Header Ads

অসুস্থ রোগীর হাতে হ্যান্ডকাফ! গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পের ভয়ঙ্কর কাণ্ড, সুপ্ৰিম কোৰ্টের নিৰ্দেশের পরও হেলদোল নেই কৰ্তৃপক্ষের

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গোয়ালপাড়াঃ এই পৃথিবীতে জন্মগ্ৰহণ করা প্ৰত্যেকটি মানুষেরই ভালোভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার রয়েছে। যুদ্ধবন্দী মানুষও এই অধিকার থেকে বঞ্চিত নয়। রাষ্ট্ৰসংঘে মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকারের ক্ষেত্ৰে একজন মানুষের নাগরিকত্বের প্ৰশ্নও উঠতে পারে না। দেশের সৰ্বোচ্চ আদালতও ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা নাগরিকদের মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার নিৰ্দেশ দিয়েছে। ঠিক সেসময়ই গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন ক্যাম্পে ডি ভোটারের অভিযোগ চাপিয়ে রতন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ন্যূনতম মানবাধিকারটুকু কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের বিছানায় অসুস্থ অবস্থায়ও ওই ব্যক্তির হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে রাখার ঘটনায় গোটা রাজ্যে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বঙাইগাঁও জেলার মাণিকপুর থানার অন্তৰ্গত গেরুকাবারী গ্ৰামের বাসিন্দা। জানা গেছে, বঙাইগাঁওয়ের বিদেশী ন্যায়াধীকরণ দরিদ্র ওই লোকটিকে বিদেশী বলে মতামত দিয়েছে। এরপরই ২০১৬ সালের ১৯ মে পুলিস তাঁকে গ্ৰেফতার করে গোলায়পাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেয়। গত প্ৰায় আড়াইবছর ধরে তিনি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। গ্ৰেফতারের সময়ই তিনি বিভিন্ন রোগে আক্ৰান্ত ছিলেন। ডিটেনশন ক্যাম্পে থেকে তাঁর শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে তাঁর পেটে অসহ্য যন্ত্ৰণা হলে কারাগার কৰ্তৃপক্ষ তাঁকে গোয়ালপাড়া অসামরিক হাসপাতালে ভৰ্তি করায়। মৃত্যু যন্ত্ৰণায় ছটফটাতে থাকা সত্বেও রতন বিশ্বাসের হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাসপাতালের বিছানার সঙ্গে বেধে রাখা হয়। পরিজনদের অভিযোগ, যে রোগী বিছানা থেকেই ভালোকরে উঠে বসতে পারে না তাঁকে এইভাবে পশুর মতো বেধে রাখায় তাঁর শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। রোগাক্ৰান্ত বন্য পশুর ওপরও এধরনের অমানবিক ব্যবহার করা হয় না। পরিবারের লোকজনের দাবি রতন বিশ্বাসের বাবা প্ৰয়াত ব্ৰজেন্দ্ৰ বিশ্বাসের নামে ১৯৬৬ সালের ভোটার তালিকা, ১৯৬০ সালের জমির দলিল, ১৯৭১ সালের ভোটার তালিকাও রয়েছে। বিদেশী ঘোষিত হওয়ার আগে আবেদন করা নথির ভিত্তিতে এনআরসি-র খসরায়ও তাঁর নাম উঠেছে। বাঙাইগাঁও জেলার নোয়াপাড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অফিসে ১০১৮৩১৯০২১১০০৩০৩০০৬১১ এআর নম্বরের ভিত্তিতে খসড়ায় তাঁর নাম অন্তৰ্ভূক্ত হয়েছে। এরপরও কিভাবে তিনি বিদেশী বলে ঘোষিত হলেন, প্ৰশ্ন পরিবারের লোকজনের। হাসপাতালের বিছানায় তাঁর হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.