Header Ads

নেতাজী, শ্যামাপ্ৰসাদ মুখাৰ্জি, লালবাহাদুর শাস্ত্ৰীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবি


মেঘালয়, অসমের রাজ্যপাল, প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তের কাছে অল ইণ্ডিয়া লিগাল এইড ফোরামের স্মারক পত্ৰ
গুয়াহাটিঃ নেতাজী সুভাষ চন্দ্ৰ বসু ১৯৪৫ সালে ১৮ আগষ্ট জাপানের তাইহকু বিমান বন্দরে বিমান দূৰ্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি। জাপানের রেনকোজি মন্দিরে নেতাজীর ভস্মাধার আছে বলে দাবিও সম্পূৰ্ণ মিথ্যা। অবসর প্ৰাপ্ত বিচারপতি মনোজ কুমার মুখাৰ্জি কমিশন তাদের প্ৰতিবেদনে সে কথা স্পষ্ট ভাবে বলে গেছেন। বলে গেছেন নেতাজীর মৃত্যু হয়েছে ঠিকই তবে দেশের বাইরে অনেক পরে। ১৯৪৫ সালের পরেও অভিবক্ত সোভিয়েট রাশিয়ার ওম সিটির সাইবেরিয়া জেলে বন্দী ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। রাশিয়ার কে জি বি গোপন ফাইলে নেতাজীর মৃত্যু সম্পৰ্কে বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু ভারত সরকার মস্কোর সঙ্গে আন্তৰ্জাতিক চুক্তির ফলে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় বিষয়টি গোপন রেখেছে বলে অভিযোগ। রাশিয়াকে কে জি বি-র গোপন ফাইল সম্পৰ্কে সরকারিভাবে চিঠি দিলেই মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হবে। অল ইণ্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম মেঘালয়ের রাজ্যপাল গঙ্গা প্ৰসাদ, অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী এবং অসমের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তের কাছে গত কাল স্মারক পত্ৰ দাখিল করে মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কেন্দ্ৰীয় সরকার যাতে যথোচিত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে তার জন্য আৰ্জি জানিয়েছে। অল ইণ্ডিয়া লিগাল এইড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তথা অল ইণ্ডিয়া বার এসোসিয়েশনের পক্ষে সুপ্ৰীমকোৰ্টের বিশিষ্ট আইনজীবি জয়দ্বীপ মুখাৰ্জি এই স্মারক পত্ৰ দাখিল করেছেন। তিনি তাঁর স্মারক পত্ৰে বিস্তৃত তথ্য দিয়ে বলেছেন, খুবই দুৰ্ভাগ্যজনক স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও নেতাজী সুভাষ চন্দ্ৰ বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হলো না। অল ইণ্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম নেতাজীর আজাদ হিন্দ ফৌজের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য বিদ্যালয় এবং কলেজের পাঠ্যক্ৰম চালু করার দাবি, ২৩ জানুয়ারী নেতাজী জন্ম দিবসকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্ৰায় ৭২ কোটি টাকার সম্পত্তি ও স্বৰ্ণালঙ্কারের হদিস খুঁজে বার করা, লালকেল্লায় নেতাজীর ব্ৰঞ্জের প্ৰতিমূৰ্তি স্থাপন প্ৰভৃতি দাবি ছাড়াও ঐতিহাসিক প্ৰতুল গুপ্তর লেখা ‘হিষ্টরী অফ আই এন এ এ্যণ্ড নেতাজী সুভাষ চন্দ্ৰ বসু' শীৰ্ষক গ্ৰন্থটি প্ৰকাশ করার দাবিও আছে। এই গ্ৰন্থে নেতাজীর মৃত্যু রহস্যের বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। পণ্ডিচেরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক মোরে গবেষণা করে নেতাজীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করে ছিলেন। ফরাসী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন, সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগষ্টে বিমান দূৰ্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয় নি। ব্ৰিটিশ সরকার ঘোষণা করেছিল, নেতাজীর মৃতু্য সংক্ৰান্ত গোপন ফাইল (ফাইল নং এম আই ৫, এম আই ৬), ২০১১ সালে প্ৰকাশ করা হবে। এই আৰ্জির সঙ্গে অল ইণ্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন কাশ্মীরের সেণ্ট্ৰাল জেলে ড০ শ্যামা প্ৰসাদ মুখাৰ্জির রহস্যজনক মৃত্যু এবং ১৯৬৬ সালে সোভিয়েট রাশিয়ায় তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী ড০ লাল বাহাদুর শাস্ত্ৰীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনেরও দাবি জানিয়েছে। তদানীন্তন বিশিষ্ট সমাজবাদী নেতা রাম মনোহর লোহিয়া, প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের জন্য জোরদার দাবি জানিয়েছিলেন। তার পরেই দেখা গেছে রাম মোহন লোহিয়ার দিল্লীর এক নাৰ্সিহোমে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে, এও এক রহস্য মৃত্যু। এই সব মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য সুপ্ৰীমকোৰ্টের একজন অবসর প্ৰাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে অল ইণ্ডিয়া লিগাল এইড ফোরাম। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জয়দ্বীপ মুখাৰ্জির স্মারক পত্ৰ পড়ে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত, মেঘালয় এবং অসমের রাজ্যপাল মৃত্যু রহস্যের বিষয়টি কেন্দ্ৰীয় সরকারকে অবগত করা হবে বলে আশ্বাস দেন। সুপ্ৰীমকোৰ্ট এবং কলকাতা হাইকোৰ্টের বিশিষ্ট আইনজীবি মুখাৰ্জি বলেন, পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও নেতাজীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে বার বার দাবি জানাচ্ছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.