Header Ads

ডিমা হাসাও জেলার বাঙালি দের জীবন যুদ্ধে খবর নিতে গিয়েছিলাম

ডিমা হাসাও জেলার লাংটিং গিয়েছিলাম আজ। যথেষ্ঠ সংখ্যক বাঙালি বসবাস করেন ওখানে। ১৯৯৪ সালে আমার প্রথম যাওয়া সেখানে। সারা অসম বাঙালি যুবছাত্র পরিষদের কমিটি গঠন করেছিলাম। ওই সময় পরিবেশ ও পরিস্থিতি ততোটা বাঙালির অনুকূলে ছিলো না। লাংটিং, মাইবং, মাহুর ও হাফলং গিয়ে পরিষদের অনেক সভা সমিতি করেছি। ফলশ্রুতিতে, ডিমা হাসাও জেলার বাঙালিদের  সঙ্গে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, বললেও ভুল বলা হবে না। কারণ ওখানকার বাঙালির সমস্যা গুলি আমার জ্ঞাত। আমি প্রায়শই এই পাহাড়ি জেলায় যেতে পছন্দ করি। আঁকা বাঁকা সর্পিল পথ। ফোর লেনের ন্যাশনাল হাইওয়ে। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর দৃশ্য! চারদিকে সবুজ পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ মেলা!  অতুলনীয় পাহাড় ও নীল আকাশের মেলবন্ধন! শরৎ কালের কাশফুল অকাল বোধনের মতো রাস্তার দুপাশে দেখা যায়। যদিও এগুলো কাশফুল নয়। পাহাড়ি এলাকার নাম না জানা একপ্রকার উদ্ভিদ। অপূর্ব সুন্দর সূর্যাস্ত দেখলাম! অভিভূত না হয়ে থাকতে পারলাম না। স্থানীয় পুরোনো পরিচিত কয়েকজন মানুষের সঙ্গে দেখা করলাম। আগামি ৮ই জানুয়ারি নর্থ কাছাড় হিলস অটোনোমাস কাউন্সিলের নির্বাচন। মনেহচ্ছে, বিজেপির পাল্লাই ভারি। 
আমার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করলাম। বেগুনের বড়া, পাপড়, ঘি, ডাল, মাছের ঝোল ও পাহাড়ি মুরগির মাংস। জম্পেশ আয়োজন ছিলো। রাতের অন্ধকার নামার আগেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও লাংটিং থেকে বিদায় নিলাম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.