Header Ads

এন আর সি বলে কিছু নেই, উদ্বাস্তু বলে কিছু নেই বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অমল  গুপ্ত,কলকাতা:মুখ্যমন্ত্রী  মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়  আজ  উত্তর  বঙ্গে দাবী  করেন  বাংলা তে কোন  সত্বে এন  আর  সি   চালু  হতে  দেবে না।  তার অভিযোগ বি এস এফ  বেআইনী  কাজ  করছে। নিজেরা  কার্ড  বিলি  করছে। সেই  কার্ড  গ্রহণ  না  করার  পরামর্শ  দেন।  দাবী  করেন বঙ্গে উদ্বাস্তু  বলে  কিছু নেই।  সব উদ্বাস্তু র  কলোনি   করে  পুনর্বাসন  ব্যবস্থা  করে  দেওয়া  হয়েছে।  আর  কারো কিছু  পাওয়ার  নেই।  কেন্দ্রের  বিজেপি  সরকার  বাংলাদেশে বসবাসকারী  তিন কোটির  বেশী  matua  সম্প্রদায়ের   মানুষ   অধীর  আগ্রহে  অপেক্ষা  করছেন। তাদের  ভোটের  দিকে  চেয়ে   বিজেপি  লোকসভা  নির্বাচনের  দিকে  প্রধানমন্ত্রী  পর্যন্ত  বাংলাদেশের  ওই  সম্প্রদায়ের  ধর্মীয়  স্থানে  গিয়ে  শ্রদ্ধা  জানিয়ে  এসে  ছিলেন।  অসমের  এক কোটির  বেশী  উদ্বাস্তু   বাঙালি  হিন্দু  আজও  বিজেপি  সরকারের  নাগরিকত্ব  এর  সুযোগ সুবিধা  থেকে  বঞ্চিত।   জাতীয়  নাগরিক  রেজিস্ট্রার a   থেকে  14 লাখ  বাঙালি  হিন্দুদের  নাম  কাটা গেছে। এন আর  সি    কাগজে  কলম  এ    আইন টি  এখনও  ফ্রেম  হয় নি।  লাগু করতে  সময় লাগবে। কিন্তু বিজেপি  ভোটের  কথা  চিন্তা  করে  কা  নিয়ে  বড্ড   নাটক শুরু  করছে। পশ্চিম বঙ্গে ,অসমে ঝড় খণ্ড , ইত্যাদি  রাজ্যে 3-4 কোটি বাঙালি  উদ্বাস্তু  কুকুর  বিড়াল  এর মত  অস্থায়ী   বাঁশ  টিনের ছাউনি  তে  বাস  করে। .  অসমের  অবস্থা ও  ভালো নয়. তাদের  সামগ্রিকভাবে  উন্নয়নের  জন্যে  বিজেপি  কোন  কাজ  করেছে  বলে  বিশ্বাস  করতে  কষ্ট  হচ্ছে. ।স্বাধীনতার  75 বছর  পরেও  বাঙালি  উদ্বাস্তু দের  অবস্থা  কিছুমাত্র  ভালো  হয়নি।  কংগ্রেস  প্রাক্তন  প্রধানমন্ত্রী  মনমোহন  সিং ,বিজেপি  প্রাক্তন  উপ প্রধানমন্ত্রী  লাল কৃষ্ণ  আডবাণী  পার্লামেন্ট  লিখিত ভাষণে  প্রতিশ্রুতি  দিয়েছেন  বাংলাদেশ  এ কোটি কোটি  বাঙালি  হিন্দু  যারা  নাগরিকত্ব  পায়নি   নানা প্রতিকূল  পরিস্থিতিতে  শারীরিক  মানসিক যন্ত্রণা  ভোগ  করে  ভারতে  আসতে  বাধ্য হচ্ছে। তারা  ভারতের  bonafied উদ্বাস্তু ।  তাদের  নাগরিকত্ব  দেওয়া  কর্তব্য  ভারত  সরকারের।  ভারতের প্রধানমন্ত্রী  জওহরলাল  নেহরু  একই  প্রতিশ্রুতি  দিয়ে  গেছেন। তবে  কেন  আজ  বাঙালি  উদ্বাস্তু দের  দুর্ভোগের  বলি  হতে হচ্ছে? বাংলাদেশে 10 কোটি  বাঙালি  হিন্দুদের  বাস ।নির্যাতন   সয়ে  সয়ে  আজ  মাত্র 3 শতাংশ  দাঁড়িয়েছে।   পূর্ব বঙ্গের  বাঙালি  দের  পুনর্বাসন  হয়না  অথচ  পশ্চিম  পাকিস্তানের  বাঙালি  হিন্দু  ছাড়া  অন্য হিন্দু  সম্প্রদায়ের  মানুষের  ভারতে  পুনর্বাসনের  সব  ব্যবস্থা  হয়েছে। বিজেপি  কেন্দ্রীয়  নেতা  লাল কৃষ্ণ  আডবাণী   পশ্চিম  পাকিস্তানের  আদি  বাসিন্দা  ছিলেন। তিনি বাঙালি হিন্দুদের   জন্যে কিছুই  করলেন না? বিজেপি  আবার  ভোট  রাজনীতি  শুরু  করলো।  অসমে  বাঙালি  হিন্দুরা   ভয়ে   আতঙ্কে  আছে। বিশেষ  করে  ব্রহ্মপুত্র  উপত্যকার  বাঙালি  হিন্দু  উদ্বাস্তু  রা  আক্রমণে  শিকার  হবে? আবার কা বিরোধী  উগ্র  আন্দোলন  শুরু  হবে।  স্বয়ং  মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন  আর  কা এর  প্রাসঙ্গিকতা  নেই।  পরে  করলেও  হত।  বরাক  উপত্যকার  বাঙালি হিন্দুরা  মুসলিমদের  পাশে  নিয়ে  আন্দোলন  করলে   ব্রহ্মপুত্র  উপত্যকার  বাঙালি  হিন্দুদের    ভয়ে  আতঙ্কিত  হতে  হয়না। ব্রহ্মপুত্র  উপত্যকার  উগ্র    ka  সমর্থকরা   বরাক  উপত্যকা  তে  বাধা  পায়।   সকলেই  জানে  বাঙালি হিন্দু  সহ  পাঁচ  হিন্দু  জনগোষ্ঠি বাংলাদেশ  পূর্ব পাকিস্তান  এ  নির্যাতিত  হলে  তাদের  নাগরিকত্ব  দেওয়া  হবে  ভারতে।    বরাক   এ   বরাক  democratik  ফ্রন্টের  মুখপাত্র  প্রদীপ  দত্ত রায়,   বিশিষ্ট   বুদ্ধিজীবী তথা  আসাম  বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রাক্তন  উপাচার্য ,   tspadhir  ভট্টাচার্য, সাধন   PurakSthya  সহ কতিপয়  বিশিষ্ট  ব্যক্তি   বাঙালি দের  উপর  আক্রমণ  হলে  রুখে   দাঁড়াবে  এই  বিশ্বাস  আমার  আছে। বাকি  44 লাখ  বরাক এর  মানুষের  প্রতিরোধ  আন্দোলন  কে  dispur  রীতিমত  ভয় পায়।  বিজেপি   র  ক্ষমতা    দখল  এর  লড়াই  আবার  বাঙালি দের  ক্ষতিগ্রস্থ  হতে  হবে।      আগে  ভেবেছিলাম   হিন্দুদের  আর্থ  সামাজিক  রাজনীতিক  অধিকার  আদায় এ  পাশে  থাকবে  বিজেপি । কিন্তু  সেই আশা না  করাই ভালো। এক কোটির  বেশি  বাঙালি  হিন্দু যারা  অধিকাংশ  বিজেপি  ভোটার। তাদের  পাশে  কেউ  নেই। বিজেপি  সংসদ  বাঙালি ডাক্তার  রাজ্ দীপ  রায়    সহ  কোনো বিজেপি নেতাকে  পাশে  পাবেন  না।   বরাক ,ব্রহ্মপুত্র  উপত্যকার   বাঙালি  উদ্বাস্তু  রা   প্রস্তুত  থাকুন  আবার  খারাপ  দিন  আসছে।   মোকাবিলা  করার  ক্ষমতা  কতটুকু   আছে?   







































কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.