নজরুল , নেতাজি স্মৃতি বিজড়িত পঞ্চ স্তূপ এর পাঁচ থুপি র বাণী মন্দির শহর সংগ্রহ।লয় আজও জনপদের প্রধান আকর্ষণ
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড:মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহর থেকে ১৫,১৬ কিলোমিটার দূরবর্তী হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির ক্ষুদ্র জনপদ পাঁচথুপি lপ্রাচীন ঐতিহ্য সংস্কৃতি পরম্পরা রক্ষা করে চলেছে। অ হিংস বৌদ্ধ ধর্মের পঞ্চ স্তূপ এর আধারে স্বাধীনতা সংগ্রামী দের অস্ত্রের ঝন ঝনানি অনুশীলন সমিতির প্রশিক্ষণ গোপন প্রশিক্ষণ শিবির এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব কে কেন্দ্র করে গড়ে গড়ে উঠেছিল। এই শিবিরের দায়িত্বে ছিলেন বিপিন বিহারী পাল।এই ক্লাবের গোপন কক্ষ আজও আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু। বিদ্রোহী কবি নজরুল তার পদচিহ্ন পড়েছিল ক্লাবের অঙ্গনে আর এই জনপদে এসেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু । বিদ্রোহী কবি নজরুল সুন্দর হাতের লেখায় ময়ূরাক্ষী নদীর কিনারায় শান্তি র দ্বীপের গুণগান করে গেছেন ।বলেছেন রাজনীতি আজও এই জনপদ কে কলুষিত করতে পারেনি। ।নেতাজি সুভাষ এর সঙ্গে পাঁচথূপির বিশিষ্ট নাগরিক সুনীল ঘোষ মল্লিকএর বন্ধুত্ত্ব পূর্ণ সম্পর্ক ছিল। চিটি । "পত্রে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার এক চিঠিতে পাঁচ থূপির স্বাস্থ্য চিত্র নিয়ে উদ্বেগ ।প্রকাশ করে বলেন পাঁচ থূপি আর গ্রাম নয়।"নিজেরস্বাস্থ্য ভালো নয় বল জানিয়ে ছিলেন। সুনীল এর পুত্র সুদীপ বাবু ক্লাবে বসে নেতাজির স্মৃতি চারণ করেন। কান্দি জেল রোডের আদি বাসিন্দা অসমের সাংবাদিক অমল গুপ্ত অসমের প্রায় ৩৮ বছর সাংবাদিক জীবনে সংগ্রহ করা ৬ হাজার গ্রন্থ বাণী মন্দির ক্লাব কে দান করেন। তার বাবা কান্দি রাজ হাইস্কুল এর প্রাক্তন শিক্ষক রমানাথ গুপ্ত আর আমার মা কল্যাণী গুপ্তের স্মৃতি রক্ষা তে দান করা হল। এই সাংবাদিকের সম্পাদিত বাংলা নিউজ পোর্টাল "নয়া ঠাহর" উন্মোচন করেন বাণী মন্দিরের প্রশাসক আলহাজ আতাউর হোসেন সেই সঙ্গে কান্দি মহকুমা র হাজার বছরের ইতিহাস "কান্দি নামা "গ্রন্থের প্রণেতা বিশিষ্ট গবেষক প্রণব আচার্য্য কে সম্বর্ধনা জানানো হয়।। ক্লাবের গ্রন্থাগারিক রুদ্র শঙ্কর দাস অতিথি অভ্যাগতদের স্বাগত জানান । ক্লাবের সব কিছু ঘুরিয়ে দেখান।প্রায় ১৬ হাজার গ্রন্থ নিয়ে এই শতাব্দীর ব প্রাচীন গ্রন্থাগার। পাঁচ থুপীর হরিপদ গৌরিবালা কলেজ দেখে মুগ্ধ হলাম। সুন্দর পরিকাঠামো, সিংহ বাহিনীর মন্দিরের আরতি র সন্ধ্যা প্রদীপ , গ্রহ রাজ মন্দির , অনুখা কালীবাড়ি,ময়ূরাক্ষী নদীর বালিয়াড়ি চর কে সাক্ষী রেখে সুখ স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে কান্দি ফিরে এলাম ।এই গ্রন্থাগারের প্রাচীন ইতিহাস আছে1334 সালের 1বৈশাখ পুত্র বিধু ভূষণ সিংহ বাবা কৃষ্ণ গোবিন্দ সিংহের স্মৃতি রক্ষা করতে স্থাপন করেছিলেন । পরে নব কলেবরে পশ্চিম বঙ্গের গ্রন্থাগারিক বিভাগের রাষ্ট্র মন্ত্রী সিদ্দী কুল্লাহ চৌধুরী 2020, সালে দ্বারঘটন করেন।
কোন মন্তব্য নেই