বরাক -ব্রহ্মপুত্র সম্প্রীতি রক্ষায় অসম সাহিত্য সভার অবদান আছে
অমল গুপ্ত ,অসম সাহিত্য সভার মত উজ্জ্বল পরম্পরা খুব কম আছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত কে অনুরোধ করে অসমের অগপ মন্ত্রী শহিদুল আলম চৌধুরী বরাক প্রথম অসম সাহিত্য সভার অধিবেশনের ব্যাবস্থা করেছিলেন। প্রফুল্ল কুমার মহন্ত বরাক সফর করে অধিবেশনে মুখ্য অতিথি আসন অলংকৃত করে বরাক ব্রহ্মপুত্র মাঝে এক সাংস্কৃতিক মেল বন্ধন করেছিলেন। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হলেও সেই অধিবেশন দুই উপত্যকার সম্প্রীতির শেষ ধাপ বলা ঠিক হবে না। দুই উপত্যকার মেল বন্ধন করার ক্ষেত্রে বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রধান প্রদীপ দত্ত রায়ের অবদান কম নয়।আকসা সভাপতি থাকাকালে প্রদীপ দত্ত রায় আসাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এর অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। বড়ো নেতাদের বরাক আমন্ত্রণ করে এসে সেই সম্প্রীতিতে নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন। অসম সাহিত্য সভার প্রতিনিধিরা বরাক সফর করে ভাষা শহীদদের আবেগ কে স্পর্শ করে বরাক বাসীর সহমর্মিতার ভাগীদার হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ব্যক্তিগত সমর্থন আছে। তারই চেষ্টায় এই সফর বলে জানা গেছে। সেই প্রতিনিধিদল সম্ভবত শিলচর রেলওয়ে স্টেশন কে ভাষা শহীদ স্টেশন নামে নামকরণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়।স্টেশন নামকরণ করার সব বাধা দূর হয়েছে।রেল বিভাগ সবুজ সংকেত আগেই দিয়েছে। কেবল প্রশ্ন তলা হয়েছিল শুধু বাঙালি ছাড়াও বরাকের অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠী নাকি এই নামকরণে আপত্তি জানিয়েছে। প্রদীপ দত্ত রায় স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন বাঙালির সঙ্গে অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠীর কোনো আপত্তি নেই। ডিসপুর সেই বিডিফ এর বক্তব্য বিশ্বাস করছে।১৯ মে ডিসুরের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে শিলচর বাসীর বহু বছরের প্রাণের ভাষা শিলচর শহীদ ভাষা স্টেশন ঘোষণা করা হতে পারে। বরাকের আবেগ স্পর্শ করে অসম সাহিত্য সভা প্রতিনিধিরা মুখ্য মন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে এই ঘোষণা করার সম্ভাবনা প্রবল।
কোন মন্তব্য নেই