Header Ads

এন আর সি ছুট মানুষগুলিকে ওয়াৰ্ক পারমিট দেওয়ার ভাবনা

অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরামৰ্শ মেনেই অসমে ওয়াৰ্ক পারমিট দেওয়ার পথেই হাঁটছে কেন্দ্ৰ   

অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি
দেশের মধ্যে সৰ্বপ্ৰথম অসমে অবৈধ নাগরিক শনাক্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নবায়নের কাজ চূড়ান্ত পৰ্যায়ে। ৪০ লক্ষ জ্জহাজার ৭০৭ জন মানুষের নাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। দাবি আপত্তির মাধ্যমে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম তালিকায় অন্তভূক্ত হবে না। বাদ পরা মানুষদের সিংহভাগই বাংলাভাষি হিন্দু-মুসলিম মানুষ। তাই প্ৰতিবেশী রাষ্ট্ৰ বাংলাভাষি বাংলাদেশ অসমের নাগরিকপঞ্জী প্ৰস্তুতকে কেন্দ্ৰ করে নানা ঘটনাক্ৰম গভীরভাবে নিরিক্ষণ করছে। অসম-বাংলাদেশ ২৬৩ কিঃমিঃ সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বাংলাদেশ সরকার। ধুবুড়ি সীমান্তবৰ্তী বাংলাদেশের কুরিগ্ৰাম জেলায় গত শুক্ৰবার ১৯জন বাংলাদেশীকে গ্ৰেফতার করেছে বাংলাদেশ সরকার। জানা গেছে ১৯ জনই বাংলাদেশী শ্ৰমিক দিল্লীতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিল। ভারতস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনার ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, নাগরিকপঞ্জী নবায়ন ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সেই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কোনও নাক গলাবে না। এন আর সি থেকে বাদ পড়া একজনকেও তারা গ্ৰহণ করবে না, ইতিমধ্যে গৃহমন্ত্ৰালয়কে বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে। তবে গুয়াহাটিস্থিত বাংলাদেশের সহকারি হাই কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে প্ৰকৃতাৰ্থে যদি বাংলাদেশের মানুষ থাকে, নিৰ্দিষ্ট ঠিকানার সন্ধান পাওয়া যায়, তবে সেই মানুষগুলিকে বাংলাদেশ সরকার গ্ৰহণ করবে। কিছু দিন আগে প্ৰায় ৬০জন বাংলাদেশীকে বাংলাদেশ সরকার গ্ৰহণ করেছে। অসমের মানকাচার সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। সৰ্বভারতীয় এক ইংরেজী সংবাদ পত্ৰ কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰককে উদ্ধৃতি দিয়ে অসমে এন আর সি উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পৰ্কে জানিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ এন আর সি তালিকাভুক্ত হবে না, তা ধরে নিয়েই স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক বিভিন্ন বিকল্প ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। সূত্ৰটি বলেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিতাড়ন করা সম্ভব নয়। নিৰ্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি মাধ্যমে এই দেশে থাকার ব্যবস্থা করে, কেবল কাজের অধিকার (ওয়াৰ্ক পারমিট) সুনিশ্চিত করা হবে। এই সিদ্ধান্তের আগে কেন্দ্ৰীয় সরকার তড়িঘড়ি করে হলেও রাজ্যের প্ৰতিজন মানুষের আধার কাৰ্ড ইস্যু করে দেবে। আধার কাৰ্ড প্ৰস্তুত করতে গেলে প্ৰতিজন মানুষকে বায়োমেট্ৰিক পরীক্ষার মুখোমুখী হতে হয়। প্ৰতিজন মানুষের আঙুলের ছাপ, চোখের মণি ইত্যাদি সংগ্ৰহ করে রেখে আধার কাৰ্ড তৈরি করা হয়। প্ৰতিজন মানুষের স্বকীয় বৈশিষ্ট নাম ঠিকানা ইত্যাদি সরকারের ঘরে রেকৰ্ড রাখা হবে, মানুষগুলিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। সেই মানুষগুলিকে কোনও ধরণের প্ৰশাসনিক হেনস্তার মুখোমুখি হতে হবে না। তবে তাদের ভোট দানের মতো সাংবিধানিক প্ৰদত্ত মৌলিক অধিকার খারিজ করা হবে। আসু সহ রাজ্যের জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির প্ৰধানত দাবি বহিরাগতরা যেন দিশপুরে দখল নিতে না পারে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই চিন্তা ভাবনা করে কেন্দ্ৰীয় গৃহমন্ত্ৰালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই মানুষগুলিকে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর প্ৰশ্ন নেই। তবে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপারে জমি-জমা কেনা-বেচার ক্ষেত্ৰে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ‘অসমে থাকো, কাজ-কৰ্ম করো' তবে কোনও সাংবিধানিক অধিকার দেওয়া হবে না। বিজেপি প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল বিহারী বাজপেয়ী বরাক উপত্যকায় এক নিৰ্বাচনী সভায় বলেছিলেন, অসমের জনবিন্যাস, মিশ্ৰ জনগোষ্ঠীর তাদের সঙ্গেই সহাবস্থান করে সরকারকে চলতে হবে। বিতাড়ন সম্ভব নয়, পরিশ্ৰমি মানুষগুলিকে ওয়াৰ্ক পারমিট দিয়ে এ রাজ্যে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে রাজনৈতিক অধিকার সঙ্কুচিত করা হবে। বৰ্তমান দেশের ১৯টি রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন। অসমে এন আর সি সফল হলে অন্যান্য রাজ্যেও তা চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকার। অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরামৰ্শ মেনেই অসমে ওয়াৰ্ক পারমিট দেওয়ার পথেই হাঁটছে কেন্দ্ৰ।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.