
অমল গুপ্ত :নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের আজাদ হিন্দ বাহিনী র গোপন কার্যকলাপ নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ইতিহাসবিদ pratul চন্দ্র গুপ্ত কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বইটি সম্পূর্ন হওয়ার পর নেহরু বইটি প্রকাশ করার অনুমতি দেননি। তা আজ দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এর কাছে আছে। সুপ্রীম কোর্টে র বিশিষ্ট আইনজীবী নেতাজি গবেষক জয়দীপ মুখার্জি দিল্লী আদালতে দ্বারস্থ হয়ে গ্রন্থ টি প্রকাশ করার অনুমতি চেয়ে জন স্বার্থে মামলা করেন। আজ দিল্লী হাই কোর্ট সেই আবেদন গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কে নোটিশ দিয়ে এক মাসের মধ্যে বইটি প্রকাশ করার নির্দেশ দেন। জয়দীপ মুখার্জি অভিযোগ করেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর 75 হাজার সেনা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে লড়াই করেছিলেন ।তার মধ্যে 25 হাজার প্রাণ বলি দান দেন। বাকিরা তদানীন্তন কংগ্রেস সরকার বিচারের নামে প্রহসন করে এই সেনার উপর নির্যাতন চালায়। লজ্জা ও পরিমাপের কথা স্বাধীনতার 75 বছর অমৃত উৎসব চলছে।অথচ যার জন্যে ভারতের স্বাধীনতা এসেছে সেই নেতাজি আর আজাদ হিন্দ বাহিনীর কে সম্মান মর্যাদা দেওয়া হলনা। কেন্দ্রীয় কংগ্রেস সরকার বিজেপি সরকার একটাই কথা বলছে আর্ন্তজাতিক নানা চুক্তি আছে তার জন্যে কোন গোপন তথ্য প্রকাশ করা যাবেনা। দিল্লিতে রাজপথে নেতাজি প্রতি মূর্তি নির্মাণ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি। নেতাজি জন্ম দিনে ছুটি পর্যন্ত ঘোষণা করা হলনা। আজ শান্তিনিকেতনে নেতাজি প্রেমি জয়দীপ মুখার্জি এর লেখা গবেষণা মূলক গ্রন্থ " Cheka" নামে এক গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়। নেতাজি কোন বিমান দুর্ঘটনা মারা যান নি। ভারতের শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী কে রাশিয়ার জেলে নিষ্ঠুর বসে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়। তখন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসাবে বিজয় লক্ষ্মী পণ্ডিত ও sarbapolli Radha Krishnan জেলে বন্দি অবস্থায় দেখে এসে ছিলেন। ভারতে আসার সঙ্গে নেহরু তার বোন বিজয় লক্ষ্মী পণ্ডিত এর মুখ বন্ধ করে দেন। দেশের উপ রাষ্ট্র পতি পদে বসিয়ে sarbapolli মুখ বন্ধ করে দেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজি গবেষক জয়দীপ মুখার্জি নানা তথ্য প্রমাণ সহকারে Cheka গ্রন্থ টি লিখেছেন। গ্রন্থ টি আগে গুয়াহাটি, শিলং প্রেস ক্লাবে, উন্মোচন করা হয়েছিল আজ শান্তিনিকেতনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উন্মোচন করা হয়। আজও দিল্লী হাইকোর্টের খবর টি প্রকাশ পায়। নেতাজী গবেষক জয়দীপ মুখার্জি আজাদ হিন্দ বাহিনীর কয়েক হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ লঙ্কা র সহ সম্পদ কোথায় গেল কে লুট করলো তা জানতে চেয়ে দিল্লী হাইকোর্ট এক রিট পিটিশন করেছেন বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই