শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট চলবে না : মমতা
দেবকিশোর
চক্রবর্তীঃরাজ্যের
কলেজগুলোতে শাসকদলের ছাত্রনেতারা তোলাবাজি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল
নানা মহল থেকে।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও
সে খবর প্রকাশও
হচ্ছিল।তবে,
শুরুতে সেই অভিযোগ মানতে
চাননি শাসকদলের নেতারা।
উল্টে
বিষয়টাকে লঘু করতে ওই
অভিযোগকে বিরোধিদের চক্রান্ত বলেও দাবি করেছিলেন।কিন্তু
বাস্তব বলছে, শহর কলকাতার
প্রায় প্রতিটি কলেজেই ছাত্র ভর্তির
নামে চলেছে লাগামহীণ তোলাবাজি। মেধা
তালিকার প্রথম সারিতে নাম
থাকার পরেও বিস্তর নাকাল
হয়ে তোলাবাজদের কাছে নতি স্বীকার
করতে হয়েছে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের। একেকটি
বিষয়ের জন্য একেক রকম
টাকার অংক নির্দিষ্ট করে
দেওয়া হয়েছে। কলেজের
মান অনুসারে সেই অংকটা কোথাও
দ্বিগুন কিম্বা তিনগুন পর্যন্ত
বেধে দেওয়া হয়।ছাত্র নেতাদের একাংশের
এহেন অমানবিক তোলাবাজির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে
কেউ কেউ জানিয়েও ছিলেন।কিন্তু
শুরুতে কোনোরকম আমল দেওয়া হয়নি।
কলকাতার
প্রথম শ্রেণির একটি বাংলা দৈণিক
ধারাবাহিকভাবে সেই অভিযোগের সত্যাসত্য
তুলে ধরে। এবং
বলাবাহুল্য, তারপরই টনক নড়ে
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের।গত
শনিবার থেকেই বিভিন্ন কলেজগুলোতে
তোলাবাজি রুখতে অভিযান শুরু
হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী
পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে একাধিক কলেজ
পরিদর্শন করে সত্যতা যাচাইয়ের
চেষ্টা করেন।
গতকাল
সোমবার স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝটিকা সফরে যান
শহরের একটি কলেজে।সেখানে গিয়ে তিনি
ভর্তি হতে আসা ছাত্রছাত্রী
এবং অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন। দক্ষিণ
কোলকাতার ওই কলেজে দাঁড়িয়ে
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'প্রতারকদের পাল্লায়
পরবেন না। কেউ
ভর্তি করিয়ে দেবার নাম
করে টাকা চাইলে এক
পয়সাও দেবেন না।'
তিনি এদিন প্রত্যেক অভিভাবকের
উদ্দেশে বলেন, ' এমন পরিস্থির সামনা
সামনি হলে শুরুতেই পুলিশকে
জানান।'
কোন মন্তব্য নেই