পাহাড় লাইন ধস রোধ করা সম্ভব নয় ব্রিটিশের প্রযুক্তি ছিল অনেক উন্নত : বাহারুল ইসলাম বার ভূঁইয়া
বৃটিশ যখন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বদরপুর-লামডিং মিটার গেজ রেলপথ পাহাড় ঘেঁসে নির্মাণ করেছিলো, তখন প্রকৌশলী বুদ্ধি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে রেল লাইনের পাশ দিয়ে বৃষ্টির জল নিচে নেমে আসার জন্য ড্রেইন(পাথুরে নালা)যাহা RUB(culvert) দিয়ে বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের জন্য যে প্রকৌশলী ব্যবস্থা গড়ে তুলে ছিলো।যারফলে এইভাবে পাহাড় গড়িয়ে ধস নেমে আসতো না। কিছুটা হয়তো সমস্যা হতো মিটার গেজ এর সময়ে তবে আজকের মতো ভয়াবহ অবস্থা হতো না। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভারতীয় রেল।সাব্রুম এ পাহাড়ি এলাকায় যে প্রযুক্তি/প্রকৌশলী ব্যবস্থা হাতে নিয়ে কঠিন রেল পথ এবং আন্ডারগ্রাউন্ড রেল ষ্টেশন নির্মাণ করতে পেরেছে ব্রাক তথা পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর লাইফলাইন শিলচর-লামডিং এর বেলায় ব্যর্থ কেন???
ব্রডগেজ নির্মাণ কাজ শুরু হতেই "কৃত্রিম জঙ্গি"দল তৈরি করে স্থানীয় কিছু লম্বা হাতের ঠিকাদার গুষ্টির মদতে জঙ্গি কার্যকলাপের ফলে উন্নত মানের ঠিকাদার গুষ্টি হাত গুটিয়ে নেয় নির্মাণ কাজ থেকে। জাতীয় প্রকল্প ঘোষণার পরেও দীর্ঘদিন ফেলে রাখা প্রকল্পের কাজ ২০০৭ থেকে বরাকবাসীর ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে কেন্দ্র ও রেল নির্মাণ বিভাগ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে বাধ্য হয়েছিলো। কিন্তু কিছু আনকোরা,লকেল এবং ট্রেন্সপোর্ট লবির সর্দার দের নেতৃত্বে নির্মাণ কাজ চলছিলো।
২০১৪ সালের রাজনৈতিক পালাবদলের হাত ধরে অকাল প্রসবের মতো এই প্রকল্পের বারোটা বাজিয়েছে রেল নির্মাণ বিভাগ।
বেশিরভাগ সিভিল ওয়ার্ক কমপ্লিট না করে মেঘাব্লক ঘোষণা করে বসে রেল নির্মাণ বিভাগ। ফলাফল একটা পঙ্গু রেলপথ।
রেল নির্মাণ বিভাগ-বর্তমান শাসক গোষ্ঠী এবং তাদের পালিত বরাকের গেরুয়া মিডিয়া.....অনেক মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে নানা রং মশলা লাগিয়ে প্রচার করেছিলেন....কেও একজন দিল্লি তে বসে নাকি প্রতি মূহুর্তের ফাইলের আপডেট নিচ্ছেন এবং কড়া শাসানি দিচ্ছেন বিভাগকে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
৬৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হয়েছে প্রায় ৬০০০হাজার কোটি ব্যয়ে।
আর বৃষ্টি আসলেই... মুখোশ তার খসে পড়ে।
বরাকবাসীকে দ্বিতীয় রেল লাইনের কথা না বলে ..... বিকল্প রেল লাইনের ললিপপ খাওয়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে।।
বরাকের স্থানীয়(হিন্দু -মুসলিম-নাগা-কুকি-মণিপুরি) সকল শ্রেণীর জনগণের হাতে যতোক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক শক্তি ও আন্দোলনের নেতৃত্ব এবং কলম আসবে না.....ততক্ষণ বরাকের ভাগ্যের এমনি রুখে রুখে চলবে..... দৌঁড়াতে পারবে না কখনও।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল জির স্বপ্ন স্বৌরাষ্ট্র-শিলচর মহাসড়ক আজকে ও শিলচর পৌঁছাতে পারেনি। শুধু শিলচরে অটল জির মূর্তি স্থাপিত হয়েছে।
বরাকের একজন বিধায়ক কিংবা-সাংসদ ও মহাসড়ক, রেলপথ নিয়ে মুখ খুলেন নি আজ পর্যন্ত।।।
ওরা ব্যস্ত শুধু পার্সেন্টেজ এবং কমিশনের উন্নয়ন নিয়ে।।।।
বাহারুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া,শিলচর।
কোন মন্তব্য নেই