Header Ads

ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা চলছেই

NEET ২০২৫ এ প্রায় ২৩ লক্ষ শিক্ষার্থী দেশের ৭৭৬ টি মেডিকেল কলেজের ১ লাখ ৮০ হাজার সিটের জন্য প্রতিযোগিতা করেছে।এর মধ্যে সরকারি ৩৯৮টি কলেজে ৫৫,৬১৬টি আসন আছে। কত ৫ বছরে দেশে ডাক্তারির সিট প্রায় ৪১% বেড়েছে।

অনেক বাচ্চাই ভালোবেসে ডাক্তারিতে আসে অনেকে আবার চাপে পড়ে আসে।এখন রাজ্যে প্রচুর প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ খুলে গেছে। তাই বাবা মা অর্থবান হলে ডাক্তারিটা পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই পড়ার চাপটা নিতে পারবে? 

সিলেবাসের শেষ নেই। পোস্ট গ্রেজুয়েশন পাবে কিনা ঠিক নেই। সাধারণ মানুষ আবার ' শুধু এমবিবিএসের' কাছে যাবেন না। তাদের গ্যাস হলেও গাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট লাগবে। পোস্টগ্র্যাজুয়েশন পেলে ডিউটির কোন বাবা-মা নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ভাবেও না।

পাশ করার পর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এখন যেভাবে ইন্স্যুরেন্স আর কর্পোরেট হাসপাতালগুলো রমরমা নিজের একটা ছোট প্রাইভেট প্র্যাকটিস থাকবে পড়ার ছোট নার্সিংহোমে গিয়ে কেস করবে এই ব্যাপারটা প্রায় উঠে যাচ্ছে। হয় সরকারি ব্যবস্থায় কাজ করো যেখানে চাকরি অপ্রতুল অথবা বেসরকারি ব্যবস্থায় সেখানে 'হায়ার এন্ড ফায়ার' পলিসি। যদি তুমি ঠিকঠাক রেভিনিউ দিতে না পারো তোমার চাকরি থাকবে না । অনেক সময় এই টার্গেট পূরণ করতে গেলে এমন কাজ করতে হয় যেটা তার স্বভাববিরুদ্ধ। যে স্বপ্ন নিয়ে তারা ডাক্তারি করতে এসেছিল অচিরেই সেইসব স্বপ্ন ভাঙে আর সে অখুশি,বিষন্নতা ডিপ্রেশনের কবলে পরে।তাই ভালোবেসে ডাক্তারিতে না এলে, এই জীবনটা সম্বন্ধে ভালো করে না জেনে এই বিষয়ে এলে হয়তো অকালে কিছু প্রাণ আমরা হারাবো।

#ইন্দ্রনীল ( Dr Indranil Saha )

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.