Header Ads

ডিমা হাসাওয়ের প্রকৃতিক সম্পদ রক্ষায় মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ দাবি


 বিপ্লব দেবঃ হাফলং 
ডিমা হাসাও জেলায় একদিকে বনধংস গাছপালা কাটা সহ জেলার পাহাড়ি নদী গুলিতে থেকে পাথর সংগ্রহ করে অবৈধ ভাবে পাচার অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সমাজকর্মী গলন দাওলাগাপু রাজ্যের মুখ্যসচিব টি ওয়াই দাসের কাছে এক লিখিত নালিশ জানিয়েছেন। গলন দাওলাগাপুর অভিযোগ অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলার ৮৬ শতাংশ এলাকাই সবুজ বনানী ঘেরা এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল। কিন্তু ডিমা হাসাও জেলার অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্ত এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অকারনে বনধংস ও গাছপালা কাটার দরুন পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাছাড়া ওয়াইল্ড লাইফ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে তা হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গলনবাবুর অভিযোগ লাংটিং,উমরাংশু, মাইবাং,দিয়ুংব্রাতে কাঠের মিল গুলিতে বৃহৎ পরিমানে বড় বড় গাছ কেটে মজুত করে রাখা হয়েছে অবৈধ ভাবে বাইরে পাচার করার জন্য। লাংটিং-মুপ কুরমিং ও বরাইল সংরক্ষিত বনাঞ্চলে জমির পাট্টা দেওয়ার নামে বন বিভাগের কর্মীরা জড়িত থাকার মত গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করে গলন দাওলাগাপু জানান ১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট গাছপালা কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বনবিভাগের দায়িত্বজ্ঞান হীনতার জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চল গুলিতে অবৈধ ভাবে গাছ কাটা অব্যাহত রয়েছে তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখে ধূলো দিয়ে গাছ লাগানোর পর সে গুলিকে কেটে ফেলা হচ্ছে এবং এসব গাছ গুলিকে কাঠের মিলে চেরার পর অবৈধ ভাবে বাইরে পাচার করার দরুন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং এই কারনেই পার্বত্য পরিষদের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন থেকে তাদের বকেয়া বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন সমাজকর্মী গলন দাওলাগাপু। এছাড়া তিনি বলেন চীনে নির্মিত ছোট ছোট গাছ কাটার মেশিন ব্যবহার করে ডিমা হাসাও
 এছাড়া তিনি বলেন চীনে নির্মিত ছোট ছোট গাছ কাটার মেশিন ব্যবহার করে ডিমা হাসাও জেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কম সময়ে বহু গাছ কেটে অবৈধ ভাবে বাইরে পাচার করার হয় বলে অভিযোগ করেন গলনবাবু।  রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো অভিযোগ পত্রে গলন দাওলাগাপু উল্লেখ করেন ডিমা হাসাও জেলার জাটিঙ্গা নদী মাহুর নদী ও দিয়ুং নদী থেকে পাথর তুলে সব নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধ ভাবে বাইরে পাচার করার দরুন নদীতে জলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে যার দরুন পাহাড়ি জেলার সদর শহরে জলের তীব্র সংঙ্কট দেখা দিয়েছে দীর্ঘদিন থেকে তাছাড়া নদী গুলি থেকে এভাবে পাথর তুলে নেওয়ার জেরে নদী শুকিয়ে যাওয়ার দরুন মাছ সহ জীব জগৎ দিনের পর দিন ভারসাম্য হাড়িয়ে ফেলছে কিন্তু তারপর ও ডিমা হাসাও জেলায় অবৈধ ভাবে গাছপালা কাটা ও পাহাড়ি নদী গুলি থেকে পাথর সংগ্রহ করে অবৈধ ভাবে বাইরে পাচার অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় ডিমা হাসাও জেলার পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে এবং অবৈধ ভাবে গাছপালা কাটা ও পাহাড়ি নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করে বাইরে পাচার করার মত ঘটনা বন্ধ করতে রাজ্যের মুখ্য সচিব টি ওয়াই দাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সমাজকর্মী গলন দাওলাগাপু।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.