Header Ads

বিপ্লবী প্রীতি লতা কে ভারতবর্ষ কি চেনেন?

৮০ বছর আগে প্রীতিলতা গ্রাজুয়েশন শেষ করলেও তাঁকে বেথুন কলেজ পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট দেয়নি।

যারা মাধ্যমিকে ভালো ফল করল এবং যারা উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করলো তাদের কেউ জানিয়ে দিক প্রীতিলতা নামের একটি মেয়ে এন্ট্রান্সে (মাধ্যমিকে) ভালো ফল করেছিল..

উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম আর সবার মধ্যে পঞ্চম হয়েছিল। বৃত্তি পেয়েছিল ৮০ টাকা।

বেথুন কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন মেয়েটি। কিন্তু রেজাল্ট পাননি। প্রশংসাপত্র পাননি। নিজের জেলায় ফিরে গিয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। প্রীতিলতা বাঁশী বাজাতে জানতেন।

প্রীতিলতা কম বয়স থেকে লাঠি ছোরা চালাতে জানতেন। জানতেন কীভাবে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয়। পড়াতে যাচ্ছি বলে একদিন বাড়ি ছাড়েন। কারণ বাড়িতে থাকলে এনকাউন্টারে মরতে হতো। ইতোমধ্যে এমনও হয়েছে এনকাউন্টারে দলের অন্যেরা মারা গিয়েছে, মেয়েটি তার গুরুর সাথে পানাপুকুরে রাতের অন্ধকারে সাঁতরে প্রাণে বেঁচিয়েছে কোনোক্রমে। ইওরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে তিনি নেতৃত্ব দেন। তারপর পটাশিয়াম সায়ানাইড ক্যাপসুল মুখে ভরে নেন।

ওঁর বন্ধু কল্পনা দত্ত লিখেছিলেন,‘ নিরীহ জীব মারতে পারত না প্রীতি। কিন্তু স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে বা নিতে সে সদা প্রস্তুত ছিল।’

অজ্ঞাতবাস থেকে মাকে লিখেছিলেন, “দেশ স্বাধীন করার জন্যে এখনও কন্যারা প্রাণ দেননি। তাদের অনুপ্রেরণা দিতেই তিনি মৃত্যুবরণ করছেন।”

স্নাতক হওয়ার আশি বছর পর বেথুন কলেজ তাকে ডিগ্রি দেয়।

ভালো ছাত্র হওয়া মানেই দেশ-দশ সম্পর্কে উদাসীন হওয়া নয়, আত্মকেন্দ্রিক হওয়া নয়। স্বার্থপর প্যাকেজলোভী কর্পোরেট, গরিবের পকেট কাটা ডাক্তার হওয়া নয়। ভালো ছাত্রের দায়িত্ব বেশি। তার দৃষ্টি প্রসারিত হওয়ার কথা। তার লক্ষ্য বড়। অনেকের জন্য ভাবার দায় তার, তার দিকেই তাকিয়ে আছে নিরন্ন পিছিয়ে পরা নানা ভাবে বঞ্চিত মানুষ। শুভেচ্ছা-সহ এ কথাটা তাদের কে কেউ জানিয়ে দিক........

সংগৃহীত......

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.