Header Ads

হেরিটেজে স্থান পেতে চলছে শতাব্দী প্রাচীন লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেলপথ।

মিটারগেজ রেলপথের ধনুকসেতু
বিপ্লব দেব, হাফলংঃ শতবর্ষ প্রাচীন লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেলপথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত অংশ এবার হেরিটেজে স্থান পাচ্ছে। দীর্ঘ টানপুরোনের পর অবশেষে শতাব্দী প্রচীন লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেল পথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার অংশ হেরিটেজ মানচিত্রে জায়গা পেতে চলছে। এর জন্য মোট ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলবিভাগ। একশো বছর পুরোন ঐতিহ্যবাহী লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেলপথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও অংশকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রেলবোর্ড এমনটাই দাবি করেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের এক সুত্র। ইতিমধ্যে মালিগাঁও ও লামডিং ডিভিশনে হেরিটেজ নিয়ে বৈঠক ও অনুষ্ঠিত হয়ে যায় বলে জানা গেছে।  সুত্র মতে মিটার গেজ রেলপথের লোয়ার হাফলঙের কাছে দিয়ুং নদীর উপর যে সেতু নিলাম করে দিয়েছিল রেলবিভাগ তা আবার নতুন করে তৈরী করবে রেল বিভাগ। মিটারগেজের যে সব স্থানে রেলট্র্যাক তুলে নেওয়া হয়েছিল সেই স্থানে আবার নতুন করে রেললাইন পাতা হবে। এরজন্য ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শতবর্ষ প্রাচীন ওই মিটারগেজ রেলপথকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখতে ইতিমধ্যে রেলবোর্ডের সবুজ সঙ্কেত মেলার পর ওই ঐতিহ্যবাহী মিটারগেজকে নিয়ে আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন পাহাড়বাসী কারন মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার অংশকে হেরিটেজ হিসেবে রেখে দেওয়া হলে পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা বেড়ে অসমের একমাত্র এই হিলস্টেশনে। রাজ্যসরকার উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ও রাজ্যের পর্যটন বিভাগ পাহাড়ি জেলাকে এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এবং ওই মিটারগেজ রেলপথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও অংশকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত হয়ে উঠবে পাহাড়ি জেলা। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ সম্প্রসারনের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে মিটারগেজ রেলপথ বন্ধ করে দিয়ে মেগাব্লক ঘোষনা করে। সে সময় থেকেই ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন দল সংগঠন মিটারগেজ রেলপথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত অংশকে হেরিটেজ রেলপথ হিসেবে রেখে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল তবে রেলমন্ত্রক এনিয়ে তেমন কোনও গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি হেরিটেজ প্রকল্প সম্পূর্ণ হিমঘরে চলে গিয়েছিল। তবে আরোও একবার শতবর্ষ প্রাচীন ওই মিটারগেজ রেলপথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত অংশকে হেরিটেজ হিসেবে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা রেলের পক্ষ থেকে গ্রহন করার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে হেরিটেজের দাবি জানিয়ে আসা দল সংগঠন গুলি। এদিকে দিয়ুং নদীর উপর রেলসেতু নিলাম করে দিলেও লোয়ার হাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত অংশে ধনুক সেতু সহ অন্য সেতু গুলি নিলাম করেনি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল। তবে লোয়ার হাফলং স্টেশনে থাকা যাত্রীবাহী ট্রেনের কিছু কামরা সহ দুটি ডিজেল ইঞ্জিন নিলাম করে দিয়েছিল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল। তবে ঐতিহ্যবাহী ওই মিটারগেজ রেলপথের মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাওয়ের ওই ৫০ কিলোমিটার অংশকে রেলবিভাগ হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখার পরিকল্পনা নেওয়ার খবরে পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.