Header Ads

*লালবাগে গঙ্গার উপর সেতুর দাবি স্থানীয় বাসিন্দার* মুর্শিদাবাদ জেলা গঙ্গায় খেয়া পারাপারের সমস গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গত ৩০ নভেম্বর এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই লালবাগ শহরের একাধিক সংগঠন সেতুর দাবি জানিয়ে পথসভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। ওই দুর্ঘটনার পর জেলাশাসকের নিদের্শে জেলার সব ঘাটে নৌকোয় গাড়ি পারাপার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌকোয় যাত্রীদের বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্ৰী লাইফ জ্যাকেট রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। ওই ঘটনার কথা মনে করিয়ে লালবাগ টাউন কংগ্রেস সভাপতি বলেন দু বছরের ব্যবধানেএ লালবাগ সদরঘাটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কয়ক জনের মৃত্যু হল। যাত্রী নিরাপত্তার দিকটা সে ভাবে কোনওদিনই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। তিনি আরও বলেন জেলা প্রশাসন তরিঘড়ি সমস্ত খেয়াঘাট দিয়ে গাড়ি পারাপার বন্ধ করে দিলেও এখনও মাঝেমধ্যেই লালবাগ এলাহিগঞ্জ ঘাট দিয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গাড়ি পারাপার হচ্ছে। ৫০ কিমি ব্যবধনে জেলার দুই প্রান্তে গঙ্গার উপর দুটি সেতু রয়েছে। একটি বহরমপুর ও অপরটি জঙ্গিপুরে। অথচ মুর্শিদাবাদ শহরের ভাগীরথীর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে। তাঁর কথায় বছরভর কয়েক লক্ষ লালবাগ শহরের হাজারদুয়ারি ভাগীরথীর অপর পাড়ে খোসবাগে সিরাজউদ্দৌল্লার সমাধি কিরীটেশ্বরী মন্দির দেখতে যন। তাঁদের ঝুঁকি নিয়ে নৌকোয় গঙ্গা পারাপার করতে হয়। বিকল্প কোনও পথ নেই। তাই অবিলম্বে লালবাগ শহরে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন। আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক সব ধরনের চার চাকার যান পারাপারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি গাড়িও তার ব্যতিক্রম নয়। উপযুক্ত প্রমাণ সহ অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করা হবে। তিনি সেতুর দাবি নিয়ে বলেন এই মুহূর্তে সেতু নির্মাণের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে লালবাগ সদরঘাটে যাত্রীদের সুবিধায় উন্নতমানের জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

*লালবাগে গঙ্গার উপর সেতুর দাবি স্থানীয় মানুষদের 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.