চোখের ক্যান্সার দ্রুত চিকিৎসা দরকার

*চোখের ক্যান্সারের দরকার সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা*

একজন মানুষের চলার পথে অন্যতম শক্তি হলো তার চোখের দৃষ্টি। কিন্তু রেটিনোব্লাসটোমা কারণে সে আলো চিরতরে নিভে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়। কিন্তু সচেতনতা বাড়িয়ে ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করালে সেই দৃষ্টিশক্তি ও বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। 

শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সিদের ক্ষেত্রেই চোখের ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন দিকগুলি নিয়েই দুদিন ব্যাপী জাতীয় স্তরের আলোচনাসভার আয়োজন করেছে সল্টলেকের একটি বেসরকারি চক্ষু চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান। সেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা চক্ষু চিকিৎসা করা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরবেন।  প্রথম দিনের আলোচনা সভার বিভিন্ন ঘটনা এবং সেগুলিকে কেন্দ্র করে ঝুঁকি ও তার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়েই হল আলোচনা। ওই চক্ষু চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান শঙ্কর নেত্রালয়- এর এডুকেশনাল প্রধান ও বলিষ্ঠ চিকিৎসক জানিয়েছেন চোখের পাতা ভিতরে এবং মনির পিছনে থাকা ওর বিটে টিউমার দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। শিশু ও বয়স্ক উভয় বয়সে মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। 

আলোচনাসভায় উঠে এল চোখের পাতার ওপরে থাকা ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমার বাদ দিয়ে কিভাবে তার পূর্ণ গঠন করা সম্ভব সেই বিষয়টি। আবার চোখের ভিতরে থাকার টিউমারের কারনে দৃষ্টি ক্রমশ ঝাপসা হওয়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই রোগী ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মতো ঝালকানি উপলব্ধি করেন। সে ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি উপযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়। মনিটি ছেলে বাহিরে বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়। চোখটি বাঁচিয়ে রাখতে গেলে অস্ত্র প্রচার করেই ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমারটি বাদ দিতে হয়। উপস্থিতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন খালি চোখ থাকার ফলে অত্যাধিক সূর্যলোকের  সংস্পর্শে আশা ঠিকমতন চোখের পর্যায়ে না করা এবং জিনগত কারণেও চোখের এই সমস্ত ক্যান্সার হতে পারে। তাই অন্য উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা-সহ চোখ  সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বুদ্ধের দিকেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।