মুর্শিদাবাদ ভালো নেই , ভূমিপুত্র হিন্দুরা আতঙ্কিত ভিত সন্ত্রস্ত
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড , ১৯ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদ : গত একমাস ছিলাম অসমের রাজধানী শহর গুয়াহাটিতে । গতকাল আমার শহর মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরে এসে রাজনীতি আমাকে জানিয়ে দিল মুর্শিদাবাদ ভালো নেই। মানুষের জীবন জীবিকা দৈনন্দিন জীবন যাত্রা , পারস্পরিক হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তে বড় চির ধরে গেছে। মানুষ বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় ভোল নেই। অসমের ৪০ বছর সংবাদিক জীবনে আমি বাংলায় বাঙালি হিন্দুদের এত নিরাপত্তাহীনতা এত অসহায়তা আগে দেখিনি। অসমের বাঙালিদের থেকেও বাংলায় হিন্দুদের অবস্থা বেশ খারাপ। অসমের মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ওয়াকফ আইন নিয়ে কোনো গণ্ডগোল বরদাস্ত করেন নি । কড়া হাতে দমন করেছেন।বাংলায় দেখলাম রোহিঙ্গা মুসলিম ,বাংলাদেশী মুসলিম সব একাকার । সংবিধানের নামে মন্ত্র গুপ্তির শপথ গ্রহণ করার পর মন্ত্রী প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন" কলকাতাকে স্তব্ধ করে দেবো জেলাগুলোকে টাইট করে দেবো।"এক মন্ত্রী বলছেন "বড় দুর্ভাগ্য যে আপনার হিন্দুর ঘরে জন্মেছেন।" এক বিধায়ক বলছেন "মুশিদাবাদে ,,৭০ শতাংশ মুসলিম ৩০ শতাংশ হিন্দুকে ভাগীরথী নদীতে ডুবিয়ে মারতে দুঘন্টা সময়।লাগবে না।"এই আমাদের জন্মভূমি।,মুর্শিদাবাদ ।যেখানে সবাই যা খুশি মন্তব্য করতে পারেন।সরকারি প্রশাসন কিছু বলবে না। ১৯৫৪ সালে ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি চালু হয়। ৫৪ হাজার সম্পত্তি ছিল আজ ৯ লাখ কোটির সম্পত্তি। সেই সম্পত্তি নিয়ে দেখভাল করার জন্যে গরীব দুঃস্থ মুসলিম জনগোষ্ঠী যাতে এই বিশাল সম্পত্তির ভাগ পায় ,সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।এই সম্পত্তি কেবল উচ্চবিত্ত ধনীরা কুক্ষিগত করে রেখেছে। আইনটি তে ধর্ম জাতপাতের কথা নেই।কিন্তু গরীব অশিক্ষিত মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে অন্দোলনের পথে নামানো হয়েছে।প্রধান আক্রমণের লক্ষ্য করা হয়েছে
আদি ভূমি পুত্র হিন্দুদের। যাদের অধিকাংশ বাংলদেশে একদিন মার খেয়ে এসেছেন।আবার নিজের জন্ম ভিটাতে মার খেতে হল। ,তিন জনকে হত্যা করা হয়েছে। অবাক করার কথা সুপ্রিম কোর্টের আইন জীবি জয়দেব মুখার্জী পর্যন্ত অভিযোগ করেছেন হুজি, জামাত ইত্যাদি বাংলদেশে র জঙ্গিরা এই জঙ্গি আন্দোলনে সামিল হয়েছে। তিনি এনকাউন্টার করে জঙ্গিদের খতম করার ডাক দিয়েছেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেছেন বিদেশি শত্রু থেকে ও ভারতের অভ্যন্তরীণ শত্রু থেকে বিপদের আশঙ্খা বেশি। মুর্শিদাবাদ হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান আক্রমণ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা তদন্তের জন্যে কলকাতা হাইকোর্ট জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এন আই এ কে দায়িত্ব দিয়েছেন।জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মহিলা কমিশন রাজ্যপাল প্রমুখ মুর্শিদাবাদ মালদহ জেলার ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু জনগোষ্ঠীর অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন।
আক্রান্ত পরিবার গুলি এক বাক্যে অভিযোগ করেছে রাজ্যে পুলিশের আর তাদের ভরসা নেই। বি এস এফ মোতায়েন করতে হবে। বাংলদেশে কুষ্টিয়া , রাজ শাহী ,নবাবগঞ্জ সীমানা ঘেঁষা মুর্শিদাবাদ জেলার ৫৩২৪ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে , কান্দি বহরমপুর সহ ৫ টি মহকুমা ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এখনো ৭১ লাখের বেশি। স্বাক্ষরতার হার অনেক কম মাত্র ৬৩ শতাংশ। তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অভাব ঘটেনি। আজ সেই সম্প্রীতিতে চির ধরে গেল।অভিভাবক বা তাদের সন্তানদের রাতে বেরোতে দিচ্ছে না। পরিস্থিতি এইটাই জটিল আর ভয়ঙ্কর। আগে কোনদিন দেখেনি। পশ্চিমবঙ্গের ইলেট্রনিক মিডিয়া সহ সংবাদ মাধ্যম নিরপেক্ষ খবর পরিবেশন করছে না।এই জটিল সময় গুয়াহাটি থেকে নিউজ লাইফ বাংলা চ্যানেল শুরু হল পয়লা বৈশাখ থেকে। এই রাজ্যের খবর পাচ্ছি।আজ অনগ্রসর বরাকের ২০০বছরের এক মন্দির নদীতে তলিয়ে যেতে বসেছে। বাংলা চ্যানেল টি উদ্বেগ প্রকাশ করে জন প্রতিনিধি সজাগ করে দিয়েছে। আর এক খুশির খবর বাংলার মেয়ে মর্মিতা মিত্র অসম বাংলার সাংস্কৃতিক দূত হিসাবে বিহু মঞ্চ গুলি তে অসমীয়া সঙ্গীত পরিবেশন করে কাঁপিয়ে দিচ্ছে দেখে এলাম। ভালো লাগছে তবে আমার জন্মভিটা তে রক্তের দাগ লেগেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বড় আঘাত । এই আঘাতের মাঝে বিজেপি দলের প্রথম সারির নেতা৬০ ছুঁই ছুঁই দিলীপ ঘোষ দলের নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে , বিয়ে করে জীবনের স্বাদ পূরণ করলেন। এও এক ধরনের সম্প্রীতি ।নয় কি ।n








কোন মন্তব্য নেই