমবাসীর অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল আমাকে, আমার সেই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’ অন্যদিকে, আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য বলেন- খিলঞ্জিয়া মানুষের মতামত শুনতে হবে। তবে পরীক্ষা এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে বন্ধ থেকে রেহাই দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ নগাঁওয়ে কংগ্রেসের এক সভায় বিজেপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মোদি শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিতে জানেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে সমালোচনা করেন অসমের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুন গগোই। হিমন্তকে সমালোচনা করে গগৈ বলেন- হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কংগ্রেসকে ধ্বংস করেছে এবং এবার বিজেপিকেও ধ্বংস করবে। প্রধানমন্ত্রীর এসে শান্ত অসমকে অশান্ত করে গেলেন। তিনি আরও বলেন-  এটাই হবে শরাইঘাটের শেষ যুদ্ধ। অসমের অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বরা বলেন- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসমে এসেছেন আগুন লাগানোর জন্য। মোদি এসেই বিক্ষোভের বীজ রোপণ করে গেলেন। এ নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী অর্ধেন্দু কুমার দে বলেন- মোদি এসে অসমের সম্পর্ক আরও খারাপ করে দিয়ে গেলেন। ১৪টি আসনের জন্য লড়তে অসমে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোট। নিজের লক্ষ্যের জন্য তিনি এই রাজনীতি করছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.