উপ মহাদেশে কোটি কোটি কোটি বাঙালি যাদের নেতাজি সুভাষ ,বিবেকানন্দ ,অরবিন্দ রা একদিন পথ প্রদর্শক ছিলেন আজ অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে
অমল গুপ্ত, বহরমপুর:অসম বাঙলা সহ এই মহাদেশে বাঙালি দের এক বিশেষ অবদান ছিল। সাহিত্য সংস্কৃতি শিল্প বাণিজ্য সব দিকেই উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। আজ এই জনগোষ্ঠী ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছে নিজেদের উজ্জ্বল অতীত হারিয়ে ফেলছে । একাংশ ছিন্ন মূল বাঙালি বিদেশের মাটিতে ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে, সেখানেই জীবন জীবিকা দেশের প্রতি আর টান নেই বুড়ো মা বাবা কে স্বদেশ ফেলে অবহেলায় রেখে স্বামী পত্নী সন্তান কে দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি কে ভুলিয়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মোহে আচ্ছন্ন হয়ে দিনযাপনের গ্লানি , ডলার পাউন্ড এর বিলাসী জীবন নেতাজি বিবেকা নন্দ কে ভুলে আত্ম পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে লাখ লাখ বাঙালি প্রাণ বিসর্জন বৃথা হল। দেশের নীতি হীন দেশের প্রতি প্রেম না থাকা রাজনীতি বিদ দের রাজনীতি র বলি হল বাঙালি রা বাঙলা দেশের মাটি থেকে বিতাড়িত হল একাংশ একাংশ ভারতে র বিভিন্ন রাজ্যে দ্বীপ ভূমি আন্দামান মরিচ ঝাঁপি ঝাড়খন্ড নাগপুর সহ বিভিন্ন রাজ্যে আজও নানা প্রতিকূল পরিস্থতিতে। লড়াই করছে। ভারত সরকার কোনো দিন কথা রাখেনি। আজও শুধুই প্রতিশ্রুতি আশ্বাস। ভারত প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহরু লালবাহাদুর শাস্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী লাল কৃষ্ণ আডবাণী সংসদে দাঁড়িয়ে বাঙালি দের জীবন জীবিকা পুনর্বাসন নিয়ে যে সব লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন তা কবেই গঙ্গা, পদ্মার, যমুনার জলে কবেই ভেঙে ভেসে গেছে। এইসব নেতারা সংসদে বলে গেছেন বাংলা দেশ থেকে যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতে যেকোন সময় বাঙালি হিন্দু ভারতে আসবে তাদের নাগরিকত্ত দেওয়ার দায়িত্ত্ব ভারত সরকারের ,"তারা বনাফাইড সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া" ভারত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। আজ স্বাধীনতার৭৫ বছর পর দেশের কোটি কোটি বাঙালি জীবন জীবিকা র একটুকরো আশ্বাস পেলো না। শুধু মিথ্যা চার আর বিশ্বাস ভঙ্গ।এই ২০২৪সালের লোকসভা নির্বাচন কোটি কোটি বাঙালি কে ভেঙে চুরে শেষ করে দেবে । বাঙালি দের মধ্যে কোন সদ্ভাব নেই । পারস্পরিক হিংসা। নিজেকে বড় ভাবার মিথ্যা চেষ্টা , পরের জন্যে নয় নিজের জন্যে বাঁচা , নি জেদের চারপাশ স্বার্থে র বড় প্রাচীর তুলে বাইরের আলো বাতাস আটকে সবকে" বিলো এস্টিমেট "করা বাঙালি দের পুরন অভ্যাস। বিরিয়ানি দোকানে লাইন ,মদ মাংসের দোকানে লাইন ভিড় করে দেশ সফর সাজসজ্জা লাইফ স্টাইল মা বাবার প্রতি অবহেলা বাঙালি দের জীবনের অঙ্গ। 2024সালের নির্বাচন বা লোকসভা ভোট এ নানা সমীকরণ বাঙালি জাতি কে নির্মূল করার ফন্দি ফিকির রাজনৈতিক দলগুলোর বাঙালি বিরোধী স্থিতি গভীর চক্রান্ত আর্দশ হীন দলগুলো র নানা প্রলোভন গিলে ফেলেছে বাঙালি ,তাদের ব্যক্তি গত লোভ লালসা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিজেপি কংগ্রেস সহ দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল গুলি বাঙালি কে পাত্তা দেয় না , বাঙালি দের সাইড লাইনে বসিয়ে রেখে দলের নীতি নির্ধারণ করে। বাঙালি দের অন্ধ কারে রাখা হয়।,ভাগ করো আর ভোগ কর নীতি বাঙালি দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বাঙালি বাঙালি দের শোষণ আখের গোছায় সরকারি সুযোগ নেবার চেষ্টা করে অন্য বাঙালি দের লাঠ মারে। বাঙালি রা আত্ম সম্মান বোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাই স্বাভাবিক বাঙালিদের সব দিকে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। বর্তমান দেশের তথা বিশ্বের জ্বলন্ত সমস্য জল পরিবেশ দূষণ সমস্য ।আর মানবিক সমস্য মূল্য বোধের সমস্যা আর্থিক সমস্যা থেকে অনেক বড় সমস্যা মূল্য বোধ সততা মানবিক সমস্যা। পশ্চিম বঙ্গে তো রাজ্য টা দুর্নীতি গ্রাস করেছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্রর বসুর র রক্তে বাঙালি তো আজ দুর্নীতি পরায়ন জাতিতে পরিণত হয়েছে বললে কি ভুল বলা হবে না।l, বিশ্বে প্রায় 800কোটি জনসংখ্যা । তিন ভাগ সাগর।লবন জল পানের উপযুক্ত নয় ।বিশ্বে মাত্র 3শতাংশ জল নিয়ে লড়াই করছে বিশ্ব বাসী। মাটির নীচে জল ফুরিয়ে যেতে বসেছে। ভারতে চিন্তা বা উদ্বেগ নেই রাজনীতি নিয়ে রাত দিন । চিন্তা আর মসনদ নিয়ে ভাবনা। মসনদে বসে গুছিয়ে দূর্নীতি শুরু করবে এবার বিশ্বের সব থেকে বড় দূর্নীতি নির্বাচন বন্ড মানুষ বুঝে গেছে দূর্নীতি কতদুর যেতে পারে।। সব দলই যথাব uরীতি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। কোনও দল জলসংরক্ষণ জল দূষণ প্লাস্টিক নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়না। দেশের পবিত্র নদী গঙ্গা যমুনা ব্রহ্মপুত্র সহ 45টি নদী দূষিত হয়ে গেছে। রাজধানী র আকাশ কার্বন বিষ । আকাশ বাতাস দূষিত আকাশ বাতাস নিশ্বাস নিতে পারছে না। তবু ও দেশে অমৃত মহোৎসব চলছে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট রাষ্ট্র এ পরিণত হয়েছে। *লেখক অমল গুপ্ত মুখ্য সম্পাদক, নয়া ঠাহর।
কোন মন্তব্য নেই