Header Ads

ডিমা হাসাও জেলার ৬৭৬ টি গ্রামে শুরু হচ্ছে জল ও অনাময় বিভাগের স্বচ্ছ সার্বেক্ষণ


বিপ্লব দেবঃ হাফলং 
স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে স্বচ্ছ গ্রামীন সার্বেক্ষণ ২০১৮। স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ডিমা হাসাও জেলার জল ও অনাময় বিভাগের এই স্বচ্ছ গ্রামীন সার্বেক্ষণ ১ আগষ্ট থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে।  ডিমা হাসাও জেলার ৬৭৬ টি গ্রামের স্কুল, অঙ্গন ওয়াড়ি সেন্টার, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাব সেন্টার, বাজার হাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলিতে শৌচাগার থেকে শুরু করে পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয় গুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় জল ও অনাময় মন্ত্রনালয়ের পর্যবেক্ষক দল ২০ আগষ্টের পর যে কোনদিন এই গ্রাম গুলি পরিদর্শনে আসতে পারে বলে জানান জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী বাস্তকার পিনাকি শঙ্কর কর। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল গ্রাম গুলি ঘুরে দেখে স্বচ্ছতার দিকটি খতিয়ে দেখবেন এবং এর ভিত্তিতেই এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল নম্বর দেবে বলে পিনাকিবাবু জানিয়েছেন। তাই যে সব এনজিও স্বচ্ছ ভারত মিশনের সঙ্গে জড়িত ওই সব এনজিওকে বুধবার স্বচ্ছ গ্রামীন সার্বেক্ষণ নিয়ে পাহাড়ি জেলার গ্রাম গুলিতে সচেতনতা সভা করার জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে ডিমা হাসাও জেলার রাংখল অধ্যষিত জায়ন গ্রাম অসমের মধ্যে দ্বিতীয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গ্রামের পুরষ্কার পেয়েছে তাছাড়া হাফলং সরকারি হাসপাতাল ও মাহুর গ্রামীন হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে।  এদিকে বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া জল ও অনাময় বিভাগের স্বচ্ছ সার্বেক্ষণ ২০১৮ নিয়ে মঙ্গলবার হাফলং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগে এক সভায় উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সচিব টি টি দাওলাগাপু বলেন স্বচ্ছ ভারত গ্রামীনের অধীনে ডিমা হাসাও জেলা এখন অষ্টম স্থানে রয়েছে। তাই স্বচ্ছ এখন অষ্টম স্থানে রয়েছে। তাই স্বচ্ছ সার্বেক্ষণ গ্রামীন ২০১৮ -র অঙ্গ হিসিবে পাহাড়ি জেলার গ্রাম গুলির স্কুল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র অঙ্গনওয়ারি সেন্টার গুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখার জন্য সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন টি টি দাওলাগাপু।  স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা বজায় রাখা শুধু জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ বা জল ও অনাময় বিভাগের একার কাজ নয় এতে অনান্য সরকারি বিভাগ এনজিও ক্লাব জনগনের সহযোগিতা ও একান্ত জরুরি বলে উল্লেখ করেন টি টি দাওলাগাপু। শুধু স্বচ্ছ সার্বেক্ষণ ২০১৮ নিয়েই যে কাজ করব তা নয় কারন একমাসের মধ্যে এত কাজ করা সম্ভব নয় তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছতা নিয়ে সব সময় কাজ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন টি টি দাওলাগাপু। এছাড়া মঙ্গলবার জল ও অনাময় বিভাগের সভায় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবেন্দ্র শর্মা সহ বিভিন্ন এনজিও-র প্রতিনিধিরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.