Header Ads

কাছাড় পেপার মিলের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেল, আর কোনও আশা দেখছেনা অভূক্ত শ্ৰমিকরা


গুয়াহাটিঃ রাষ্ট্ৰায়ত্ব সংস্থা হিন্দুস্থান পেপার কপোরেশনের অধীন জাগীরোড পেপার মিল এবং কাছাড় পেপার মিল খোলার নানা প্ৰতিশ্ৰুতির পরও আর রক্ষা করা গেল না। বরাক উপত্যকার একমাত্ৰ ভারিশিল্প কাছাড় পেপার মিলের প্ৰায় ১৫০০ স্থায়ী-অস্থায়ী কৰ্মচারি দীৰ্ঘ ১৮ মাস বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত। জাগীরোড পেপার মিলেরও একই অবস্থা। প্ৰধানমন্ত্ৰী থেকে শুরু করে কেন্দ্ৰীয় শিল্পমন্ত্ৰী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, বরাকের মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য, শিল্পমন্ত্ৰী লাগাতারভাবে প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়ে গেছেন। শেষ পৰ্যন্ত পেপার মিল দুটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার কুলদ্বীপ বাৰ্মাকে ইণ্টারিম রেজুলেশন প্ৰফেশনাল হিসাবে নিয়োগ করলেন। বাৰ্মা কোম্পানী দুটির বিস্তারিত তথ্য জেনে কৰ্মচারিদের দাবি দাওয়া নিস্পত্তির জন্য ন্যাশনাল কোম্পানী ল ট্রাইব্যুনালের কাছে চূড়ান্ত প্ৰতিবেদন দাখিল করবেন। ল ট্রাইব্যুনাল মিল দুটি পুনরুজ্জীবন করার লক্ষ্যে এক উচ্চ পৰ্যায়ের কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশনের প্ৰতিবেদনের উপর মিল দুটির ভবিষ্যত নিৰ্ভর করবে। কাছাড় পেপার মিলের শ্ৰমিক নেতা এআর মজুমদার আজ জানান, মিলটি খোলার আর সম্ভাবনা নেই, মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেল। তারা প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির কাছে স্মারক পত্ৰ দিয়েছেন, জবাবের আশা তারা করে না, কারণ এর আগে বিজেপি নেতা মন্ত্ৰীদের অনেক আশ্বাস ও প্ৰতিশ্ৰুতি তারা পেয়েছে কিন্তু কোনও ফল হয় নি। শিলচরের কংগ্ৰেস সাংসদ সুস্মিতা দেব কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে স্মারক পত্ৰ দিয়ে কোনও ফল পান নি। সুস্মিতা দেব কাছাড় পেপার মিলের শ্ৰমিক নেতাদের দিল্লীতে ডেকে পাঠিয়েছে। সেখানে আগামী ১০ তারিখের পর দিল্লীতে মিলিত হয়ে শ্ৰমিক নেতারা আইনগত ভাবে কেন্দ্ৰীয় সরকার যাতে মিল দুটি খুলতে বাধ্য হয় তার চেষ্টা করবে বলে শ্ৰমিক নেতা মজুমদার জানান। এ আই ইউ ডি এফ প্ৰধান বদরুদ্দিন আজমল আজ গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বলেছেন, মিল দুটি চালু করার জন্য তারা প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্ৰীদের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনও ফল হলো না, অবিলম্বে মিল দুটি চালু করার দাবি জানান আজমল। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.