Header Ads

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্ৰণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ভিজিলেন্সকে লাগানো হয়েছে অভিযোগ সিদ্দেক আহমেদের

গৌতম রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা চলছে, এই সময়ই সিদ্দেক আহমেদের সম্পত্তির খোঁজ শুরু  

গুয়াহাটিঃ বরাক উপত্যকার দোৰ্দন্ত প্ৰতাপ কংগ্ৰেস নেতা তথা কয়েক বারের মন্ত্ৰী গৌতম রায় বিজেপি দলে যোগ দেবেন বলে প্ৰাক প্ৰস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন, বিজেপি দলে যোগ দেওয়া ছাড়া তার কোনও গত্যন্তর নেই। রাজ্য রাজনৈতিক জগতের ওয়াকিবহাল মহলের এমনই অভিমত। গৌতম রায় বিজেপিতে যাবেন বলে জোর চৰ্চার মধ্যেই বরাকের প্ৰাক্তনমন্ত্ৰী সিদ্দেক আহমেদ-এর বিষয় সম্পত্তির খোঁজ খবর করার জন্য প্ৰাক্তনমন্ত্ৰীর অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্ৰী ভিজিলেন্স এবং এ্যন্টি করাপশন সেল গতকাল বরাক উপত্যকায় ঘাঁটি গেঁড়েছে। প্ৰাক্তনমন্ত্ৰীর রবার খেত সহ বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালিয়ে মন্ত্ৰীর বাড়ির ছবি সংগ্ৰহ করে। ভিজিলেন্স সেলের পক্ষ থেকে প্ৰাক্তনমন্ত্ৰীর সঙ্গে যোগযোগ করা হয়েছিল বলে সিদ্দেক জানান। তিনি বৰ্তমানে গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন। তার অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ এই প্ৰতিবেদকের কাছে এক রাশ ক্ষোভ প্ৰকাশ করে বলেন, তিনি মাত্ৰ ২ বারে ২ বছর ৯ মাস মন্ত্ৰীর পদে আসীন ছিলেন। প্ৰথম বার সমবায়, সীমান্ত উন্নয়ন দ্বিতীয় বার শিল্প বাণিজ্য বিভাগের কেবিনেট মন্ত্ৰীর পদে। তখন তার বিরুদ্ধে একটিও দুৰ্নীতি ধরা পরে নি, তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ভাবে ষড়যন্ত্ৰ  শুরু হয়েছে। বরাক থেকে ৪-৫ বার করে মন্ত্ৰী হওয়া কংগ্ৰেস নেতারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না করে কেন তাকেই বারবার টাৰ্গেট করা হচ্ছে বলে প্ৰশ্ন তোলেন। আগামী লোকসভার নিৰ্বাচনের আগে তাকে টাৰ্গেট করে বিজেপির কি লাভ হচ্ছে বলেও প্ৰশ্ন করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্ৰণোদিতভাবে তাকে দুৰ্বল করার জন্য মুখ্যমন্ত্ৰীর অফিস থেকে এই ষড়যন্ত্ৰ করা হয়েছে। আগামী শুক্ৰবার করিমগঞ্জে ফিরে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে সব কিছু খুলে বলব বলে জানান। সিদ্দেক জানান, কংগ্ৰেস সভাপতি রিপুন বরা, সাংসদ সুস্মিতা দেব, বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ তার খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী রকিবুল হুছেইনের পর তাকে বিজেপি টাৰ্গেট করছে রাজনৈতিক মুনাফা লাভের লক্ষ্যে। বরাকের কংগ্ৰেস নেতা গৌতম রায় বিজেপি দলে যোগ দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে তবে সিদ্দেক এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন। প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী সিদ্দেক আহমেদের ঘনিষ্ঠ সূত্ৰ জানান, বরাকের ধনী এবং অগাধ সম্পত্তির মালিক গৌতম রায়। এপিএসসি, সমাজ কল্যাণ, জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ প্ৰভৃতি দুৰ্নীতির সঙ্গে বিভিন্ন সময় গৌতম রায়ের নাম জড়িয়েছে। সেই সব দুৰ্নীতিথেকে মুুক্তি পাবার জন্য গৌতম রায় শেষ পৰ্যন্ত বিজেপি দলেই যাবে বলে বিজেপির বিভিন্ন সূত্ৰ দাবি করেছে। শুধু গৌতম রায় নয় বরাকের অন্য এক প্ৰাক্তন ধনী মন্ত্ৰীর সম্পত্তি নিয়েও ভিজিলেন্স সেল খোঁজ খবর করছে। কিন্তু গৌতম রায় এখন পৰ্যন্ত কোনও দলে যাওয়া সম্পৰ্কে নিরবতা পালন করেই যাচ্ছেন। বিজেপির এক মুখপাত্ৰ জানান, বিজেপি সরকার দুৰ্নীতির ক্ষেত্ৰে শূন্য সহনশীল নীতি গ্ৰহণ করেছে। কংগ্ৰেস বলে নয় দুৰ্নীতির বিরুদ্ধে যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ থাকবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.