মূল্যবৃদ্ধি রোধে কড়া পদক্ষেপ চাইছে বি ডি ইফ
সরকারি আশ্বাস স্বত্ত্বেও বন্যার পরপরই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি - প্রতিরোধে সরকার তথা প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেবার দাবি জানাল বিডিএফ।
বরাক নদীর জলস্তর কমেছে এবং কৃত্রিম বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দাম হটাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে। এনিয়ে এবার সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন তথা ফুড গ্রেইন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বারবার যথেষ্ট পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় পন্য সামগ্রী মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও হটাৎ করে এই মূল্যবৃদ্ধির কোন সঙ্গত কারণ নেই। তিনি বলেন আলুর দাম কেজি প্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে, অন্যান্য শাকসবজির দামও অগ্নিমূল্য,যারজন্য সাধারণ নাগরিকদের নাভিশ্বাস উঠছে। জয়দীপ বলেন বন্যা ত্রাণের জন্য সম্প্রতি ফুড গ্রেইন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ভালো টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার থেকে এই টাকা তুলে নিতেই কি হটাৎ করে এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধি ! তিনি বলেন অবিলম্বে ফুড গ্রেইন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে স্পষ্টীকরণের দাবি জানাচ্ছেন তারা। তিনি এদিন আরো বলেন যে খাদ্য ও অসামরিক পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর সাপ্তাহিক খুচরো ও পাইকারি বাজার দরের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই তালিকা বাস্তবে কতটা পালিত হয় সে ব্যাপারে কোন নজরদারি রাখা হয়না। তিনি বলেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিভাগের পরিদর্শনকারীদের অবিলম্বে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দাম যাচাই করার দাবি জানাচ্ছে বিডিএফ। একই সাথে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী যারা এইধরনের মুল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবারও দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
বিডিএফ এর আরেক আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন যে খুচরো ব্যাবসায়ীরা যখন পাইকারি ব্যাবসায়ীদের থেকে পন্য কিনেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের কোন রসিদ দেওয়া হয়না,ফলে মূল্যবৃদ্ধির জন্য কারা দায়ী তা বোঝা সম্ভব হয়না। খুচরো ও পাইকারি উভয় ব্যাবসায়ীরা একে অপরের উপর দোষ চাপান। তিনি বলেন পাইকারি বাজারে পন্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পন্যের বিক্রয়মূল্য সহ উপযুক্ত রসিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হোক। এই ব্যাপারে ফুড গ্রেইন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন ও সরকার কড়া নির্দেশ জারি করুক। এটি হলে হয়তো অনেকাংশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। হৃষীকেশ এদিন আরো বলেন যে খাদ্য ও অসামরিক পরিবহন দপ্তরের শিলচর অফিসে অধিকাংশ পরিদর্শনকারী আধিকারিকের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি রোধে উপযুক্ত নজরদারি সম্ভব হয়না। তাই অবিলম্বে এইসব শূন্যপদে নিয়োগ করার জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিডিএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই