Header Ads

২৪ ঘন্টার অসম বনধের প্রভাব আংশিক ছিল ডিমা হাসাও জেলায় বনধে স্তব্দ পাহাড় লাইনে রেল চলাচল


বিপ্লব দেব, হাফলং
তিনসকিয়ার ধলার নরসংহারের জেরে সমগ্র রাজ্য জুরে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে ধলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বাঙালি সম্প্রদায়ের পাঁচজনকে গুলি করে নৃশংস ভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে সারা অাসাম বাঙালী যুব ছাত্র পরিষদের ডাকা ২৪ ঘন্টা বনধের মিশ্র প্রভাব পড়ে ডিমা হাসাও জেলায়। জেলাসদর হাফলং উমরাংশু দিয়ুংমুখে বনধের কোন প্রভাব পড়েনি। তবে পাহাড়ি জেলার মহকুমা সদর মাইবাং কালাচান্দ লাংটিং হাতিখালি মান্দারডিসা মাহুর হারাঙ্গাজাওয়ে বনধ পালিত হয় সর্বাত্মক। এসব স্থানে বাজার হাট দোকান পাট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সবই ছিল বনধের আওতায়। তবে সরকারী কার্যালয় গুলি খুলা থাকলেও কর্মচারীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এদিকে শনিবার অসম বনধের জেরে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্দ হয়ে পড়ে। শনিবার ওই রেলপথে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করেনি। সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশনের ডাকা ২৪ ঘন্টার অসম বনধের জেরে আজ সকাল থেকেই লামডিং স্টেশনে হাজার হাজার পুরুষ মহিলা লামডিং স্টেশনে জরো হয়ে রেল অবরোধ গড়ে তোলে এতে গুয়াহাটি-শিলচর ফাষ্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন লামডিং স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে লামডিং স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে হাহাকারের সৃষ্টি করে। লামডিং স্টেশনে দেখা দেয় তীব্র উত্তেজনা। বনধ সমর্থককারীরা পুরো রেল ট্র্যাক অবরোধ করে রাখার জেরে লামডিং স্টেশনে সহ বিভিন্ন স্টেশনে বহু যাত্রীবাহী ট্রেন আটকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে যার দরুন রেল যাত্রীদের ব্যাপক দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় শনিবার। এদিকে তিনসুকিয়ার ধলায় এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে মাইবাং লাংটিং হাতিখালিতে ক্যান্ডাল মিছিল করে স্থানীয় বাসিন্দা সহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যান্ডাল মিছিল করে প্রতিবাদকারীরা ধলার এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করে অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদানের দাবি জানায় বিভিন্ন সংগঠন। অন্যদিকে ধলার এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১০ টায় হাফলং সাংস্কৃতিক ভবন থেকে এক মৌনমিছিল বের করা হবে। এদিকে ধলার এই হত্যাকান্ডের ঘটনার জন্য বাঙালি ছাত্র সংস্থা শনিবার তাদের বিজয়া সন্মেলন অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.