*বিদেশে আটকে মুর্শিদাবাদের শ্রমিক
পরিযায়ী শ্রমিক ও মুর্শিদাবাদ এক প্রকার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকের প্রসঙ্গ উঠলেই মুর্শিদাবাদের নাম এসে যায়। আর এই জেলা থেকে বিদেশ বিভুঁইয়ে কাজে গিয়ে বিপাকে পড়েন বহু পরেই যাই শ্রমিক। কখনও এদেশের বিভিন্ন রাজ্যে কাজে গিয়ে বিপাকে পড়েন। এ বারে মুর্শিদাবাদের ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়া শ্রমিকের কাজে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
তাদের কেউ জেলবন্দী আছেন তো কেউ বা নিখোঁজ রয়েছেন। আবার কেউ কেউ কাজ না পেয়ে চরম সমস্যার রয়েছেন। বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে তবে তাদের খাবার জুটছে। তাদের পরিবারের তরফ থেকে বাড়ি ফেরানোর আবেদান জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং বিদেশ মন্ত্রকের কাছে।
জেলা প্রশাসন আবার সেই আবেদন রাজ্যে পাঠালে রাজ্য শ্রম দফতর থেকে বিদেশ মন্ত্রকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তবে এখনও তাঁরা দেশে ফিরতে না পারায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকেরা।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলা শাসক বলেন আমাদের কাছে এমন অভিযোগ এলে রাজ্য পাঠিয়ে দিই। রাজ্য থেকে দ্রুত বিদেশ মন্ত্রীকে পাঠানো হয়। সম্প্রীতি এমন অভিযোগ পেয়ে আমরা রাজ্য পাঠিয়েছি। রাজ্য সরকারের তরফেও প্রয়োজনীয়পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বিদেশে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা মুর্শিদাবাদের একটি
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা বলেন বিদেশে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশ দালালের খপ্পরে পড়েন। বিদেশে পর্যটক ভিসায় গিয়ে কাজ করা যায় না। কিন্তু কম খরচে দালালেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের পর্যটক ভিসায় বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যার জেরে পর্যটক ভিসার মেয়াদ শেষ হলেই তাঁরা জেলবন্দি হচ্ছেন বা সেখানকার সংস্থাগুলি এদেশের এই ধরনের শ্রমিকদের উপর অন্যায় আচরণ করছে। যার জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
সূত্রের খবর এই মুহূর্তে সৌদি আরব এবং মালোশিয়ায় মুর্শিদাবাদের, বহরমপুর, বেলডাঙ্গা, ভরতপুর, কান্দি, দৌলতাবাদ, জলঙ্গি সহ বিভিন্ন এলাকার ১৫ জন আটকে রয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ জেলবন্দি কেউ কেউ আইনে জটিলতায় পড়েছেন কেউ বা জেলের বাইরে থাকলেও পর্যটক ভিসায় যাওয়ার কারণে কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।
এ ছাড়া এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও তাঁর মৃতদেহ দেশে ফেরানো যায়নি। তাঁদের ফেরানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও বিদেশ মন্ত্রকে আবেদন জানানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই