সন্তান প্রসব পরীক্ষার্থীর
সন্তান প্রসব পরীক্ষার্থীর
পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সমান্তবর্তি মুর্শিদাবাদ জেলায় নিধারিত বয়স থেকে কম ১৩ ১৪ বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তা আটকাতে পারছে না তার কারণে এই পরিনতি।মুর্শিদাবাদে নাবালিকা বিয়ে নতুন কিছু নয়। যে বয়সে মেয়েদের বইয়ের ব্যাগ কাঁধে করে বিদ্যালয় যাওয়ার কথা, সেই বয়সের মেয়েদের অভিভাবকেরা বিয়ে দিচ্ছেন। যার জেরে মুশিদাবাদের একটি বড় অংশের ছাত্রীরা নাবালিকা বয়সে মা হয়ে পড়ছে। বারে বারে সেই চিত্র উঠেছে মুর্শিদাবাদের আনাচ কানাচে। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সে দিন রাতেই সন্তান প্রসব করে সুতির এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আর তার পরের দিন হাসপাতালের শয্যায় বসে ইংরেজি পরীক্ষা দিয়েছে ওই নাবালিকা। ফের সন্তান প্রসবের ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে হাসপাতালের শয্যায় বসে মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা দিল বহরমপুরের এক কিশোরী। মঙ্গলবার ওই কিশোরীর বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছিল যেখানকার প্রধান শিক্ষকের তংপরতায় বহরমপুরের কর্ণসুবর্ণ ব্লক প্রাথমিক স্বাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সে পরীক্ষা দিয়েছে।
রাতে সন্তানের জন্ম দিয়ে সকালে হাসপাতালের শয্যায় বসে ইংরেজি পরীক্ষা দিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর বাড়ি মুর্শিদাবাদের একটি গ্রামে। বছর খানেক আগে বিয়ে হয় ওই নাবালিকার। শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই প্রসব যন্ত্রণা ছটফট করতে থাকে সেই। রাত ৯টা নাগাদ সন্তানের জন্ম দেয় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।








কোন মন্তব্য নেই