Header Ads

দেবলীনা নন্দি আজ কেবল একজন স্ত্রী

দেবলীনা নন্দী—গায়িকা, কিন্তু আজ তিনি কেবল একজন স্ত্রী, এক পাইলটের সঙ্গিনী। তাঁর লেখা থেকে ফুটে উঠেছে এক পেশার আড়ালে থাকা আতঙ্ক, না বলা ভয়, এবং নিঃশব্দে বহন করা এক স্ত্রীর যন্ত্রণা।

ফ্লাইটে পা রাখার পরে তিনি আর শুধুই প্রবাহ নন্দী নন—তিনি ক্যাপ্টেন প্রবাহ নন্দী। প্রতি দিন অফিস যাওয়ার নাম করে আকাশে উড়ে যাওয়া সেই মানুষটির জন্য বুক কাঁপে দেবলীনার, আর প্রবাহের মা’র। একটু দেরি হলেই উৎকণ্ঠা বাড়ে, ফোন চলে যায়… যদিও প্রবাহ নিয়ম মেনে চলে, চিন্তার কথা বলে না।

বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবরে যখন গোটা দেশ স্তব্ধ, দেবলীনা তখন শুটিংয়ে। খবরটা প্রথম দেন প্রবাহ নিজেই—“খুব খারাপ একটা খবর আছে।” যদিও দুর্ঘটনার বিমানে প্রবাহ ছিলেন না, তবুও একই সংস্থার ক্যাপ্টেন, মুখ চেনা। তাই যেন মনে হচ্ছিল, সবটাই নিজের ঘরের কাছাকাছি কিছু ঘটেছে।

“প্রতিবার ফ্লাইট ছাড়ার আগে ও অবতরণের পর একটা মেসেজ আসে। সেটার অপেক্ষায় দিন কেটে যায় আমাদের,” লেখেন দেবলীনা। “আজও যেন বারবার মনে হচ্ছিল, ওই ফ্লাইটের যাত্রীরাও নিশ্চয়ই কারও জন্য মেসেজ লিখে রেখেছিলেন। কিন্তু তারা আর পৌঁছোল না।”

এই দুর্ঘটনা যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় জীবনের অনিশ্চয়তা। দেবলীনা লিখেছেন, “আজ কতবার যে বলেছি, আজ না গেলে হয় না… কিন্তু আবার নিজেকে বুঝিয়েছি, ওটাই তো ওর কাজ। শুধু দূরত্ব বদলায়, ভয়টা নয়।”

এই লেখায় শুধু এক স্ত্রীর আশঙ্কা নয়, ফুটে উঠেছে প্রতিটি বিমানকর্মীর পরিবারের না বলা গল্প। সেই গল্প, যেখানে প্রতিটি যাত্রার শেষে শুধু একটা ‘আমি ঠিক পৌঁছে গিয়েছি’—এই শব্দগুলোই হয়ে ওঠে বেঁচে থাকার প্রমাণ।

“এই জন্যই হয়তো বলে, জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত… আগামিকাল কী হবে, কেউ জানে না।” – দেবলীনা নন্দী। (সুজন মজুমদারের সৌজন্যেঃ )#DebolinaaNandy

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.