কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষের ঘেরাটোপে ডাক্তার হত্যা আজও রহস্য
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী আজ হঠাৎ ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে হাজির হন।বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয় দিদি হিসাবে এসেছেন। দাবী করেন তিন মাসের মধ্যে অপরাধীর ফাসি হবে। ৯৩ হাজার ডাক্তার আছেন তারমধ্যে সারে সাত হাজার জুনিয়র ডাক্তার ২৮ দিন ধরে অভোয়া হত্যার বিচার দাবি করে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন। মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায় দাবী করেছেন ২৯ জন রুগী বিনা চিকিৎসা মারা গেছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দায়ী করা হচ্ছে।রাজ্যে তো এক লাখ ডাক্তার ৪৫ টি মেডিক্যাল কলেজ তারপর মাত্র সারে সাত হাজার ডাক্তারদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে কেন বলে জুনিয়র ডাক্তার দের অভিযোগ।আসল অপরাধী যারা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিজেদের সহকর্মী কর্মরত জুনিয়র ডাক্তার কে নির্মম ডাক্তারকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।ধর্ষণ করে উলংগ শরীরে শতাধিক কামড় দিয়ে নখে ক্ষতবিক্ষত করে দেড়শো গ্রামের বেশি বীর্য বা সিমেন পাওয়া গেছে ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে । একাধিক দুষ্কৃতী এই ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত।অথচ কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় বলে বুক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এই সঞ্জয় রায়ের নারকোটিক পরীক্ষা করা হয়নি। আজ এবিপি আনন্দ থেকে জানা যায় নিহত ডাক্তারের দেহ নিয়ে স্বশানে যাওয়ার সময় গ্রীন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হয়।কোলকাতা পুলিশ এম্বুলেন্স ভাড়া করে ,গাড়ীর ভাড়া মিটিয়ে দেই কলকাতা পুলিশ। শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন এক তৃনমূল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। মৃত দাহের পর রেজিস্ট্রি বইয়ে স্বাক্ষর করেন কাউন্সিলর ।মৃতার মা বাবার স্বাক্ষর নেই। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই যে পরিবেদন পেশ করেছে তাতে পোস্টমর্টেম নানা কারচুপি ধরা পড়ে। রাজ্যে আন্দোলন আজও ডাক্তার বিচার পেলো না।সারা বিশ্বে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।এর মধ্যে মাস খানের মধ্যে বাঙালি প্রিয়তম উৎসব দুর্গা পুজো। আজও দুর্গার মেয়ে বিচার পেলো না। নীলাকাশ নেই জলভরা বৃষ্টি মেঘ শিউলি কাশ ফুল থমকে গেছে। শরৎ এর আকাশে গভীর কালো মেঘ জমেছে। এবার মা আসবেন তো? বর্তমান রাজ্যের একাংশ অসাধু ডাক্তার দের সম্পর্কে প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন এখন ডাক্তাররা হাটে বাজারে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ৫০০ হাজার টাকা ফিজ নিয়ে ডাক্তারি করছেন।অধিকাংশ ব্লাড প্রেসার মাপতে জানে না।দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ র নাম বলতে পারেনা ।প্রকৃত রোগ নির্ণয় করতে পারেনা। অথচ রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে বিশেষ ঔষধ কে বেশি প্রচার করিয়ে পুরস্কার হিসাবে বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ দেওয়া হয় ডাক্তারদের। অধিকাংশ ভেজাল ঔষধ ডাক্তারদের প্রচারের জেরে বিক্রি হয়। আর জি কর হাসপাতাল তো রসাতলে গেছে বলে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন অভিযোগ করেছেন। সেই হাসপাতালের মার্গের লাশ পাচার হচ্ছে।অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার হচ্ছে। বায়ো মেডিকেল ব্রজ পাচার হচ্ছে। বাংলার বিখ্যাত উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব রাধা গোবিন্দ কর প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন থেকে করেছিলেন। সেই উজ্জ্বল বাঙালির হাসপাতালে মর্গ থেকে লাশ পাচার চলছে। বাঙালিদের লজ্জা লুকোনোর জায়গা আছে কি।
কোন মন্তব্য নেই