Header Ads

অগপ সরকারের আমলে বরাক উপত্যকা যথেষ্ট বঞ্চনার শিকার হয়েছে। শিলচরে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল এই দলটি। বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হওয়ার পর জমি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু হিতেশ্বর শইকিয়া বা তরুণ গগৈ এর আমলে বাঙালিদের প্রতি অনেকটা সুবিচার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে যেমন বাঙালিদের নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনি আমলা স্তরেও উচু পদে যোগ্য বাঙালিদের পদ দিয়ে রাখা হয়েছিল। তরুণ গগৈর আমলেও মন্ত্রিসভায় বাঙালিদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব ছিল। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বৈষম্য এতটা ছিল না যতটা এখন শুরু হয়েছে। সাহিত্য বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও বাঙালিদের প্রতি যথেষ্ট সুবিচার করা হয়েছে। হিতেশ্বর শইকিয়া যখন মুখ্যমন্ত্রী তখন অসমের প্রশাসনিক স্তরের উঁচু পদে বাঙালি আধিকারিকরা অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রধান সচিব অরুণাদয় ভট্টাচার্য, অর্থ সচিব নিরঞ্জন ঘোষ সহ অন্যান্য অনেক আধিকারিক এবং পুলিশ বিভাগে উঁচু পদে আসীন  ছিলেন বাঙালি আধিকারিকরা। কিন্তু এখন  প্রশাসনিক,  রাজনৈতিক ,  সামাজিক , সাংস্কৃতিক সবদিক থেকেই বাঙালিদের গুরুত্বহীন করে তোলার এ গভীর ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছে। তরুণ গগৈ মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন থাকাকালেও প্রশাসন রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব মোটামুটি ভালই ছিল। যদিও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাক উপত্যকা খানিকটা পিছিয়ে ছিল একথাও সত্য। কিন্তু বর্তমানে চিত্রটা পুরোপুরি উল্টো।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.