প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কে মেনে নিতেই হবে
ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালের সাক্ষী ছিলাম আমরা। তাঁর অদমনীয় ব্যক্তিত্ব দেখেছি। অসীম মনোবলের অধিকারী, দুর্দান্ত সাহসী ও রাষ্ট্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি। তাইতো সেদিন রিচার্ড নিক্সন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার স্পর্ধা দেখিয়ে ছিলেন। ভেড়া যদি বাঘের ছাল পড়ে গর্জন করে, তাহলে ভেড়া বাঘ হয়ে যায় না। স্যালুট, ইন্দিরা জী।
আজ ভারতের অগণিত মানুষের মনে একটা প্রশ্নই তীঁর বেঁধা পাখীর মতো আহত করেছে আমাদের। পহেলগাঁওয়ের সবচেয়ে নিকটবর্তী সীমান্ত হচ্ছে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে এতোদূর কী ভাবে এসেছিলো ? ২২শে এপ্রিল বর্বর নাশকতা ও নিঃষ্ঠুরভাবে হত্যালীলা সংঘটিত করেছে। অথচ আজ ১৯ দিন পরও জঙ্গিরা অধরা রয়ে গেছে কেন? ভাবতে অবাক লাগে, দেশের আভ্যন্তরীণ সুরক্ষা যে কতো বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। জঙ্গি এসে হত্যা করে নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারে।
ওদিকে, বিগত এপ্রিল মাসের ৬,৭,৮ তারিখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং জম্মু ও কাশ্মীরে ছিলেন। জানা মতে, তিন দিন ওখানে থেকে তিনি সুরক্ষা সম্পর্কে রাজ্য পুলিশের ইন্টিলিজেন্ট ডিপার্টম্যান্ট, ইন্টিলিজেন্ট ব্যুরো ও স্বভাবতঃই আর্মি ইন্টিলিজেন্সের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছেন। শোনামতে, জঙ্গিরা দু তিন সপ্তাহ আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে ঢুকেছিলো। তারপরও কেন এতোবড় ব্যর্থতা? এর দায় অবশ্যম্ভাবী ভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর বর্তায়। পরবর্তীতে শোনা গেছে, ট্যুরিষ্টদের ওপর নাশকতার স্পেসিফিক ইন্টেল রিপোর্ট ছিলো। যার দরুণ, গত ১৯শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল করা হয়েছিলো। তাহলে কী .............?
বলাবাহুল্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি কোনও যুদ্ধ শুরু হয় নি। যুদ্ধ শুরুর আগে এক্সটার্নেল ইমারজেন্সি ডিক্লেয়ার করা জরুরি। যা হয়েছে, তা হচ্ছে যুদ্ধের আগে প্রত্যাঘাত। ফার্ষ্ট ফেইজ। কিন্তু দালাল মিডিয়া গোটা পাকিস্তান দখলের স্বপ্ন দেখিয়েছে দেশবাসীকে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় কেনো সীজ ফায়ার করা হলো? আমাদের দেশের স্বার্বভৌমত্ব কী ঔপনিবেশিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে না? আমার সঙ্গে হয়তো কোটি কোটি মানুষ আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি শুনে বিশ্বাস করবেন না। তিনশো কিলোগ্রাম আরডিএক্স কোথা থেকে এসেছিলো, তার সদুত্তর আজও দেশের জনগণ পান নি।
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে অনুরোধ, অরুনোদয়ের টাকা দিচ্ছেন, ফ্রী চাল দিচ্ছেন, আরও কতো কি দিচ্ছেন। দিন, এতে আপত্তি করার কিছু নেই। শুধু দেশের জনগণের বিশ্বাস ভেঙে আগুনের লেলিহান নিয়ে দয়া করে খেলবেন না।
আমরা বুঝে গেছি, "মর্নিং শ্বোজ দ্য ডে।"
কোন মন্তব্য নেই