কান্দি জজানের সর্বমঙ্গলা দেবী দুর্গা আবরণ ময়ী মূর্তি এক রহস্যে ঘেরা
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড ,মুর্শিদাবাদ:মুর্শিদাবাদ জেলার এক ঐতিহাসিক জেলা , বৌদ্ধ হিন্দু , সংস্কৃতির এক প্রাচীন জনপদ অসংখ্য পুরাতাত্ত্বিক উজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী।৮৮২ খ্রিস্টাব্দে রাজা সোম ঘোষ জজানে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠা করেন আরাধ্য সোমেশ্বর শিব কে। এই রাজা সর্ব মঙ্গলা দেবীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ।এখানে দেবীর আরাধনা শুরু হয় পীঠ পুজো দিয়ে।প্রতি চৈত্র মাসে হোমের আগের দিন রাত বারোটা সময় বিগ্রহ স্নানের ব্যাবস্থা হয় ।তখনই দেবী মূর্তি দর্শন করা যায়। দুর্গা ও কালীপুজো তে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দেবী সর্ব মঙ্গলার পাশে আছে হাজার আট টি ক্ষুদ্র শিবলিঙ্গ খোদিত এক প্রস্তর ফলক। দেবীর পুরানো মন্দিরের দরজার উপর দের হাত চওড়া তিন হাত লম্বা অর্ধ চন্দ্রা কৃতি এক আশ্চর্য পাথর ছিল।যা মন্দিরের ভিতর আলোকিত করত। বিভিন্ন সূত্র থেকে জন্য গেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী জেলার গর্ব রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী এই উজ্জ্বল পাথর টি পরীক্ষার জন্যে মিউজিয়াম এ পাঠিছিলেন। পর আর কিছু জানা যায় নি। কান্দি অঞ্চলের এই প্রাচীন মন্দিরে প্রতিদিন প্রসাদ ভোগ বিতরণ করা হয়।গত রবিবার ,২৪ নভেম্বর আমরা দেবীর প্রসাদ খেতে গিয়েছিলাম। মন্দিরের মেঝেতে বসে শালপাতা তে সরু চালের ভাত ,ডাল, ভাজা, ফুলকপি র রসা , টক ,মাছের ঝোল ,পাঁচ তরকারি পায়েস পরিবেশন করা হয়।ভক্তরা তৃপ্তির সঙ্গে খান। শাল, সেগুন ,নাম নানা অজানা গাছের ছায়াঘন প্রান্তরে প্রাচীন. মন্দির এক পবিত্র অঙ্গন গ্রাম্য পরিবেশে সবাইকে মুগ্ধ করবে। ( ছবি পাঠিয়েছেন পায়েল )
কোন মন্তব্য নেই