Header Ads

বাঙালিদের প্ৰতি সমদৃষ্টি নেই সমাজ, সংবাদ মাধ্যমে রবিবার একথাই বোঝালেন রাজ্যের পূৰ্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বাঙালিদের প্ৰতি সমদৃষ্টি নেই সমাজ, সংবাদ মাধ্যমে রবিবার একথাই বোঝালেন রাজ্যের পূৰ্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। তিনি বলেন, বাঙালি সংগঠনের ডাকা অসম বনধে সমৰ্থন করেছে বলে অভিযোগ রাজ্য সরকার বিরুদ্ধে। কারণ, সৰ্বশিক্ষা মিশন প্ৰাথমিকের গুণোৎসব পিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এর আগের গুণোৎসবের সময়ও বরপেটা, ধুবড়িতে শিক্ষক বাছাই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন কেন প্ৰশ্ন উঠল না সরকার বনধ সমৰ্থন করেছে? শনিবারের বনধে রাস্তায় টায়ার পুড়েছে, সমৰ্থকদের তাণ্ডবে সরকার, জনগণের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে নানা জায়গায়। অথচ আগের বনধগুলিতেও একইভাবে সম্পত্তি নষ্ট হলেও ক্ষতিপূরণের দাবি কেন ওঠেনি? প্ৰশ্ন তোলেন তিনি। এদিন খবর প্ৰকাশে সংবাদ মাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্ৰশ্ন তোলেন তিনি। কখন বনধ সফল হলে সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে ফ্লপ, আবার কখনও বনধ না হলেও বলা হচ্ছে বনধ সফল। নাগরিকত্ব বিলের বরুদ্ধে জাতীয়তাবাদের প্ৰবল স্ৰোতে দাঁড়িয়ে এই প্ৰশ্নগুলি করেন তিনি। বিতৰ্ক প্ৰতিক্ৰিয়ার কোনও তোয়াক্কা না করে এদিন তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিদের প্ৰতি মোটেই সমতা রক্ষা হচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যম কিংবা সামাজিক অবস্থান সবই একপেশে। তাই তিনসুকিয়া জেলার ধলায় জঙ্গিদের নারকীয় কাণ্ডের পর বাঙালি ফেডারেশনের ডাকা বনধ নিয়ে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। বনধের প্ৰেক্ষিতে গুণোৎসব পিছিয়ে দিতে শিক্ষা বিভাগের প্ৰাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অৰ্থমন্ত্ৰী বলেন, ‘আমার হাতে তথ্য রয়েছে, এর আগেও বিভিন্ন বনধের প্ৰেক্ষিতে বহু পরীক্ষা পিছোনোর নজির রয়েছে। আসুর বনধের ফলে ম্যাট্ৰিক পরীক্ষা অবধি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সরকারের সমৰ্থন নয়, আসলে ছোট ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু প্ৰশ্ন উঠে গেল সরকার সমৰ্থন করছে।’ তবে তিনি কোনও বনধকেই সমৰ্থন করেন না। তাঁর দাবি, ‘গুয়াহাটি হাইকোৰ্ট অসমে বনধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই অসমে বনধ ডাকা মানেই আদালতের অবমাননা করা। তাই ব্যক্তিগতভাবে তিনি বনধের বিরোধী। তাই তাঁর মতে বিজেপি, কংগ্ৰেস, এআইইউডিএফ যারাই বনধ ডাকুক না কেন, বনধের বিরোধীতা করা উচিত। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তাঁর আৰ্জি, সংবাদ মাধ্যম যেন বনধের খবর পরিবেশন না করে, তাহলে বনধের প্ৰভাব অনেকটাই কমে যাবে। কেউ বনধ ডাকলে সংবাদ মাধ্যম সেই খবর প্ৰকাশিত না করলে বনধ হবে না। উস্কানিমূলক বক্তব্যের দায়ে আলোচনাপন্থী আলফা নেতা জিতেন দত্ত, মৃণাল হাজরিকাকে গ্ৰেফতার করলেও বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবকে কেন গ্ৰেফতার করা হয়নি? সাংবাদিক বৈঠকে এই প্ৰশ্ন উঠলে শিলাদিত্যের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, সকলের মন্তব্য এক ধরনের কিনা সেটা নিশ্চিত খতিয়ে দেখতে হবে। সরকার সবই খতিয়ে দেখে। আসলে জিতেন, মৃণালরা বাঙালিদের হত্যার হুমকি দিলেও শিলাদিত্যের বক্তব্য এখনও সেদিকে যায়নি। সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। তবে শিলাদিত্যের নাম মুখে না এনেও তার দায় ঠেলেছেন সংবাদ মাধ্যমের ওপর।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.