ঐতিহ্যমন্ডিত কান্দি রাজবাড়ীর রাস উৎসব শুরু হল
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি রাজবাড়ীর চারশো বছরের রাস উৎসব শুরু হয়েছে চলবে ১০ দিন। ১০ দিন পর এই মেলার একাংশ কান্দি বিশ্রাম তলা এলাকায় বসবে এই পরম্পরা চলে আসছে। কান্দি রাজবাড়ীর প্রধান দেবতা রাধা বল্লভ জিউ কে কেন্দ্র করে এই মেলার সুসচনা করেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিমল চন্দ্র সিংহ এর পূর্বপুরুষ পরে পুত্র বিধায়ক অতীশ সিংহ, বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ পর্যন্ত উজ্জ্বল ধারাবাহিকতা বজায় ছিল । রাজবাড়ীর বিশাল সম্পত্তি রাধা বল্লভ কে কেন্দ্র করে নাট মন্দির আলোর মালায় সাজানো হয়েছে রামায়ন মহাভারতের কুশী লব দের আঙ্গিকে নানা মূর্তি রং করে নাট মন্দির সাজানো হয়েছে। রাধা বল্লভ এর পাশে জগন্নাথ বলভদ্র সুভদ্রা প্রথম থেকেই পূজিত হচ্ছেন। রাধা বল্লভ এর নিত্যদিন পুজোর পর প্রসাদ বিক্রি করা হয়। প্রসাদ বিলির দায়িত্বে আছেন অশোক মুখার্জী তাদের অতি স্বল্প বেতন দারিদ্রতা রাজবাড়ীর উজ্জ্বলতা ফিকে হয়ে গেছে। বিশাল এই রাজবাড়ীর সম্পত্তি আজ অবক্ষয়ের শিকার।ভেতরে লজ গড়ে ব্যবসা চলছে । এই অতি বিশাল সম্পত্তি কেন্দ্রীয় পর্যটন বিভাগ কে হস্তান্তর করার প্রস্তাব এসে ছিল । কান্দি মহকুমা তে এক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার সম্ভাবনা ছিল। ভেতরে নাচ পুকুর উজ্জ্বল অতীত নৌকায় বাইজি নাচের চল ছিল। রাজা মহারাজদের রাজকীয় জীবন চর্চার মাঝে লালা বাবু ছিলেন ব্যতিক্রম সর্বস্য ত্যাগের প্রতিমূর্তি। নাম ছিল কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ ১৭৭৫-১৮২২ সারা দেশে নাম করেছিলেন।
কান্দি জনপদে ভোরে ঘুরতে গিয়ে কানে আসে ধোপা তার বউকে বলছেন" সন্ধ্যা হল বাসনায় আগুন দিস না।" বাসনা শব্দের অর্থ কলাপাতার শুকনো পাতা ও বাকলা , লালা বাবু শুনলেন কামনা বাসনা জ্বালিয়ে দাও, ছাই দাও।সেই এক দৈব বার্তা লালা বাবুর জীবন ওলট পালট করে দিল। আর বাড়িতে ঢুকলেন না। সব ত্যাগ করে । সোজা পুরী হয়ে বৃন্দাবন চলে যান।আজ বৃন্দাবনে কান্দি রাজ বাড়ীর সোনালী স্মৃতি ধরে রেখেছেন । লালা বাবুর নামে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশ সেই মন্দিরে সেই সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসী কে শ্রদ্ধা জানায়।
কোন মন্তব্য নেই