রোজ কান্দি বাগানের ম্যানেজার কে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে
নয়া ঠাহর- শিলচর
বরাক বাসীর কাছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইবার জন্য রোজকান্দি বাগান ম্যানেজারকে সাধুবাদ , সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে প্রস্তাবিত বিক্ষোভ হবে - বিডিএফ।
গত ২রা ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান টি এসোসিয়েশনের সভাপতি তথা রোজকান্দি বাগানের ম্যানেজার সাংবাদিকদের সামনে বরাকের নাগরিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজন্য বরাকবাসীর কাছে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে গতকাল দাবি জানিয়েছিল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। আজ এই মর্মে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইবার জন্য ঈশ্বর ভাই উবাদিয়াকে সাধুবাদ জানালেও একই বক্তব্য তাঁকে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সামনে রাখার দাবিতে স্থিত রইল বিডিএফ।
এদিন বিডিএফ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইবার জন্য রোজকান্দি বাগানের ম্যানেজারকে তাঁরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাচ্ছেন, তবে যেহেতু তিনি তাঁর মন্তব্য সাংবাদিকদের সামনে করেছেন তাই সাংবাদিকদের সামনেই এই বক্তব্য প্রত্যাহার তথা এজন্য বরাকবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবার দাবি জানিয়েছিল বিডিএফ। তাই যে বক্তব্য তিনি লিখিত ভাবে পেশ করেছেন অবিলম্বে তা সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে তাঁকে পেশ করতে হবে। অন্যথা বিডিএফ তাঁদের প্রস্তাবিত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে জয়দীপ আরো বলেন যে সম্প্রতি তাঁদের কাছে খবর এসেছে যে রোজকান্দি চা বাগানের ২০০ বিঘা জমিতে বিজেপি মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্যের ফিশারি রয়েছে । তিনি বলেন যে রোজকান্দি বাগানের ম্যানেজার বলেছেন যে চা বাগানের জমি বাংলাদেশীরা বেদখল করছে। তার মানে এই ক্ষেত্রে কি ধরে নিতে হবে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বাংলাদেশী ? তিনি আরো বলেন যে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চা বাগানের জমি কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। শুধু বাগান করার জন্যই এইসব জমি সরকার ৯৯ বছরের লিজে ব্যাবহার করার অনুমতি দেয়। তাই রোজকান্দি বাগানের জমি যদি মন্ত্রী পরিমলকে ফিশারি করার জন্য উপটৌকন দেওয়া হয়ে থাকে তবে তা সম্পুর্ন বেআইনি। জয়দীপ সরকার তথা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে এই ব্যাপারে তদন্ত করে,প্রকৃত তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।
জয়দীপ ভট্টাচার্য এদিন বলেন যে যেহেতু রোজকান্দি বাগানের মালিক তথা ম্যানেজারের সাথে মন্ত্রী পরিমলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাই তাদের সন্দেহ যে তাঁর তথা বিজেপি দলের নির্দেশেই ভোটের আগে এই বাংলাদেশী ইস্যুকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চা বাগানের বাসিন্দা বনাম স্থানীয় বাঙালি তথা বাঙালি হিন্দু বনাম মুসলিম বিভাজন করে ভোট হাসিল করতেই এই সব চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে তাঁরা মনে করছেন।
বিডিএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এই খবর জানিয়েছেন।








কোন মন্তব্য নেই