Header Ads

অসমের জটিল পরিস্থিতিতে সদ্ভাব সংহতি রক্ষায় বাক সংযমের আহবান জানালেন বাংলা পোর্টাল নয়া ঠাহর-এর সম্পাদক

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিকপঞ্জী, প্ৰস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে কেন্দ্ৰ করে অসমে হিন্দু-মুসলিম, অসমিয়া-বাঙালি বিভাজন ক্ৰমশ দীৰ্ঘ থেকে দীৰ্ঘতর হচ্ছে। রাজ্যে সাম্প্ৰাদায়িক সম্প্ৰীতি বিনষ্ট হচ্ছে। রাজ্যের একাংশ স্বাৰ্থান্বেষী মহল, একাংশ সংবাদ মাধ্যম এমনকি স্বাধীন অসমের স্বপ্ন দেখা সশস্ত্ৰ আন্দোলনে বিশ্বাসী আলফাও এই  জটিল পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত বা দলীয় মুনাফা অৰ্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মন্তব্য এই পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তুলছে। রাজ্যের উন্নয়ন থমকে গেছে। এই প্ৰেক্ষাপটে নয়া ঠাহর-এর সম্পাদক অমল গুপ্ত মঙ্গলবার নিউজ-১৮ টিভি চ্যানালে টক শোয়ে অংশ গ্ৰহণ করে রাজ্যের বরাক-ব্ৰহ্মপুত্ৰের বিভিন্ন সংগঠন, বুদ্ধিজীবি ও রাজনৈতিক নেতাদের কথাবাৰ্তা ও মন্তব্যের সময় রাজ্যের স্বাৰ্থকে উৰ্দ্ধে রেখে বাক সংযমের আহবান জানান। আকসার প্ৰতিষ্ঠাতা প্ৰদীপ দত্ত রায়ের মন্তব্যকে দুৰ্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে তাঁকে প্ৰশ্ন করেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলেই কি রাজ্যের বাঙালিদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে? তিনি প্ৰশ্ন করেন, অসমিয়া-বাঙালিদের মধ্যে চিরন্তন সদ্ভাবের মধ্যে ভাঙন ধরাতে তৃতীয় কোনও শক্তি জড়িত নেই তো? অসমের একমাত্ৰ বাংলা নিউজ পোৰ্টাল নয়া ঠাহর-এর সম্পাদক অমল গুপ্ত বরাকের নেতা প্ৰদীপ দত্ত রায়ের মন্তব্যকে সমালোচনা করার পাশাপাশি ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় সালফা নেতাদের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন। বলেন, এক সালফা নেতা ‘বাঙালিদের ঘর জ্বালিয়ে দেবো, অস্ত্ৰ হাতে তুলে নেব বলে হুমকি দিয়েছেন।' প্ৰসঙ্গত আকসা তথা বিজেপি নেতা বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ না হলে বরাক উপত্যকা ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকা থেকে সরে আসবে। অবশ্যে আজ তিনি এই মন্তব্য থেকে সরে এসে বলেছেন, বাঙালিদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বন্ধ না হলে পৃথক বরাকের ডাক দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকবেনা। এই টক শো-এ অংশ গ্ৰহণ করে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হীরেণ্য শইকীয়া আলফার সঙ্গে কেন্দ্ৰীয় সরকারের আলোচনা ফলপ্ৰসূ হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্ৰকাশ করে বলেন, আলফার কমাণ্ডার ইন চিফ পরেশ বরুয়াকে আলোচনার টেবিলে না আনা পৰ্যন্ত এই সমস্যা সমাধানের কোনও পথ দেখা যাচ্ছে না। নিউজ-১৮-এর সাংবাদিক প্ৰাঞ্জল ভূইয়া এই টক শো সঞ্চালনা করে বলেন, রাজ্যে অসমিয়া-বাঙালিদের মধ্যে যাতে কোনও ধরণের সম্প্ৰীতি বিনষ্ট না হয় তা সুনিশ্চিত করতেই হবে। রাজ্যের বৃহত্তর স্বাৰ্থে তা করা জরুরি।  আলোচনাপন্থী আলফা নেতা অনুপ চেতীয়া টক শো-তে প্ৰদীপ দত্ত রায়ের সমালোচনা করে বলেন, পৃথক বরাক হলে তিনসুকিয়া, ডিব্ৰুগড়ের বাঙালিদের তিনি কি বরাকে নিয়ে যাবেন? অনুপ চেতীয়া অসমিয়া-বাঙালিদের সম্প্ৰীতির উপর জোর দেন। প্ৰসঙ্গত বরাকের আকসা তথা বিজেপি নেতা প্ৰদীপ দত্ত রায় আজ প্ৰথম নন ষাটের দশক থেকেই পৃথক বরাকের দাবি উঠছে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার বিশিষ্ট এক বুদ্ধিজীবি তার দীৰ্ঘ কলমে লিখেছিলেন, ‘বরাক উপত্যকা ক্যান্সার স্বরূপ। তাকে কেটে বাদ দেওয়াই ভালো। যত তাড়াতাড়ি ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকা থেকে সরে যাবে ততোই রাজ্যের মঙ্গল।'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.