Header Ads

৯৮৬ জন ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী, নূন্যতম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত


চন্দ্ৰধর দাস (১০২) বছর দুদিন আগেও ডিটেনশন ক্যাম্পে ছিলেন
গুয়াহাটিঃ অসমের প্ৰায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ডি ভোটারের সঙ্গে রজ্যের ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকাধীন ৯৮৬ জন বন্দীদের নাম যাতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এন আর সি) তালিকায় থাকবেনা। এ ছাড়াও রাজ্যে বিদেশী ট্ৰাইব্যুনাল ও আদালতগুলিতে বিচারাধীন অবস্থায় থাকা ব্যক্তিদের নামও তালিকায় থাকবেনা, তাদের নামগুলি ‘হোল্ড' করে রাখা হবে। ১৯৯৭ সাল থেকে ‘ডি' ভোটারেদেবর সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার, ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ বার-বার দাবি করেছিলেন, ডি ভোটারের অধিকাংশ ভারতীয়। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থায় গ্ৰহণ করেন নি। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তও কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন নি। বৰ্তমান বিজেপি শাসনে পরিস্থিইত আরও ভয়াবহ হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মনোনীত বিশেষপৰ্যবেক্ষক হৰ্ষ মান্দার কোকরাঝার এবং গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্প পরিদৰ্শন করে ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশন থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, মাত্ৰ ৫০০ মিটার মাপের ছোট্ট ঘরে গাদাগাদি করে বন্দীদের রাখা হয়েছে। বাইরে বোরোবার অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের এক তথ্যে জানা গেছে, রাজ্যে বৰ্তমানে ৯৮৬ জন ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী আছে। ডিটেনশন ক্যাম্প বলে কিছু নেই, রাজ্যের জেলখানাগুলিতে নিৰ্দিষ্ট একটি-দুটি ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দীদের রাখা হয়েছে। যারা কোনও অপরাধ করেনি, বাংলাদেশের সঙ্গে প্ৰত্যপণ চুক্তিও নেই। তাদের ফিরে যাওয়ার পথও বন্ধ। গত জ্জযজ্জ্ব বছর থেকে বিনা বিচারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। প্ৰতিমূহূৰ্তে মানবাধিকার লঙঘন করা হচ্ছে। তেজপুখ সেণ্টাল জেলে ৮৩জন মহিলাসহ ৩১৩ জন, শিলচর সেণ্টাল জেলে ১০জন মহিলাসহ ১০৯জন, ডিব্ৰুগড় সেণ্টাল জেলে ৫৬জন পুরুষ, যোরহাট সেণ্টাল জেলে ৩৭জন মহিলাসহ ১২২জন, কোকরাঝার সেণ্টাল জেলে ১৫২জনই মহিলা এবং গোয়ালপাড়া ডিষ্ট্ৰিক জেলে ২৩৪জনই পুরুষ, (১৫/৫/১৮ পৰ্যন্ত ) সৰ্বমোট ৯৮৬জন। কি অবস্থায় বন্দীরা আছে, সে সম্পৰ্কে অসম বিধানসভায় এক প্ৰশ্নত্তোর পৰ্বে জানা গিয়েছিল। গোয়ালপাড়া জেলে দুটি ঘর এবং কোকরাঝার জেলে দুটি ঘর বন্দীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, গোয়ালপাড়া প্ৰতি ঘরের মাপ ১৩৮০ এবং ১২৬০ বৰ্গফুট এবং কোকরাঝার জেলে ১৩০৬ এবং ৬০০ বৰ্গফুট। আসবাব পত্ৰ হিসাবে তাদের দেওয়া হয়, বিছানা পত্ৰ, থালা, গ্লাস প্ৰভৃতি, বিশুদ্ধ জলের বন্দোবস্ত আছে। পুরুষ আবাসীদের জন্য মোট ১৬টা শৌচাগার, দুটি স্নানাগার আছে,  প্ৰতিটি ঘরে দুটি করে প্ৰস্ৰাবাগার আছে। আবাসীকদের দুবেলা খাওয়ার জন্য মাথা পিছু ৪০টাকা ব্যায় করা হয়। রাজ্য সরকারের এই সরকারী বক্তব্যে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দীদের প্ৰতি সরকারের অবহেলার ও বঞ্চনার ছবি ধরা পড়েছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে আবাসিকদের ঠিকমতো চিকিৎসা করা হয়না, ভালো পোষাক পরিচ্ছদ দেওয়া হয় না, এমনকি পেট পুরে দুবেলা খাবারও দেওয়া হয় না বলে ভুরি ভুরি অভিযোগ করেছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো। ডিটেনশন ক্যাম্পের অবস্থা থেকেও ভয়ানক অবস্থা বিদেশী ট্ৰাইব্যুনালগুলিতে। এই ট্ৰাইব্যুনালগুলিতে বিচারের নামে প্ৰহসন চলছে বলে সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন, আমসু প্ৰভৃতি সংঠনগুলো অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ অৰ্থের বিনিময়ে স্বদেশীকে বিদেশী, বিদেশীকে স্বদেশী বানানো হেচ্ছ, অধিকাংশ বিচারকের যোগ্যতা নিয়ে সরকারী প্ৰশ্ন তুলেছে। ১৯জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ব্যাপক হারে দুৰ্নীতি গ্ৰাস করেছে ট্ৰাইব্যুনালগুলিকে। ডি ভোটার এবং ডিটেনশন ক্যাম্পের বন্দীদের নামতো এন আর সিতে উঠবেই না ভবিষ্যতে রাষ্ট্ৰহীন নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা ছাড়া সরকারের কোনও গত্যন্তর নেই। বাংলাদেশ সরকারতো বলেই দিয়েছে, ভারতে কোনও বাংলাদেশী নেই। একজনকেউ তারা গ্ৰহণ করবে না। স্বরাষ্ট্ৰ বিভাগের প্ৰাক্তন সচিব জি কে পিল্লাই একই কথা বলেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.