কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে রক্ত মাখা গ্লাভস এর পর মরচে পরা কাঁচি
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা, ,,গুয়াহাটি 30অক্টোবরে কোলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্ত মাখা গ্লাভস এর পর মরচে পরা কাঁচি ধরা পড়ল।এই হাসপাতাল ব্যাপক দূর্নীতি। ক্রমশ বেরিয়ে আসছে। গতকাল অপারেশন টেবিলে এক জুনিয়র ডাক্তার এই কাঁচি দেখে অভিযোগ ফেটে পড়েন।এক প্রসূতির অপারেশন পর এই মরচে কাঁচি ভেঙে যায় বিপদ ঘটতে পারতো। এই মেডিকেল থেকে মর্গের মরদেহ বাইরে পাচার হয়ে যায়।এবি আনন্দ এক তদন্ত করে দেখেছে বস্তা বস্তা সিরিঞ্জ, ইনজেকশন সূঁচ তারিখ পার হওয়া ড্রেনের পাশে পাওয়া গেছে। এর আগে নতুন বক্স সিল করা ছিল গ্লাভস খুলতেই রক্ত মাখা গ্লাভস ভরা থাকে। এই হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ হাজার দুর্নীতিতে জড়িত। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি লিখিত ভাবে মর্গ থেকে মরদেহ চোরা পাচার ,বর্জ্য সামগ্রী চালান , রক্ত চোরা পাচার ইত্যাদি গুরুতর অভিযোগ করে গেছে। 140আগস্ট রাতে এই হাসপাতালের লাখ লাখ ঔষধ ও অন্যান্য সামগ্রী ভেঙে চুরে ধ্বংস করে দেওয়া হয় হল বাইরের দুষ্কৃতী এই কাজ করে।
কলকাতা পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ নয় সব মেডিক্যাল কলেজ ও সাধারণ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অধিকাংশ নয় সব কলেজে ভর্তি সময় লাখ লাখ টাকা দালালরা নিয়ে থাকে। থ্রেট কালচার চক্র সক্রিয় কোনো প্রতিবাদ প্রতিরোধ নেই।স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যাবস্থা নরকে চলে গেছে। সব অসাধু ডাক্তার ভরে গেছে। গত 15বছর হযত ডাক্তার অধ্যাপক পাশ করে বেরিয়েছে অধিকাংশ অসাধু যোগ্যতা নেই।সরকার চুপ
বাম আমলে শেষের সময় থেকে থ্রেট কালচার শুরু হয়েছে। সব মেডিক্যাল কলেজ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব কলেজ ব্যাপক মাদক সঙ্গে সেক্স রাকেট সমানে চলছে। বলার বা প্রতিবাদ করার কেউ নেই তথাকথিত এক সাংবাদিক মুখপাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিদ্ধ করে জেল খেটে ছিলেন। তিনি এখন সরকারের রক্ষা কর্তা। এবিপি আনন্দ তার কথা না বলে জল খাই না। তার কথা অনবরত বলে চ্যানেলের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারছে না। যোগ্যতা হীন এক মুখপাত্রের বক্তব্য কে গুরুত্ব দেয় না। এই মুখপাত্র জুনিয়র ডাক্তারদের গালি গালাজ করছেন এই জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্যের দুর্নীতির খুঁটি ধরে নাড়া দিয়েছে।মানুষকে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। মহিলাদের সজাগ করে পথে নামিয়েছে।সরকারি ডাক্তার কর্মচারী পরিকল্পনা করে চক্রান্ত করে জুনিয়র ডাক্তারকে সরিয়ে দিল। তার দেহে 150গ্রাম বীর্য ঢেলে শরীরে একশো মত নখের বা কামড় বা সুচের ক্ষত চিহ্ন বসিয়ে নৃশংস ভাবে হত করিয়েছে।দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই মাত্র এক সিভিক পুলিশকে ধরে হাত ধুয়ে নিল. আট ,দশ জন জড়িত একজনের কাছে পাঁচ গ্রামের বেশি বীর্য পাওয়া যায় না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সেই কথা বলছে।সিবিআই হাস্যকর চার্জ শিট দিয়েছে। মানা যায় না।সিবিআই বছরের পর মামলা ঝুলিয়ে রাখে।দেশের সব আদালত শীর্ষ থেকে জেলা একই ছবি সাধারণ গরীব মানুষ বিচার পাইনা।দেশে লাখ লাখ মামলা জমে আছে।যার টাকা আছে তারা বিচার পায়। দেশ উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। দেশের 543 সাংসদদের অধিকাংশ দুর্নীতির সঙ্গে ঘর করে।সততার অভাব। এইমহুর্ত্যে দেশের আর্থিক সমস্যা থেকেও বেশি বড় সমস্যা মূল্যবোধের সমস্যা আর পরিবেশ সমস্যা দেশের ভূগর্ভের জল ফুরিয়ে সবুজ জঙ্গল সাবার হচ্ছে। দেশবাসীর নেতাদের
চিন্তা নেই। বিরিয়ানি মদ মাংস বিলাস বৈভব জীবনে ডুবে আছে।ঘরে ঘরে ঠান্ডা মেশিন বাইরে 50ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম। এক পরিসংখ্যান বলছে দেশে এখনো 24কোটি হত দরিদ্র মানুষ
দুবেলা দুমুঠো ভাত বিলাসিতা পর্যায়ে পড়ে। সেই দেশের সাংসদ বিধায়ক দের বিলাস বৈভব জীবন। অবক্ষয়ের শেষ দুয়ারে পৌঁছিয়ে গেছে। বিশেষ করে বাঙালিরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছে। মেরুদণ্ডহীন জিবে পরিণত হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই