Header Ads

আজ আনন্দারাম বড়ুয়া ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী

আজ ২১ মে ২০২৫ ছিল ভারত গৌরব আনন্দরাম বড়ুআর ১৭৫তম জন্মবার্ষিকী। দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে বিবেকানন্দ কল্যাণ কেন্দ্র। সকালে প্রতি বছরের মতো এবারও কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রী তথা কর্মীবৃন্দ সমবেত হয় চান্দমারী উরণীয়া সেতুর নীচে ভারতগৌরবের আবক্ষ মূর্তির পাদদেশে। সেখানে এই অনুষ্ঠানের নিত্যসাথী কে কে হেণ্ডিক সংস্কৃত কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা মহোদয়ের নেতৃত্বে দীপ প্রজ্জ্বালন , মাল্যার্পণ ও সকলের দ্বারা পুষ্পার্ঘ অর্পিত হয়। যুগপৎ সমবেতভাবে উচ্চারিত হয় আনন্দরাম রচিত সংস্কৃত বন্দনা। আর ছিল সংস্কৃতে আনন্দরাম- বন্দনা।
     দুপুরে আনন্দরাম কেন্দ্রিক বিদ্যায়তনিক অনুষ্ঠানটি হয় ওদালবাক
রাস্থ বিবেকানন্দ কল্যাণ কেন্দ্রের ভারতগৌরব আনন্দরাম বড়ুআ সংস্কৃত ভবন প্রাঙ্গণস্থিত "আনন্দ কুঞ্জ"তে। সেখানে প্রথমতঃ ভারতগৌরবের আবক্ষ মূর্তির সামনে সমবেতবৃন্দের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনান্তর সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতগৌরবের প্রশস্তিতে কে কে হেণ্ডিক, মুকুন্দ মাধব শর্মা ও জহরলাল  সাহা রচিত সংস্কৃত শ্লোক গেয়ে বন্দনানুষ্ঠানের পর ছাত্রকেন্দ্রিক আলোচনা ও সংস্কৃত কার্যক্রম চলে। আনন্দরাম রচিত সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করে ছাত্রছাত্রী গণ। তার মধ্যে সংস্কৃত বন্দনা  ছাড়াও ছিল আনন্দরাম রচিত বিশ্বের প্রথম সংস্কৃত সনেটটি। কেন্দ্রের সম্পাদক শ্রী জহরলাল সাহা আনন্দরামের সংস্কৃত সাধনার প্রেক্ষাপট বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে আনন্দরাম ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণার দ্বারা মানুষের ভাষার উদ্ভব বিন্দুটিতে পৌঁছতে চেয়েছিলেন। তাতে মনুষ্য জাতির সার্বিক একত্ব পাটিগণিতের মতো প্রমাণিত হবে। আমরা এভাবেও বিশ্বজয়ের স্থিতিতে ফিরে আসতে পারি। এবং এই প্রচেষ্টা ও সাধনার জয় রাজনৈতিক ও আণবিক যুদ্ধের চেয়ে গুণগত মানে ও স্থায়িত্বের বিচারে অপরিসীম তাৎপর্যময়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.