
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মতিথি এলেই বিজন সিংহ কে মনে আসে।Lumding বিজন সিংহ নেতাজি প্রেমী উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব।আ আর মনে আসে শিলচরে পরিতোষ পাল চৌধুরী কে তিনি একগুচ্ছ বইপত্র নিয়ে গুয়াহাটি বাসিন্দা মনীন্দ্র রায়ের বাড়িতে গিয়ে শিলচর ভাষা শহীদদের সরকারি মর্যাদা স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে। কি করা যায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা চলতো। শিলচর ভাষা শহীদ ,১১ জন তরতাজা যুবকের আত্ম বলিদান দিবস ১৯ মে আজ ভুলতে বসেছে সবাই। বাংলা ভাষা আজ সবাই ভুলতে বসেছে। সারা বিশ্বে বাঙালি হিন্দুদের অবস্থান দুর্বল ,।শিলচরে দেখেছি ১৯ মে দিনটি সবাই পালন করে।কিন্তু ১০০ শতাংশ অভিভাবক তার সন্তানদের ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের পাঠান। অধিকাংশ সন্তানকে ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার বানানোর জন্যে প্রাণপাত চেষ্টা করেন। বর্তমানে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দের মত অসৎ ডাক্তারের মত অসৎ লোভী জীবি দুনিয়াতে নেই। মুষ্টিমেয় সন্তান সৎ ভাবে জীবনে উন্নতি করে কারণ অভিবাবকরা শিক্ষিত সন্তানদের ভাল মানুষ গড়তে চান। বাকি আমজনতা বরাক উপত্যকার রাজনীতিবিদদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। অধিকাংশ অসৎ রাজনীতিবিদ।কংগ্রেস এজিপি রাজত্বে মন্ত্রী জননেতা একাংশ সাংবাদিক যে হারে সরকারি টাকা লুটেছে তার সীমা নেই।বর্তমান বিজেপি রাজত্বে দূর্নীতি নির্মূল হয়নি বরঞ্চ বেড়েছে। এই সব তাকথিত রাজনীতিবিদ মায়ের ভাষার দদর জানেনা ।আবেগ নেই ভাষা শহীদ নিয়ে রাজনীতি করে। বর্তমান চালাক চতুর মুখ্যমন্ত্রী দক্ষ পারদর্শী রাজনিবিদদের একটা একটা করে দূরে সরিয়ে দিলেন।বরাক উপত্যকার রাজনীতিক ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার সব বন্দোবস্ত করে ফেলেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামী পারিবারের বিমলাংশু রায়ের পুত্র ডাক্তার রাজদীপ রায় কে বসিয়ে দেওয়া হল। কমলাক্ষ্ম পুরকায়স্থ ,শিলাদিত্য দেব কে সরিয়ে দেওয়া হল।বিধানসভায় চার দশক প্রেস গ্যালারি তে বসে বরাক কে ভালভাবে দেখেছি। তাদের দূর্নীতি ব্যক্তিগত লাভ লালসা গুয়াহাটি ,কলকাতা, দিল্লী কোথায় নেই সর্বত্র সাদাকালো সম্পদের পাহাড় তারা কি মাতৃ ভাষার দরদ বুঝবে । তাদের সন্তানরা কি বাংলা ভাষার মাধ্যমে পড়াশুনা করে। শিলচর শহীদ স্টেশন করার দাবি যে কোনোদিন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে পারেন কিন্তু উনি করবেন না। তাকে বাধ্য করানো মত ক্ষমতা বরাকের বিজেপি বিধায়কদের নেই।বরাকের কিছু উপজাতি সম্প্রদায় আপত্তির ফলে ফাইল পড়ে আছে মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে।যেমন মেহরো ত্রা কমিশনের প্রতিবেদন ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে গেছে।শিলচরে গুলিচালিয়ে ১১ জন যুবককে হত্যার প্রকৃত কারণ অপরাধীদের নম ধাম সব ছিল। বর্তমান বিজেপি বিধায়ক জননেতার মাহরত্রা কমিশনের নাম শুনেছেন কি? বিধানসভায় পিছনের বেঞ্চিতে বসে ইয়েস স্যার বলা ছাড়া বিজেপি জননেতা দের করণীয় কিছু নেই। অন্যান্য বছরে শিলচর ১৯ মে শহীদ দিবসে শোকের আবহে নানা অনুষ্ঠান মিছিল হতে দেখেছি।এবার কলকাতার মেরুদন্ড হীন বাঙালি হিন্দুদের মত মদ বিরিয়ানি তে সীমাবদ্ধ থাকবে? আর নম নম করে শহীদ দিবস হবে। একটা কথা মনে এক বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রতিশ্রুতি আস্বাস দিলেন বরাকের ১১ শহীদ কে সরকারি বাবে উপযুক্ত মর্যাদা স্বীকৃতি দেওয়া হবে। রেকর্ড করা বক্তব্য ছিল।বরাকের দুর্বল বিজেপি নেতা মন্ত্রী বিধায়ক বা কি মুখ্যমন্ত্রী কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সৎসাহস দেখাতে পারবেন। আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল শপথ নেবার দুদিন বাদেই অসমের ৫০০ শহীদ কে ৫লাখ টাকা করা দেয়ার দাবি মেনে সেই টাকা মিটিযে দেওয়া হয়।এই বরাকের ১১ জন বাংলাভাষা রক্ষায় শহীদ হলেন তাদের কি হল? আজও ১১ শহীদদের উপযুক্ত সরকারি মর্যাদা স্বীকৃতি দেওয়া হল না।
কোন মন্তব্য নেই